মিশ্রচাষে পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মিশ্রচাষে পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা।

মিশ্রচাষে পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা

 

 

মিশ্রচাষে পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা

 

পোনা মজুদের পরে যেসব ব্যবস্থাপনা কৌশল অবলম্বন করা হয় তাকে মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বলে । এক্ষেত্রে যেসব নিয়ম-নীতি পালন করতে হবে তা হলো-

ক. পোনা বেঁচে থাকা পর্যবেক্ষণ;
খ. সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ;
গ. মজুদ পরবর্তী সার প্রয়োগ;
ঘ. নমুনায়নের মাধ্যমে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকরণ;
গু. ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন করা;
চ. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা;
ছ. রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
জ. রোগাক্রান্ত মাছের চিকিৎসা করা;
ঝ. মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণ করা ;
ঞ. রেকর্ড সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা এবং
ট. সফলতা বা ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা ।

ক. পোনা বেঁচে থাকা পর্যবেক্ষণ :

পুকুরে পোনা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর (৬-১২ ঘণ্টা) পাড়ের কাছে বা পানির উপর চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা দরকার। কোনো পোনা মারা গেল কিনা দেখা দরকার। পোনা মারা গেলে ভেসে উঠবে বা পাড়ের কাছাকাছি ভেসে থাকবে। যদি বেশি পোনা মারা যায় তাহলে সমসংখ্যক পোনা আবার পুকুরে ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

খ. সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ :

অন্যান্য প্রাণীর মতো মাছকেও বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধিসাধনের জন্য পরিমিত পরিমাণ সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। সুষম পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়া মাছের দ্রুত বৃদ্ধি তথা সর্বাধিক উৎপাদন সম্ভব নয়। পুকুরে মাছের যে প্রাকৃতিক খাবার থাকে তা মাছচাষে অধিক উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই মাছের অধিক উৎপাদন পেতে হলে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে ।

সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত ও প্রয়োগ পদ্ধতি :

সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুতের সময় খাদ্যে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের গুণগতমান, সহজলভ্যতা ও বাজারদরকে প্রাধান্য দিতে হয়। কেননা প্রস্তুতকৃত খাদ্যের গুণগতমান ভালো রেখে বাজার মূল্য যত কম হবে মাছের উৎপাদন খরচ তত কম হবে। সাধারণত মাছের দেহ বৃদ্ধির জন্য খাদ্যে ৩০% এর বেশি আমিষের প্রয়োজন হয় না।

এখন যদি ৩০% আমিষ সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান দিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করতে হয় তাহলে প্রথমেই বেছে নিতে হবে কী কী উপকরণ বা কাঁচামাল মিলিয়ে খাদ্য তৈরি করা যেতে পারে। যা নবম অধ্যায়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে খাদ্যের পরিমাণ নির্ধারণ এবং খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।

খাদ্যের পরিমাণ নির্ধারণ :

মজুদকৃত মাছের জন্য কতটুকু খাদ্যের প্রয়োজন তা জানার জন্য অবশ্যই পুকুরের মজুদকৃত মাছের মোট জীবভর বের করতে হবে। জীবভর বলতে ইকোসিষ্টেমের একটি নির্দিষ্ট এলাকায়, নির্দিষ্ট সময়ে প্রতি একক জায়গায় যে পরিমাণ জীব বিদ্যমান থাকে তাদের ওজনকে বুঝায়। যেমন- কোনো একটি পুকুরে যে পরিমাণ মাছ ও অন্যান্য জীব বিদ্যমান থাকে তাদের ওজনকে ঐ পুকুরের জীবভর বলে।

জীবভর বের করার জন্য প্রথমেই মজুদকৃত মাছের গড় ওজন বের করে সেই গড় ওজনকে মজুদকৃত মাছের মোট সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে মোট জীবভর পাওয়া যাবে। সেই মোট জীবভরকে শতকরা হার (%) দিয়ে গুণ করলে প্রয়োজনীয় মোট খাদ্যের পরিমাণ পাওয়া যাবে।

খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি :

প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পুকুরের বিভিন্ন জায়গার একটি নির্দিষ্ট স্থানে, প্রতিদিন একই সময়ে, একই সাথে কমপক্ষে ২ বার পানির ৩ ফুট নিচে খাদ্যদানি স্থাপন করে সেই খাদ্যদানিতে খাদ্য প্রয়োগ করলে মাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হবে। তবে পাঙ্গাশ এবং তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যদানিতে খাদ্য না দিলেও চলবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি মাটিতে খাদ্য প্রয়োগ করলে অল্প দিনের মধ্যেই খাদ্য গ্রহণের সময় মাছের পাখনার ঘর্ষণে ঐ স্থানের কাদা মাটি সরে গিয়ে শক্ত তলা বের হবে যা খাদ্যদানির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

গ. মজুদ পরবর্তী সার প্রয়োগ :

পোনা মজুদের পর প্রাকৃতিক খাদ্যের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে।

ঘ. মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকরণ :

মাসে একবার জাল টেনে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং দৈহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন ৷

ঙ. ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন

  • ভোরে অক্সিজেন স্বল্পতার অভাবে মাছ খাবি খেলে পাতিল দিয়ে পানিতে ঢেউ দিতে হবে। অথবা সাঁতার কাটার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে পানিতে অক্সিজেন মিশে যায়;
  •  ইউগ্লিনা প্রজাতির প্ল্যাংকটন দিয়ে পুকুরের পানির উপরে লাল সর পড়লে খড়ের রশি টেনে তা তুলে ফেলতে হবে অথবা ইউরিয়া সারের ঘন দ্রবণ ছিটিয়ে দিতে হবে;
  • পুকুরের মাটিতে বিষাক্ত গ্যাস জমা হলে হড়রা টানতে হবে;
  • খারাপ আবহাওয়ায় ও শীতের সময় মাছকে কম খাদ্য দিতে হবে।

চ. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা :

মাছচাষ যেহেতু কৃষিজাত পণ্যের একটি অংশ এবং ঋতু নির্ভরশীল। তাই এ ক্ষেত্রে অন্যান্য শিল্পের ন্যায় ঝুঁকি থাকাই স্বাভাবিক। মৎস্যচাষির ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো হলো- বন্যা, অতিরিক্ত খরা, মাছের বাজারদর, শীতকালীন ঝুঁকি বা রোগব্যাধি, মাছ চুরি, বিষ প্রয়োগ ইত্যাদি। এসব সমস্যাদি নিম্নোক্তভাবে সমাধান করা যেতে পারে।

  • বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বন্যা আসার আগেই বড় আকারের মাছগুলো আংশিক আহরণের মাধ্যমে ধরে ফেলতে হবে;
  • শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলে যেখানে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে মাছচাষ সম্ভব নয় এমনকি গভীর বা অগভীর নলকূপের সাহায্যেও পানি বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা করা না যায় সেখানে অবশ্যই বিক্রয়যোগ্য মাছ বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে;
  • ভালো বাজারমূল্য প্রাপ্তির নিরিখে সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকলে সবাই যে মৌসুমে মাছ বিক্রি করবে তখন মাছ বিক্রি না করে পরে যখন বাজারে কম পরিমাণ মাছ থাকবে তখন মাছ বিক্রি করলে অনেক বেশি লাভ পাওয়া যেতে পারে;
  • শীতকালে যেহেতু মাছের বৃদ্ধির হার কমে যায় এবং রোগব্যাধির জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় তাই বিক্রয়যোগ্য মাছ বিক্রি করে পুকুরে মাছের জীবভর কমিয়ে দিতে হবে;
  • নমুনায়ন (Sampling) যদি দিনের বেলায় লোক সম্মুখে করা হয় তাহলে বড় মাছ দেখে লোভের বশবর্তী হয়ে অনেকেই মাছ চুরি করতে আগ্রহী হতে পারে। তাই লোকচক্ষুর অন্তরালে নমুনায়ন করা উচিত। এছাড়াও আহরণযোগ্য মাছ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্রির ব্যবস্থা করা উচিত। মাছ চুরি থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হলো বিশ্বস্ত পাহাড়াদার নিয়োগ করা ।

ছ. রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা :

মাছ জলজ প্রাণী বিধায় মৃত্যু থেকে শুরু করে এর জীবনের সকল কর্মকাণ্ডই লোকচক্ষুর অন্তরালে এবং জলীয় পরিবেশে পানির অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। তাই ব্যাপক ধরনের কোনো রোগব্যাধী দেখা না দিলে অনেকাংশেই তা মৎস্যচাষির গোচরে আসে না। যখন মৎস্যচাষির গোচরে আসে তখন অনেক ক্ষেত্রেই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই মাছচাষের ক্ষেত্রে কথায় বলে ‘রোগের চিকিৎসা নয়, রোগের প্রতিরোধ বা রোগ সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণসমূহ অনুসন্ধান এবং আগে থেকেই তা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া’। নিচে রোগ প্রতিরোধে করণীয় পদক্ষেপসমূহ দেয়া হলো :

  • শীত শুরুর আগেই পুকুরে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে; মজুত ঘনত্ব বেশি হলে আংশিক আহরণের মাধ্যমে ঘনত্ব কমিয়ে ফেলতে হবে; –
  • সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে;
  • পুকুরের পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করতে হবে।

জ. রোগাক্রান্ত মাছের চিকিৎসা :

মাছচাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও যদি রোগ হয়েই যায় তাহলে অবশ্যই রোগাক্রান্ত মাছের সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে সেই রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় বা শনাক্ত করা (Disease diagnosis)। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যাবলি দেখে রোগ নির্ণয় সম্ভব না হলে আক্রান্ত মাছের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করে কোন ধরনের সংক্রমণ হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে সেই ধরনের নির্দিষ্ট চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। যা পরবর্তী দ্বাদশ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ঝ. মাছ আহরণ ও বাজারজাতকরণ :

পুকুর থেকে মাছ ধরার পূর্বের দিন পুকুরে অবশ্যই জাল টানতে হবে এবং সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। এতে মাছ পাকা হবে অর্থাৎ মাছের দেহ শক্ত হবে। কারণ মাছের পেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য থাকলে জীবিত অবস্থায় যে এনজাইম খাদ্য হজমে সহায়তা করতো ঠিক সেই এনজাইম এবং পচনকারী ব্যাকটেরিয়া মাছ মরার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মাছকে পচাতে সহায়তা করবে।

সঠিক বাজার মূল্য প্রাপ্তির নিমিত্ত মৎস্যচাষিকে অবশ্যই উল্লেখিত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে পাঙ্গাশের ক্ষেত্রে একদম খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখা যাবে না । প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্যের অর্ধেক পরিমাণ প্রয়োগ করা যেতে পারে। আবার অনেকেই বিশেষ করে পুকুরে মাছ যখন কমে যায় তখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুকুর হতে মাছ ধরার সময় মাছকে ধরে বেশ কিছু সময়ের জন্য হাপাতে রাখেন। এমন কি কখনও কখনও প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা মাছকে এভাবে রাখা হয় । মাছকে এভাবে হাপায় রাখলে পালানোর জন্য মাছ অবিরাম চেষ্টা করে।

এ কারণে এভাবে রাখা মাছের ক্ষেত্রে মাছ মরার সঙ্গে সঙ্গেই গুণগতমানের যথেষ্ট অবনতি ঘটে। বাজারে এ অবস্থায় উত্তোলিত মাছকে আঞ্চলিক ভাষায় বাসি মাছ বলে। সদ্য ধৃত মাছ এবং বাসি মাছের বাজার মূল্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হয়। তাই সম্ভব হলে সদ্য ধৃত বা টাটকা মাছ বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করলে ভাল মূল্য পাওয়া যাবে। অপেক্ষাকৃত বড় আকারের মাছ তুলে বাজারজাতকরণ করতে হবে। সম্ভব হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে (ঈদ/পূজা) সামনে রেখে অতি সকালে মাছ বাজারজাত করতে হবে।

আশানুরূপ উৎপাদন :

এ অধ্যায়ে মাছচাষের ক্ষেত্রে যেসব মূল নিয়ম-নীতি মেনে চলতে বলা হয়েছে তা সঠিকভাবে মেনে চললে বছরে দুই ফসলে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশে) কমপক্ষে ২,০০০ কেজি মাছ উৎপাদন সম্ভব। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ লক্ষ টাকা এবং উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে নিট মুনাফা ১ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে আশা করা যায়।

ঞ. তথ্য সংরক্ষণ, পর্যালোচনা ও পরবর্তী পরিকল্পনা :

মাছচাষে সফলতা অর্জন করতে হলে পুকুর প্রস্তুতি থেকে শুরু করে মাছ বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সকল তথ্যাদি রেকর্ড বইয়ে সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন। রেকর্ড বইয়ে চাষির নাম ও ঠিকানা, পুকুরের অবস্থান, আয়তন ও বৈশিষ্ট্য, চুন, সার, বিষ প্রয়োগের মাত্রা, মজুদকৃত পোনার প্রজাতি, সংখ্যা এবং আকার, পোনা মজুদের তারিখ, চাষকালীন সময়ে সার এবং খাদ্য প্রয়োগের মাত্রা, ক্রয়মূল্য, মাছের শারীরিক বৃদ্ধির হার, মাছ আহরণ, মাছচাষে মোট ব্যয়, বিক্রয় মূল্য ইত্যাদি তথ্য নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

এসব তথ্য নিয়ে মৎস্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি আগামী মৌসুমে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মাছের উৎপাদন, গুণগতমান এবং লাভের পরিমাণ আরও বাড়ানো যেতে পারে সে বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। এসব তথ্য সুশৃঙ্খলভাবে লিপিবদ্ধ করে না রাখলে কোন বিশেষজ্ঞের পক্ষেই মৎস্যচাষিকে সঠিক পরামর্শ দেয়া সম্ভব নয় ।

 

মিশ্রচাষে পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা

 

ট. সফলতা বা ব্যর্থতার কারণসমূহ :

মাছচাষে সফলতা বা ব্যর্থতা আসতেই পারে। সফলতা বা ব্যৰ্থতা যাই আসুকনা কেন অবশ্যই এর কারণসমূহ খুঁজে বের করতে হবে। সঠিকভাবে রেকর্ড বই সংরক্ষণ করলে এর কারণসমূহ খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি কোনো কারণে ব্যর্থতা এসেই যায় তাহলে রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ সব তথ্যাদি সতর্কতার সাথে বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যর্থতার মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment