আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পোনা পরিবহনে সতর্কতা – যা মিশ্রচাষে পোনা মজুদকালীন ব্যবস্থাপনা এর অন্তর্ভুক্ত।
পোনা পরিবহনে সতর্কতা
পোনা পরিবহনের সময় পাত্রের পানি গরম হয়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম বরফ যোগ করে পানির তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যেতে পারে | অধিক দূরত্বে পোনা পরিবহন করতে হলে চেতনানাশক ব্যবহার করে পোনা পরিবহন করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে ড্রাই আইস (শুষ্ক কার্বন ডাই-অক্সাইড), এম.এস ২২২, কুইনালডিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকতে হবে । অক্সিজেন ঘাটতি থাকলে সমস্ত পোনাই মারা যেতে পারে।
পোনা শোধন :
পোনা পরিবহনকালে অনেক সময় পরিবহন পাত্রের সঙ্গে ঘর্ষনের ফলে পোনা আহত হতে পারে ফলে ঐ পোনা পুকুরে মজুদ করলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক খুব সহজেই মাছের দেহে রোগ সংক্রমণ ঘটাতে পারে যা মাছের মড়কের কারণও হতে পারে। তাই পুকুরে পোনা মজুদের পূর্বে পোনাগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে নেয়া ভাল। একটি বালতির মধ্যে ১০ লিটার পানিতে এক চা চামচ পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট অথবা ২০০ গ্রাম লবণ মেশাতে হবে। উল্লেখিত মিশ্রণে ৩০০-৫০০টি পোনা শোধন করা যেতে পারে । এ মিশ্রণে পোনাগুলোকে ৩০ সেকেন্ড গোসল করানোর পর পুকুরে ছাড়া যেতে পারে।
পোনা শোধন :
পোনা পরিবহনকালে অনেক সময় পরিবহন পাত্রের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে পোনা আহত হতে পারে ফলে ঐ পোনা পুকুরে মজুদ করলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক খুব সহজেই মাছের দেহে রোগ সংক্রমণ ঘটাতে পারে যা মাছের মড়কের কারণও হতে পারে। তাই পুকুরে পোনা মজুদের পূর্বে পোনাগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে নেয়া ভালো। একটি বালতির মধ্যে ১০ লিটার পানিতে এক চা চামচ পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট অথবা ২০০ গ্রাম লবণ মেশাতে হবে। উল্লিখিত মিশ্রণে ৩০০-৫০০টি পোনা শোধন করা যেতে পারে। এ মিশ্রণে পোনাগুলোকে ৩০ সেকেন্ড গোসল করানোর পর পুকুরে ছাড়া যেতে পারে।

পোনা অভ্যস্তকরণ :
মাছ চাষের ক্ষেত্রে অন্যান্য ধাপের ন্যায় পোনা অভ্যস্তকরণ ধাপটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছ একটি চঞ্চল প্রাণী । যখন সে পুকুরে অবস্থান করে তখন সে একটি বিশাল পরিবেশকে ব্যবহার করে । কিন্তু হঠাৎ করেই যখন কোনো মাছকে পুকুর থেকে তুলে হাঁড়িতে বা ড্রামে করে পরিবহন করা হয়। তখন সে তাৎক্ষণিকভাবে পারিবেশিক বিরূপ চাপের সম্মুখীন হয়। ফলে অনেক মাছ পরিবহনের সময়ই মারা যায় বা অনেকেই মুমূর্ষু অবস্থায় পুকুর পর্যন্ত পৌঁছে।
এভাবে পরিবহনকৃত মাছকে পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত না করে অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে ছেড়ে থাকেন। ফলে অর্ধেক পোনাই নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে মারা যায় । ছোট পোনার ক্ষেত্রে বিশেষ করে রেণুপোনার ক্ষেত্রে এ মৃত্যুহার অত্যন্ত বেশি। তাই পোনা অবমুক্তকরণের পূর্বে অবশ্যই পোনা অভ্যস্তকরণ করে পরে পুকুরে ছাড়তে হবে।
পোনা অবমুক্তকরণ :
- এমনিভাবে পরিবহনকৃত পোনা প্রজাতিভিত্তিক সঠিকভাবে গুণে নিম্নলিখিত ধাপের মাধ্যমে পুকুরে অবমুক্ত করতে হবে –
- পলিথিন ব্যাগে/হাঁড়িতে পোনা পরিবহন করলে সেই ব্যাগ/হাঁড়ি পুকুরের পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ভাসিয়ে রেখে তাপমাত্রার সমতা আনতে হবে;
- তারপর ব্যাগের মুখ/হাঁড়ির মুখ খুলে দিয়ে নিজের হাত বা থার্মোমিটার দিয়ে পাত্র এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রার ব্যবধান দেখতে হবে;
- তাপমাত্রা সমান না হওয়া পর্যন্ত পাত্রের কিছু পানি পুকুরে এবং পুকুরের কিছু পানি পাত্রে নিতে হবে;
- উভয় পানির তাপমাত্রা সমান হলে ব্যাগটি পুকুরের দিকে কাত করে ধরে বাইরে থেকে ভিতরের দিকে স্রোতের ব্যবস্থা করতে হবে। এ অবস্থায় সুস্থ সবল পোনা স্রোতের বিপরীতে ধীরে ধীরে পুকুরে চলে যাবে;
- মৃদু ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় (সকাল/বিকাল) পোনা ছাড়া ভালো। দুপুরের কড়া রোদ, মেঘলা দিন বা ভ্যাপসা আবহাওয়ায় পোনা ছাড়া উচিত নয় ।
সারণি-৫ : বাৎসরিক পুকুরে শতাংশ প্রতি পোনা মজুদের নমুনা
আরও দেখুনঃ