আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-আর্টিমিয়া ফুটানোর কৌশল
আর্টিমিয়া ফুটানোর কৌশল
আর্টিমিয়া হচ্ছে একপ্রকার লোনা পানির চিংড়ি। দক্ষিণ আমেরিকায় উপকূলে লবণাক্ত পানিতে এদের চাষ করা হয় এবং এদের ডিম কৌটাজাত করে রপ্তানির জন্য সংরক্ষণ করা হয়। আর্টিমিয়ার ভিম দেখতে ঘুণের গুঁড়া বা শাপলা ফুলের দানার মতো লাল রঙের। আর্টিমিয়ার ভিম লবণাক্ত পানিতে কয়েক ঘণ্টা রাখলে ফুটে বাচ্চা বের হয় যা মাছের পোনার উপযুক্ত খাদ্য। ডিম ফাটার পর বাচ্চাকে আর্টিমিয়া নগ্নি বলে ।
ডিম ফুটানোর পদ্ধতি
৪-৫ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কাচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের পাত্র হলে ভালো হয়। এই পাত্রে ২৮-৩০ পিপিটি (এক হাজার ভাগের এক ভাগ) লবণাক্ত পানি নিতে হবে। লবণাক্ত পানির অভাবে লিটার প্রতি ৩০ গ্রাম খাবার লবণ মিলিয়ে নিলে চলবে। পাত্রটি আলোকময় স্থানে রাখতে হবে যাতে তাপমাত্রা ২২ ৩০° সে. এর মধ্যে হয় ।
এবার পাত্রে মধ্যে আর্টিমিয়ার ডিম ফুটানোর জন্য দিতে হবে এবং পাত্রের মধ্যে বাতাস প্রবাহের জন্য এরেটর লাগিয়ে দিতে হবে। এরেশন এমন বেগে হতে হবে যাতে আর্টিমিয়ার ডিম পাত্রের তলায় জমা না হয় । ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। ডিম ফুটে বের হলে বাচ্চাকে নগ্নি বলে ।
ডিম ফুটানোর পর পর নগ্নিকে আলাদা করে ফেলে এবং ডিমের খোসা ও নষ্ট ডিম ফেলে দিতে হবে । নগ্নি আলাদা করার জন্য এরেটর বন্ধ করে দিতে হবে। ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ডিমের খোসা পানির উপর ভেসে উঠবে এবং নষ্ট ডিম পাত্রের তলায় তলানি হিসেবে জমা হবে । নগ্নির রঙ লাল তাই ডিম ফোটার পর পানি দেখতে লাল মনে হয় ।

এবারে সতর্কতার সাথে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে সাইফন করে মরা বা নষ্ট ডিম সরিয়ে ফেলতে হবে। একইভাবে উপরের স্তর হতে ভেসে ওঠা ডিমের খোসা ফেলে দিতে হবে। এবারে পরিষ্কার নগ্নি প্লাঙ্কটন নেটের সাহায্যে হেঁকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে মাছের রেণুকে খাওয়াতে হবে ।
আরও দেখুন: