বিভিন্ন প্রকার পরজীবী শনাক্তকরণ – “মাছের স্বাস্থ্য পরিচর্যা” কোর্স বইটি বিশেষভাবে স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এর বিএজিএড প্রোগ্রামের ছাত্রদের জন্য লেখা হয়েছে। আপনি জানেন, দূর শিক্ষণে শিক্ষকের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নেই। তাই পাঠের কোনো কঠিন বিষয় যেন আপনার বুঝতে অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কোর্স বইটি লেখা হয়েছে। কোর্স বইটির আঙ্গিক ও উপস্থাপনা তাই প্রচলিত পাঠ্যবই থেকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। যেহেতু সরাসরি শিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই কোর্স বইটি আপনাকে নিজে পড়ে বুঝতে হবে, তাই এটি কীভাবে পড়বেন প্রথমেই তা জেনে নিন। এতে কোর্স বইটি পড়তে ও বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।
বিভিন্ন প্রকার পরজীবী শনাক্তকরণ
এ পাঠ শেষে আপনি-
- বিভিন্ন প্রকার পরজীবীর শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন।
- বিভিন্ন প্রকার পরজীবীর গঠন চিহ্নিত করতে পারবেন।
- বিভিন্ন প্রকার পরজীবী শনাক্ত করতে পারবেন।
প্রাসঙ্গিক উপস্থাপনা
বিভিন্ন প্রকার পরজীবী শনাক্ত করতে হলে এগুলোর অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্য এবং পোষকের দেহ হতে পরজীবী আলাদা করার পদ্ধতি পূর্বাহ্নে জানা থাকা আবশ্যক। পূর্ববর্তী ইউনিটগুলোর বিভিন্ন পাঠে এসম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে এগুলো ভালভাবে জেনে নিন।
উপকরণ
১। ট্রে-৩ টি
২। পেট্রিডিস- ৩ টি
৩। চাকু- ২ টি
81 রোগাক্রান্ত মাছ
৫। আতশ কাঁচ
৬। অনুবীক্ষণ যন্ত্র

কার্যপদ্ধতি
- টিউটরের সহায়তা নিয়ে নিকটবর্তী কোন জলাশয় থেকে কয়েকটি মাছ সংগ্রহ করুন।
- সংগৃহীত মাছগুলোর কোন শারীরিক অসঙ্গতি আছে কিনা তা লক্ষ করুন।
- পরিদৃষ্ট শারীরিক অসঙ্গতি পরজীবী ঘটিত কিনা তা অসঙ্গতির ধরন দেখে নিশ্চিত হোন।
- অসঙ্গতিপূর্ণ স্থানে কোন পরজীবী দেখা যায় কিনা তা আতশ কাঁচ দিয়ে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। কোন পরজীবী দেখা গেলে পূর্বপাঠে বর্ণিত বিভিন্ন পরজীবীর বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলিয়ে নিয়ে পরজীবী শনাক্ত করুন।
- অসঙ্গতিপূর্ণ স্থানের কিছু অংশ কেটে নিয়ে পেট্রিডিসে রাখুন এবং পৃথক পৃথক ভাবে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন। কোন পরজীবী পাওয়া গেলে বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিয়ে সেটি শনাক্ত করুন।
- সংগৃহীত মাছে কোন ক্ষত বা ঘা আছে কিনা তা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
- কোন ঘা বা ক্ষত দেখা গেলে সেখানে কোন পরজীবী বা অপ্রত্যাশিত বস্তু দেখা গেলে তা আতশ কাঁচ এবং প্রয়োজনে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন।
- পর্যবেক্ষণে প্রথমে পরজীবীর আকার বুঝতে চেষ্টা করুন এবং পূর্ব পাঠে প্রদত্ত পরজীবীর ছবির সাথে মিলিয়ে নিন।
- অতঃপর বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিয়ে পরজীবী শনাক্ত করুন।
- শনাক্তকরা পরজীবীর ছবি ব্যবহারিক খাতায় আকুন এবং অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্য গুলো চিহ্নিত করুন।
- চিহ্নিত পরজীবী দেখে মাছের রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পাববেন।
সর্তকতা
- একটি মাছ একই সময়ে একাধিক পরজীবী কর্তৃক আক্রান্ত হতে পার।
- তাই সংগৃহীত নমুনা আলাদা আলাদা পেট্রিডিসে রেখে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- কোন মাছ হতে নমুনা সংগ্রহে ব্যবহৃত চাকু অন্য মাছ হতে নমুনা সংগ্রহে ব্যবহার না করা যাবে না। কারণ এতে একমাছের পরজীবী অন্য মাছের স্থানান্তরিত হতে পারে এবং রোগ নির্ণয় ও পরজীবী শনাক্তকরণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ