আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-পুকুরে পোনার মড়ক
পুকুরে পোনার মড়ক
রেণুপোনা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে নার্সারি কার্যক্রম অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হতে পারে । বড় মাছের চাষের চেয়ে পোনা মাছের চাষ অধিক লাভজনক। রেণু থেকে ধানী পোনা উৎপাদনে শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত রেণু টিকে যেতে পারে। আবার ধানী পোনা থেকে চারা পোনা উৎপাদনে শতকরা ৯৪ ভাগ ধানী পোনা বেঁচে থাকতে পারে।
এতদসত্ত্বেও ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর দিয়ে এমন কিছু ঘটনা চাষির অগোচরে ঘটে যেতে পারে, যার ফলে পোনার মড়ক হতে পারে বা পুকুরের উৎপাদন কম হতে পারে । এখানে রেণুপোনা উৎপাদনের পুকুরে মড়কের সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
ক. রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছের প্রবেশ
রেণুপোনা চাষের পুকুর শুকানো হলেও বিভিন্নভাবে কিছু কিছু রাক্ষুসে মাছ যেমন শোল, টাকি, শিং, মাগুর প্রভৃতি মাছ কাদার মধ্যে বা গর্তে লুকিয়ে থেকে যেতে পারে। অনেক সময় বৃষ্টির পানি উপচে বাইরে থেকে অবাঞ্ছিত মাছ পুকুরে ঢুকে যেতে পারে। ফলে রেণুপোনার পুকুরে চান্দা, পুঁটি, ছোট চিংড়ি প্রভৃতি মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে যেতে পারে। এরকম রাক্ষুসে ও বাজে মাছের কারণে পোনার উপোদন ৫০-৯০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে ।
প্রতিকারের উপায়
একবার রেণু মজুদের পর রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছের উপদ্রব দেখা গেলে রেণু মজুদ অবস্থায় প্রতিকারের সুযোগ খুব কম । তবে সত্ত্বর পুকুর যথাযথভাবে পুনঃপ্রস্তুত করে দ্বিতীয় বার রেণু মজুদ করতে হবে । তবে সাবধান থাকতে হবে যাতে কোনোভাবে এদের প্রাদুর্ভাব না ঘটে । সম্ভাব্য উৎস যেমন বৃষ্টির পানি উপচে আসা, পাখি বা জাল প্রভৃতি হতে সতর্ক থাকতে হবে । অনেক সময় পাখির মুখ থেকে বা মাছ ধরা জাল হতে জীবিত অবস্থায় রাক্ষুসে অথবা অবাঞ্ছিত মাছ দুই-একটা পুকুরে চলে আসতে পারে। পুকুর পুনঃপ্রস্তুতির সময় পাড়ে কোনো গর্তে টাকি মাছ বা শিং মাছ লুকিয়ে থাকলে তা দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে ।
খ. শামুক ও ঝিনুকের প্রাদুর্ভাব
অনেক সময় পোনা চাষের পুকুর শুকানোর পরও শামুক ও ঝিনুক জন্মাতে পারে। সাধারণাত প্রস্তুতির সময় যেসব পুকুর ভালোভাবে শুকানো না হয় এমন পুকুরে এ সমস্যা দেখা দেয়। শামুক ও ঝিনুক অধিক সংখ্যায় জন্মালে পুকুর পোনার প্রাকৃতিক খাদ্য কমে যেতে পারে। ফলে পোনার উৎপাদন কমে যায় ।
প্রতিকারের উপায়
পুকুরের রেণুপোনা মজুদ অবস্থায় কোনো ঔষধ দিয়ে শামুক, ঝিনুক মারা যাবে না। তবে হাত দিয়ে বেছে ফেলে এদের সংখ্যা কমানো যেতে পারে। পুকুরের মধ্যে নারিকেল বা খেজুরের পাতা ফেলে রাখলে শামুক এসব পাতায় লেগে থাকে । কয়েকদিন পর পর আস্তে করে এসব পাতা উপরে উঠিয়ে শামুক মারা যেতে পারে । তবে বেশি সমস্যা হলে পানি কমিয়ে তামাক পাতার গুঁড়া প্রয়োগ করে সমুদয় শামুক-ঝিনুক ধ্বংস করা যায় । ব্ল্যাক কার্প মাছ ছেড়ে প্রাকৃতিক ভাবে বা জৈবিকভাবে শামুকের প্রাদুর্ভাব কমানো যেতে পারে কারণ ব্ল্যাক কার্প মাছের প্রধান খাদ্য শামুক ।
গ. সাপ, ব্যাঙ ও ওই সাপের উপদ্রব
অনেক সময় পোনার পুকুরে সাপ ও ব্যাঙের উপদ্রব দেখা যায় । একটা ছোট ব্যাঙ দৈনিক ১০০-২০০টি রেণু খেয়ে ফেলতে পারে । রেণু একটু বড় হলে ধোড়া সাপ ও গুই সাপে খেতে শুরু করে। এদের উপদ্রবে ৫০- ৯০% পর্যন্ত উৎপাদন কমে যেতে পারে ।
প্রতিকারের উপায়
এসব প্রাণী কোনো ঔষধ দিয়ে মারা কঠিন। পোনার পুকুরে বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ যেমন চাই, চারো প্রভৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কায়িক শ্রমের দ্বারা এসব প্রাণী দূর করা ভালো। ছাতির শিক বা লোহার তৈরি কোঁচ দিয়ে খুঁচিয়ে সহজেই সাপ, ব্যাঙ প্রভৃতি মারা যায় । প্রতিরোধের জন্য বৃষ্টি পর পর ব্যাঙ যাতে পুকুরের অগভীর অংশে জন্মানো ঘাসের মধ্যে ডিম না দিতে পারে সেজন্য ঘাস পরিষ্কার করে ফেলা। খুঁজে খুঁজে ব্যাঙের ডিম বাঁশের চালনি দিয়ে তুলে ফেলার ব্যবস্থা করা ।
ঘ. ক্ষতিকর পোকার বিকাশ
রেণুপোনা ছাড়ার পর কিছু কিছু পোকা মাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যদিও আগে এদের দমনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল । এসব পোকামাকড় রেণুপোনার খাদ্য খেয়ে ফেলে কোনো কোনোটি রেণুকে ধরে খেয়ে ফেলে। বিশেষ করে হাঁস পোকার ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকা অতি জরুরি।
প্রতিকারের উপায় :
কাপড় কাচার সাবান ও সরিষা বা নারিকেল তৈল একত্রে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যায়। এক ভাগ সাবান ও তিন ভাগ তেল অল্প গরম পানিতে ভালোভাবে মিশাতে হবে। এই মিশ্রণ পুকুরের পানির সাথে মিশিয়ে সারা পুকুরের পানিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। এই মিশ্রণ পানির উপর একটা সরের মতো আস্তরণ তৈরি করে । ফলে পোকাগুলো যখন শ্বাস নিতে পানির উপর আসে তখন এই তেলের মিশ্রণ তাদের শ্বাস নালিতে ঢুকে যায় এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় । শতাংশ প্রতি ৭২ গ্রাম সাবান এবং ২১০ গ্রাম তেলের মিশ্রণ প্রয়োজন ।
ঙ. পুকুরের তলায় বিষাক্ত গ্যাস
পুকুরে জৈব সার ও খাদ্য প্রয়োগের ফলে অনেক সময় পুকুরের তলদেশে কাদার মধ্যে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় । সাধারণত পুরাতন পুকুরে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয় । তলায় গ্যাস সৃষ্টি হলে পোনা মারা যেতে পারে ।
প্রতিকারের উপায় :
পোনার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। সাময়িকভাবে সার ও খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রেখে প্রতিদিন হররা টেনে দিতে হবে । ২/৩ দিন দিক পরিবর্তন করে করে হররা টানলে তলার কাদা মোটামোটি ওলট-পালট হয়ে যাবে এবং গ্যাস কমে যাবে। এ পর্যায়ে আবার সার ও খাদ্য প্রয়োগ আরম্ভ করতে হবে ।
চ. বিভিন্ন বয়স ও আকারের পোনা
একই সাথে বিভিন্ন বয়স ও আকারের পোনা মজুদ করলে পুকুরে খাদ্য প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। ফলে বড় পোনাগুলোর সব খাদ্য খেয়ে ফেলে আর ছোটগুলো না খেতে দুর্বল হয়ে যায় । ফলে মড়ক বেশি হয় ।
প্রতিকারের উপায় :
সব সময় একই বয়স ও আকারের রেণু বা ধানী চাষের পুকুরে ছাড়ার ব্যবস্থা করা ।
ছ. প্রাকৃতিক খাদ্যের অভাব বা অতিরিক্ত উৎপাদন
পোনা চাষের পুকুরে পরিমিত পরিমাণ প্রাকৃতিক খাদ্য বাঞ্ছনীয় যদি খাদ্য ঘাটতি হয় অর্থাৎ সেকিডিক্স গভীরতা ৩০ সে. মি. এর বেশি হয় তাহলে পোনার বৃদ্ধি কমে যায়। এ ঘাটতি বেশি ও স্থায়ী হলে পোনা মারা যেতে পারে । পক্ষান্তরের প্রাকৃতিক খাদ্যের অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে পানির রঙ ঘন সবুজ দেখায় ।
তখন সেকিডিক্স গভীরতা ২০ সে.মি. এর নিচে নেমে আসে। এ অবস্থায় রাতের বেলায় পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে এবং ব্যাপকভাবে পোনার মড়ক দেখা দিতে পারে ।
প্রতিকারের উপায় :
প্রাকৃতিক খাদ্য ঘাটতির সময় নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে । অত্যধিক প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপন্ন হয়ে গেলে পুকুরের সার ও খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে পুকুরে কিছু নতুন পানি দিতে পারলে ভালো হয় ।
জ. কম গভীর পুকুরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি
পোনা চাষের পুকুর সাধারণত অগভীর হয়ে থাকে। কিন্তু যদি বেশি অগভীর হয় এবং গরমের সময় পানি উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে ব্যাপকভাবে পোনা মারা যেতে পারে । কারণ রেণু পোনা খুব বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না।
প্রতিকারের উপায় :
সম্ভব হলে পুকুরে নতুন পানি সরবরাহ করতে হবে। পুকুরের মাঝখানে খানিকটা জায়গায় ছায়ার ব্যবস্থা রাখা হলে পুকুরে রোগের সময় পোনা ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারে। নারিকেল পাতা দিয়ে মাচা তৈরি করে ছায়ার ব্যবস্থা করা যায় । ছোট ছোট কচুরিপানা বা টোপাপানা কঞ্চি দিয়ে বেড়ার মতো দিয়ে মাঝখানে গোল একটা জায়গায় আটকে রাখে ছায়ার ব্যবস্থা করা যায় তবে এরকম ছায়ার ব্যবস্থা পুকুরের মোট আয়তনের ১০% জায়গার বেশি হবে না ।
সদ্য জন্মলাভ করা রেণু খুবই স্পর্শকাতর হবে এটাই স্বাভাবিক । তাই কোনো কারণে যেন এদের অসুখ বিসুখ না হয় বা কোনো প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেদিক সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার। আর একবার কোনো রোগ ব্যাধির আক্রমণ হয়ে গেলে তার কোনো সহজ প্রতিকার সম্ভব হয় না। তাই রেণুপোনার যাতে কোনো রোগ না হতে পারে সেজন্য হ্যাচারিতে স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার ।
হ্যাচারিতে রেণুপোনার যেসব রোগ-বালাই সচরাচর দেখা যায় সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো ।
পরজীবীঘটিত রোগ :
ক) সাদা দাগ রোগ :
রোগজীবাণু :
ইকথায়োপথিরিয়াস মালটিফিলিস (Ichthyopthirius Multiphilis) নামের এককোষী পরজীবী এ রোগ ঘটায়।
রোগের বিস্তার : চাষোপযোগী মাছের জন্য খুবই অনিষ্টকারী রোগ। দেশি কার্পজাতীয় মাছে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। চীনা কার্পেও এ রোগের সংক্রমণ ঘটে থাকে।
আঙ্গুলে পোনার ক্ষেত্রে এ রোগের সংক্রমণের তীব্রতা বেশি হয়। স্বাদু ও আধা লোনা পানির পুকুরে সাদা দাগ রোগ পরিলক্ষিত হয়। এ রোগের সংক্রমণ ও তীব্রতার মাত্রা ২৫°-২৬° সে. তাপমাত্রায় বৃদ্ধি পায় গ্রীষ্মকাল ও বসন্তকালে সাদা দাগ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় । পুকুরে অতিরিক্ত সংখ্যায় মাছ মজুদ এ রোগের একটি অন্যতম সহায়ক কারণ ।
রোগের লক্ষণ
i. মাছের ত্বক, পাখনা এবং কানকোয় বিন্দুর মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা ফোটা দেখা যায় ।
ii. রোগের তীব্রতা খুব বেশি হলে মাছের ত্বক সাদা ঝিল্লিতে ঢাকা পড়ে যায় ।
iii. মাছের গায়ের পিচ্ছিল আবরণ কমে যায় ও স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য হারায় ।
iv. পরজীবী সংক্রমণের শুরুতে মাছ পানিতে লাফালাফি শুরু করে এবং কোনো কিছুতে গা ঘষতে থাকে ।
v. আক্রান্ত মাছের পাখনা মুড়িয়ে যায় ।
vi. মাছ অলসভাবে চলাফেরা করে, খাদ্য গ্রহণ করতে অনীহা দেখায় ।
vii. আক্রান্ত মাছ বহিঃপ্রণোদনে (External Stimuli) ধীরগতিতে বা দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
viii. পানির উপরিভাগে দীর্ঘ সময় ধরে ভেসে থাকে।
খ) ট্রাইকোডাইনিয়াসিস
এটি একটি এককোষী পরজীবীঘটিত রোগ।
রোগজীবাণু – ট্রাইকোডিনা গন এর কয়েকটি প্রজাতির পরজীবীর সংক্রমণে এ রোগ দেখা দেয়। যথা ট্রাইকোডিনা ঘুমারওই (Trichodina domergei), ট্রাইকোডিনা পেডিকুলাস (T. pediculus), ট্রাইকোডিনা নিগ্ৰা (T.nigra) ইত্যাদি। ট্রাইকোডিনা প্রধানত মাছের ফুলকাকে আক্রান্ত করে।
রোগের বিস্তার ।
ধানী পোনা ও আঙ্গুলে পোনার ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায় । রুই জাতীর মাছের পোনা, বিশেষ করে গ্রাসকার্পের পোনা এ রোগের প্রতি অধিক সংবেদনশীল। আক্রান্ত মাছের স্পর্শে এবং পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় । প্রাপ্তবয়স্ক মাছ এ রোগের বাহক। মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়।
অপেক্ষাকৃত ছোট ও অগভীর জলাশয়ে এবং পানির গুণাগুণ খারাপ হলে এ রোগের দ্রুত সংক্রমণ ঘটে থাকে। নার্সারি পুকুরে মাত্রাতিরিক্ত পোনা মজুদ এ রোগের একটি সহায়ক কারণ। এ রোগে পোনা মাছের ব্যাপক হারে মড়ক দেখা দেয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ।
রোগের লক্ষণ
i. পোনা মাছের শরীর অধিক উজ্জ্বল (mucus) দেখা দেয় ।
ii. আক্রান্ত মাছের ফুলকায় রক্তক্ষরণ হয় ।
iii. পোনামাছ খাদ্য গ্রহণের অনীহা দেখায় ।
iv. ফুলকারশ্মিতে (gill filament) পচন ধরে এবং ফুলকা শলাকা (gill racker) বের হয়ে যায় ।
v. মাছের ফুলকা এবং দেহের বিভিন্ন অংশে গোলাকার হলদে দাগ দেখা দেয় ।
vi. মাছ দ্রুত ও অবিশ্রান্তভাবে চলাফেরা করতে থাকে ।
vii. আক্রান্ত পোনা মাছ দ্রুত মারা যায় ।

পরজীবীঘটিত রোগের প্রতিকার :
এ রোগগুলো এককোষী পরজীবী দ্বারা হয় । কার্প জাতীয় এবং ক্যাটফিশ (মাগুর, পাঙ্গাশ মাছে ও এদের আক্রমণ হতে পারে । এগুলো মাছের ত্বক, লেজ, পাখা ও ফুলকায় আক্রমণ করে । আক্রান্ত মাছকে আলাদা পাত্রে ৫০ পি. পি. এম ফরমালিন, অথবা ১.০ পি.পি. এম. তুঁতে (Copper Sulphate) বা ২.৫% লবণ দ্রবণে যতক্ষণ মাছ সহ্য করতে পারে ততক্ষণ গোসল করাতে হবে।
এরপর পরিষ্কার পানিতে কিছুক্ষণ চুবানোর পর মজুদ পুকুরে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং সমস্ত পুকুরে ছড়িয়ে পড়লে সপ্তাহে ২০-২৫ পি.পি.এম হারে পুকুরে ফরমালিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে ভালো ফল পাওয়ার আশা করা যায়। এ ছাড়া ৩-১০ পি.পি.এম অ্যাক্রিফ্লাভিন এর মধ্যে আক্রান্ত মাছকে দীর্ঘক্ষণ গোসল করালে ভালো ফল পাওয়া যায় ।
আরও দেখুন: