পলিথিন সীট চাষ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-পলিথিন সীট চাষ

পলিথিন সীট চাষ

প্রথমে মাটি, ইট, খড় বা আগাছা দিয়ে ৩/৪ ফুট ফাঁক করে দুটি সমান্তরাল আইল তৈরি করতে হবে । আইল দুইটি ২৫/৩০ ফুট লম্বা করতে হবে। এরপর আইল দুইটির মাঝে ছিদ্রবিহীন পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে ।
এরপর দোঁ-আশ মাটিতে ১০% গোবর ও ১০% খৈল মিশিয়ে মাটিতে ‘ঝুর ঝুরা করে পলিথিনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ৬ ইঞ্চি পুরু করে বিছিয়ে দিয়ে পানি দিয়ে ভর্তি করে ১৫ দিনের মতো রেখে দিতে হবে ।

এসময়ের মাঝে মাটি পচে নরম হবে । এই অবস্থায় পলিথিনের ড্রেন থেকে পুরানো পানি অপসারণ করতে হবে এবং ড্রেনে অক্সিজেনসমৃদ্ধ পানির প্রবাহ দিতে হবে ।এরপর প্রতিটি ড্রেনে ১ কেজি Tubifex সারা ড্রেনে সমভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই টিউবিফ্যাক্স পরবর্তীতে বৃদ্ধি পেয়ে অসংখ্য টিউবিফ্যাক্স তৈরি করবে ।প্রতিদিন ড্রেনে Tubifex-এর খাদ্য হিসেবে আধা কেজি করে খৈল সরবরাহ করতে হবে। যখন ড্রেনেরমাটি Tubifex দিয়ে লাল হয়ে উঠবে তখন সেখান থেকে এগুলো আহরণ করতে হবে ।

কাদা হতে Tubifex আলাদাকরণথালা তার বা মশারির জাল দিয়ে Tubifex-সহ কাদার উপরের স্তর তুলে এনে বালতি বা বোলে জমা করতে হবে। এরপর কাদাগুলো তার বা মশারির জালের চালনিতে ধৌত করতে হবে। ধৌত করার এক পর্যায়ে কাদার পরিমাণ কমে আসে।
এই অবস্থায় Tubifex-সহ একটি বালতি বা বাটিতে কাদা ও পানি সমান অনুপাতে মশিয়ে রেখে থাল বা অন্য কোন ছিদ্রহীন পাত্র দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং ঢাকা অবস্থায় ১০/১২ ঘণ্টা রাখতে হবে ।

এ সময়ের ভিতর Tubifex গুলো কাদার উপরে পানিতে গুটি বেঁধে অবস্থান করবে। Tubifex গুলো এই অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে কাদামুক্ত হয়ে পড়ে। এখন Tubifex-এর গুলি হাত দিয়ে সংগ্রহ করে কোনো ট্রে বা থালে পানির প্রবাহ দিয়ে রেখে দিলে দীর্ঘদিন ব্যবহারোপযোগী থাকবে । ইচ্ছা করলে এভাবে খৈল খাইয়ে এদের দীর্ঘদিন লালন করা চলে। তবে সবসময় পানির প্রবাহ দিতে হবে ।

পোনা পরিবহনের পদ্ধতি :

পোনা পরিবহন : পোনা পরিবহনের দক্ষতা মাছ চাষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সফলভাবে পোনা পরিবহনের উপর মাছ চাষে লাভ অনেকাংশে নির্ভরশীল । পোনা পরিবহনের সময় দুইটি জিনিসের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে । অক্সিজেনের অভাবে পোনা যেন পানির উপর ভেসে না ওঠে এবং পরিবহনের সময় যেন পোনা আঘাতপ্রাপ্ত না হয় । রেণু পোনা পরিবহন হয়ে থাকে মূলত-

১ । নার্সারি পুকুর

২। লালন পুকুর

৩। মজুদ পুকুরের জন্য

পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ :

১। অক্সিজেন ঘাটতি :

ক) পোনা মাছের অক্সিজেন চাহিদা, জাত, তাপমাত্রা ও শরীর তত্ত্বীয় অবস্থার উপর নির্ভর করে । খ) একটি পাত্রে যত বেশি মাছ থাকবে সেখানকার অক্সিজেন তত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ।
গ) যদি অতিমাত্রায় বা ঘনত্বে মাছ রাখা হয় তবে পরিবহনের পূর্বে এবং পরিবহনকালীন সময়ে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ও অক্সিজেন ঘাটতি ঘটে মাছ মারা যেতে পারে ।

২। শারীরিক ক্ষত :

ক) জাল টানার সময়, ওজন ও গণনা করার সময় এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে স্থানান্তরের সময় মাছের খ) পানির মধ্যে থেকে পরীক্ষার জন্য নাড়ার সময় আঁইশ উঠে গিয়েও ক্ষত হতে পারে ।
শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ।

৩ । অ্যামোনিয়া :

ক) পরিবহনকালে নিঃসৃত মল পচনের ফলে পাত্রে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। যার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে পোনা মারা যেতে পারে । ২১ দিনের কম বয়সী পোনার ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া বেশি ঘটে থাকে ।

৪ । তাপমাত্রা :

পানির তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পোনার অক্সিজেন চাহিদা বাড়ে । কিন্তু পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে ।

৫। পরিবহন সময় :

ক) দূরত্ব বেশি হলে অধিক পরিবহন সময়ের কারণে ও কঠিন চাপে পোনার মৃত্যু হতে পারে ।
খ) স্বল্প সময়ের ক্ষেত্রে ও সতর্ক থাকতে হবে।

৬। সংগ্রহ পদ্ধতির ত্রুটি :

ক) পোনা সংগ্রহে ত্রুটির কারণেও পরিবহন কালে পোনা মৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে ।

৭। রোগাক্রান্ত ও দুর্বল পোনা :

ক) পোনাগুলো যদি দুর্বল বা রোগাক্রান্ত থাকে তাহলে মৃত্যুহার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় ।

৮। পরিবহনের পূর্বে টেকসই না করা :

মাছকে প্রতিকূল অবস্থার সাথে সহনশীল করে নেওয়াটাই হলো টেকসইকরণ ।

ক) টেকসইকরণ ব্যতিত পোনা নাজুক বা কাঁচা থাকে ।
খ) কাঁচা পোনা পরিবহনকালীন ধকল সহ্য করতে পারে না ।

১। পোনা পরিবহনের সনাতন পদ্ধতি :

অনেক আগে থেকে আমাদের দেশে পোনা মাছ মাটির পাত্রে পরিবহন করা হয়ে আসছে। বর্তমানে অবশ্য ধাতব পাত্র যেমন- কেরোসিনের টিন, কাঁসা বা অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল ও একাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে যেহেতু ধাতব পাত্রের পানি তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় ফলে পোনা মারা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভেজা কাপড় বা চট পানিতে ভিজিয়ে পাত্রের গায়ে জড়িয়ে রাখলে পাত্র সহজেই গরম হয় না।

একজন বিক্রেতা এক সঙ্গে দুইটি হাঁড়ি কাঁধে বহন করার জন্য দড়ির শিকাসহ বাঁশের তৈরি একটি বাঁক ব্যবহার করে থাকে। একটি পাত্রে ৩০-৩৫ লিটার পানি ধরতে পারে। দুটি হাঁড়িতে নদী বা পুকুরের পানি আধা আধি মতো ভর্তি করে কিছু লাল মাটি মিশিয়ে আনুমানিক ৪০০00- ৬০০০০০টি রেণু পোনা প্রতি হাঁড়িতে নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। হাঁড়ির মুখে গামছা থাকে সঙ্গে ছোট বাঁশের ঝুড়ি। এভাবেই রেল, বাস, লরিতে বহন করা হয়। যেখানে কোনো পরিবহন ব্যবস্থা নেই, সেখানে মানুষ বাঁকের সাহায্যে তাদের সর্বত্র বিতরণ করা হয় ।

 

পলিথিন সীট চাষ

 

হাঁড়ির পানিকে সব সময় ঝাঁকাতে এবং মাঝে মাঝে থাবড়াতে হয়। মাঝে মাঝে হাঁড়ির মধ্যে নারকেলের দড়ি দিয়ে কচিয়ে মরা রেণু পোনা ফেলে দিতে হবে । গন্তব্যস্থানে পৌঁছবার আগ পর্যন্ত সব সময়ই মনোযোগ সহকারে এসব কাজ করতে হয়। অনেক সময় নৌকার মাঝখানে (খোলেও) পোনা পরিবহন করা হতো ।

 

হাঁড়িতে পোনা পরিবহনকালে নিম্নলিখিত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত :

১। পোনা পরিবহনকালে হাঁড়িতে বেশি বেশি এবং খুব জোরে ঝাঁকানি দেওয়া ঠিক নয়। কারণ তাতে
অনেক পোনা হাঁড়ির গায়ে ধাক্কা খেয়ে জখম হতে পারে ।

২। পোনা পরিবহনকালে পানি বদলানোর জন্য বালতি, মগ ও গামছা প্রভৃতি সরঞ্জাম সঙ্গে রাখা দরকার ।

৩ । শহরের টেপ বা কলের পানি দিয়ে হাঁড়ির পানি বদলানো উচিত নয়, কারণ তাতে ক্লোরিন গ্যাস থাকে এবং পোনা মারা যায় ।

৪ । পানি সর্বদাই ধীরে-সুস্থে বদলানো উচিত । হাঁড়ির পানির তাপমাত্রা ও নতুন পানির তাপমাত্রার বিভিন্নতা পোনা সহ্য করতে পারে না । তাই নতুন পানি পূর্ণ করার আগে যতদূর সম্ভব নতুন ও পুরনো পানির তারতম্য লক্ষ্য করে নেয়া উচিত ।

৫ । পরিবহনকালে যদি কোনো পোনা জখম হয় বা মারা যায় তাহলে তাকে সাবধানে হাঁড়ি থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে ।

৬। পোনাগুলোর মধ্যে থেকে রাক্ষুসে মাছের পোনা ও পোকামাকড় সরিয়ে ফেলতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সাবধানতা সত্ত্বে ও পুরানো পদ্ধতিতে পোনা পরিবহনকালে পোনার সমূহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য কিছুটা অনিশ্চয়তা এ ব্যবসায় সব সময় থাকে । তাই পোনা আরও সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে পৌঁছাবার ব্যবস্থার কথা ভাবা দরকার যাতে পোনার ক্ষতি খুব সামান্যই হয় ।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

২। মিশ্র পদ্ধতি :

ক) ড্রামে

১. ২০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রামে ২০-২৪ ঘণ্টা দূরত্বে ২.৫ সে. মি. মাপের ১০০০০-১২০০০ টি (১২-১৪ কেজি) এবং ৫-৭ সে. মি. মাপের ৮০০০-১০০০০ টি পোনা (১৫-২০ কেজি) প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর
পানি পরিবর্তন করে পরিবহন করা যায় ।

২. ড্রামের পানি পরিবর্তন করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ভেতরের ময়লাগুলো বের হয়ে যায় ।

৩. পানির মধ্যে প্রতি লিটারে ১০ গ্রাম বরফ দিয়ে তাপমাত্রাকে ২০° সে. রাখতে পারলে মাছের সহজ প্রতিশব্দ কমে যাবে । সুতরাং এক্ষেত্রে কম অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় ।

৪. প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী টেকসইকৃত ১ কেজি মাছকে ১০ লিটার পানিতে পরিবহন করা হয় ।

৫. অত্যন্ত অভিজ্ঞ পোনা ব্যবসায়ীরা কোনো কোনো সময় ১০ লিটার পানিতে ২ কেজি পর্যন্ত পরিবহন করে থাকেন কিন্তু এটা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ।

৬. অক্সিজেন বা এ্যরেটরের ব্যবস্থা করতে পারলে দ্বিগুণ পোনা পরিবহন করা যাবে ।

খ) ট্যাংক অথবা বৃহৎ ফাইবার গ্লাস পাত্রে :

১. বড় বড় বাণিজ্যিক হ্যাচারি অথবা নার্সারিতে পরিবহনের জন্য দুই দেয়াল বিশিষ্ট তাপ নিরোধক বড় আকারের (১০০০ লিটার) ফাইবার গ্লাস ট্যাংক ব্যবহার করা হয় ।

২. স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নলকূপের পানিতে পর্যায়ক্রমে প্রতি লিটারে ১০ গ্রাম বরফ যোগ করে ঠাণ্ডা করা হয়। ৩. এ ধরনের ট্যাংকে ৪-৫ ঘণ্টা দূরত্বে ১০০-১৩০ কিলো/ঘনমিটার হারে পোনা পরিবহন করা যায় ।

৩। পোনা পরিবহনের উন্নত (আধুনিক) পদ্ধতি :

এ পদ্ধতিতে পোনা পলিথিন ব্যাগে অক্সিজেন দিয়ে পরিবহন করা হয়। এ পদ্ধতি খুবই নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত । এভাবে পোনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবহন করা সম্ভব। আধুনিক পদ্ধতিতে পোনা পরিবহনের জন্য নিম্নলিখিত সরঞ্জাম প্রয়োজন হয়।

১। প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যাগ
২। অক্সিজেন সিলিন্ডার
৩ । রাবারের নল
৪ । বোর্ড কাগজ
৫। হালকা কাঠের বাক্স, চটের থলে ইত্যাদি।

 

পলিথিন সীট চাষ

 

পোনা প্যাকিং

১। সাধারণত প্রতিটি প্যাকেটের জন্য দুটি করে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত কারণ দৈবক্রমে যদি একটি ব্যাগ ছিদ্র হয়ে যায় তাহলে দ্বিতীয়টি পানি ও অক্সিজেনসহ পোনাকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে ।

২। সমান আকারের দু’টি পলিথিনের ব্যাগ একটি আরেকটির ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে একটি ব্যাগে পরিণত করতে হবে এবং নিচের অংশ মুচকিয়ে দিয়ে শক্ত করে রশি দিয়ে বাঁধতে হবে যাতে পলিথিনের জোড়া ছিড়ে গিয়ে পানি পড়ে না যায়। পলিথিনের ব্যাগ বিভিন্ন আকারের হতে পারে। পরিবহনের সুবিধা অনুযায়ী এটি তৈরি করা যেতে পারে ।

৩। প্যাকিং এর পূর্বে পোনা যে পানিতে রাখা হয় সাধারণত সেই পানিতে পোনা পরিবহন করা উচিত । তাই একই উৎস থেকে একই তাপমাত্রার পানি এবার পলিথিনে ঢুকাতে হবে এবং ব্যাগের ১/৩ অংশ পানিতে ভর্তি করতে হবে ।

৪ । পানি ভর্তি করার পর ব্যাগের উপরিভাগ হাত দিয়ে মুচড়িয়ে এক হাতে ধরতে হবে এবং নিচের অংশ আরেক হাত দিয়ে ধরে ব্যাগটিকে উল্টিয়ে ও ঘুরিয়ে দেখতে হবে কোন ছিদ্র পথে পানি বেরিয়ে যায় কিনা । ছিদ্র যুক্ত ব্যাগ পরিহার করতে হবে।

৫ । পানি ভর্তি ব্যাগে পোনা ভরতে হবে । কতকগুলো পোনা একটি ব্যাগে ভরতে হবে তা পথের দূরত্ব এবং পোনার আকারের উপর নির্ভর করে। ৩৬×২৪ ইঞ্চি ব্যাগে ৮-১২ ঘণ্টার যাত্রায় ২৫০-৩০০ গ্রাম রেণু পরিবহন করা যায় ।

৬। পলিথিন ব্যাগে পোনা ঢোকানোর পর অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে নলের সাহায্যে সতর্কতার সাথে ব্যাগে অক্সিজেন ঢোকাতে হবে এবং ব্যাগের ২/৩ অংশ অক্সিজেন দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। অক্সিজেন দেওয়ার সাথে সাথে ব্যাগের মুখ শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে যাতে অক্সিজেন বেরিয়ে না যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, অক্সিজেন সরবরাহের আগে ব্যাগের মুখটি আলতোভাবে মুড়িয়ে নিতে হবে ।

৭। চটের ব্যাগ ও কার্টন ব্যবহার : পোনাসহ পলিথিন ব্যাগটি পরিবহনের সুবিধার্থে চটের ব্যাগ, টিন অথবা কার্টনের ভিতর ঢুকিয়ে নিতে হবে । চটের ব্যাগ অথবা কার্টন পলিথিন ব্যাগটিকে নিরাপদে রাখতে সহায়তা করে। চটের ব্যাগ ব্যবহার করলে তা মাঝে মাঝে পানি দিয়ে ভিজিয়ে ব্যাগের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ করা যায় । এতে পোনা ভালো থাকে ।

 

পলিথিন সীট চাষ

 

সতর্কতাঃ

১। যাতায়াতের সমর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে পোনার বাক্স সব সময় ছারা এবং নিরাপদ স্থানে থাকে । কোনোভাবে যাতে ব্যাগ ছিদ্র না হয় বা ফেটে না যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।

২। গন্তব্যস্থানে পৌঁছে বাক্স বা চটের থলে থেকে ব্যাগটি খুলে পুকুরের পানিতে মিনিট পাঁচেক ফেলে রেখে ব্যাগের মুখ খুলে ফেলতে হবে।

৩। ব্যাগের মুখ খোলার সময় অভি সর্তকতার সহিত ধীরে ধীরে খুলে ফেলতে হবে । কারণ অক্সিজেনের চাপ ধীরে ধীরে না কমিয়ে হঠাৎ করে মুখ খুলে ফেললে পরিবেশের আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য পোনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment