প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই | অধ্যায়-৩ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই । যা ” বাগদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই

 

প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই | অধ্যায়-৩ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই

পরিপকরণ ট্যাংকে ৭-৮ দিন রাখার পর সন্ধ্যায় পানি কমিয়ে স্ত্রী চিংড়ি পরীক্ষা করা হয়। এই পর্যায়ে চিংড়ি যৌন পরিপক্বতা (Sexual maturity) লাভ করে। পরিপক্ক পুরুষ চিংড়ির পঞ্চম চলনপদের গোড়ায় পুংজনন ছিদ্রে শুক্রকীটের মাড়েক (Spermatophores) দেখা যায়।

পরিপক্ক স্ত্রী চিংড়ির ডিম্বকোষের উন্নতি বাইরে থেকে দেখা যায়। স্ত্রী চিংড়ির ডিম্বশায়ের আকার ও রং এবং ডিম্বাণুর মাপের ওপর নির্ভর করে ডিম্বাশয়ের পূর্ণতা। পরিপক্ক স্ত্রী চিংড়ির ডিম্বাশয়কে ৫টি দশায় ভাগ করা যায়, যথা:

ক) প্রথম দশা (Immature stage): এই অবস্থায় ডিম্বাশয় খুব পাতলা, স্বচ্ছ এবং পিঠের খোলসের ভিতর দিয়ে প্রায় দেখা যায় না। এই সময় ডিম্বাণু খুব ছোট থাকে এবং ঋড়ষষরপষব পবষষ এর স্তরে ঢাকা থাকে।

খ) দ্বিতীয় দশা (Early developing stage): এই অবস্থায় ডিম্বাশয় এর কিছুটা উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। ডিম্বাশয় ঢলঢলে এবং সাদা থেকে ফিকে জলপাই রঙের একটি লম্বা ফিতার মতো পৃষ্ঠদেশে খোলসের নিচে দেখা যায়।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

গ) তৃতীয় দশা (Nearly ripe stage): বর্ধিত ও হালকা নীল বর্ণের ডিম্বাশয় সহজেই দেখা যায়। এ সময় উদর অঞ্চলের ১ম ভাগে ডিম্বাশয়ের দুই পার্শ্ব একটু বেড়ে কিছুটা ডায়মন্ড বা প্রজাপতির আকার ধারণ করে।

ঘ) চতুর্ণ দশা (Ripe stage): গাঢ় সবুজ জলপাই রঙের পরিপক্ক ডিম্বাশয় পরিষ্কার দেখা যায়। এ সময় উদর অঞ্চলের ১ম ডিম্বাশয় পরিপূর্ণ ডায়মন্ড বা প্রজাপতির আকার ধারণ করে।

ঙ) পঞ্চম দশা: এই অবস্থায় ডিম ছাড়ার পর ডিম্বাশয় প্রায় প্রথম দশার মতো দেখায়। তবে আংশিক ডিম ছাড়লে দ্বিতীয় দশার মতো দেখায়। একটি পরিপক্ক স্ত্রী চিংড়ি বৎসরে প্রায় ৩.০০-৭.৭৫ লক্ষ ডিম ধারণ করে থাকে।ণ বাগদা চিংড়ির প্রজনন ক্রিয়া সাধারণত গভীর সমুদ্রে, রাত্রিকালেই সম্পন্ন হয়ে থাকে।

 

প্রজননের জন্য চিংড়ি বাছাই | অধ্যায়-৩ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

বাগদা চিংড়ির মিলনকাল ৩ থেকে ৪ মিনিট স্থায়ী হয়। প্রথমে পুরুষ চিংড়ির উপর সমান্তরালভাবে স্ত্রী চিংড়ি অবস্থান গ্রহণ করে। এরপর পুরুষ ও স্ত্রী চিংড়ি একে অপরকে অঙ্কীয় দেশে আকড়িয়ে ধরে এবং পুরুষ চিংড়ি স্ত্রী চিংড়ির দেহের নিচে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। অবশেষে পুরুষ চিংড়ি দেহের উদরের অংশ বাকিয়ে স্ত্রী চিংড়ির দেহের মাঝখানে “ট” আকৃতির বেষ্টনী তৈরি করে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment