আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় রোগ ব্যবস্থাপনা – যা শিং কার্প মাছের মিশ্রচাষ প্রযুক্তি এর অন্তর্ভুক্ত।
রোগ ব্যবস্থাপনা
রোগ ব্যবস্থাপনা
- পোনা মজুদের সময়ে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পোনা আঘাত প্রাপ্ত না হয় ।
- পুকুরের পানি নষ্ট হলে পরিবর্তন করতে হবে।
- পানির গুণাগুণ নষ্ট হলে মাছে ঘা দেখা দিতে পারে । এই রোগে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন এবং ১ কেজি লবণ দুই বারে তিন দিন অন্তর প্রয়োগ করতে হবে।
- এছাড়াও প্রতি মাসে পুকুরে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করলে পানির গুণাগুণ ভালো থাকে ।

মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণ : অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত মুক্ত জলাশয়ে প্রচুর শিং মাছ ধরা পড়ে । তখন বাজারে মাছের মূল্য অনেক কম থাকে। ঐ সময়টাতে শিং মাছ ধরা বা বিক্রি করা বুদ্ধিমানের কাজ নয় । বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বাজারে মাছের খুব অভাব থাকে। তাই মূল্যও চড়া থাকে। তখন শিং মাছের পেটে ডিম আসে ।
ডিমওয়ালা শিং মাছের আকর্ষণই আলাদা । তখন শিং মাছ বিক্রি করা হয় তাহলে সর্বাধিক মূল্য পাওয়া যায়। বেড় জালে শিং মাছ বেশি ধরা পড়ে না। তাই সম্পূর্ণ শিং মাছ ধরতে হলে পুকুর সম্পূর্ণরূপে সেচতে হবে । পুকুর সেচে মাছ ধরার পরও ১০% মাছ কাদাতে লুকিয়ে থাকে । ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো কাদা থেকে বেরিয়ে আসে। সম্পূর্ণ মাছ ধরার পর পরবর্তী চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে হবে।
সম্ভাব্য আয় ব্যয়
সারণি-১৬ : ১০ শতাংশ আয়তনের পুকুরে শিং মাছের উৎপাদন ও আয়-ব্যয়ের হিসাব
উৎপাদন ও আয়
শিং মাছ ৭৫ কেজি
আয় ও ব্যয়
প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে ৭৫ × ৪০০ = ৩০,০০০ টাকা
নিট লাভ = ৩০,০০০ – ১৪,৮০০ = ১৫,২০০ টাকা ফর্মা-২৭
আরও দেখুনঃ