বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান – যা বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ এর অন্তর্ভুক্ত।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মৎস্য সম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে যে সকল দ্রব্য রপ্তানি হয়েছে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য তার মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। প্রথম স্থানে তৈরি পোশাক অর্থাৎ মোট রপ্তানির প্রায় ৬১.৩৯ শতাংশ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য মোট রপ্তানির প্রায় ১৩.৪৫ শতাংশ অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির প্রায় ৯.১২ শতাংশ অর্জন করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

কিন্তু সত্যিকার অর্থে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের পরেই মৎস্য পণ্যের স্থান হওয়া উচিত। কারণ তৈরি পোশাক থেকে যে আয় হয় তার সিংহভাগই তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানিতে পূর্বেই ব্যয় হয়ে যায়। বিগত ২০১৪-১৫ও ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত কি পরিমাণ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে এবং এ খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যান নিচের সারণি-১ এ দেয়া হলো।

সারণি-১ : বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

 

বিভিন্ন প্রকার মাছের পুষ্টি উপাদান

পুষ্টি সচেতনার ক্ষেত্রে এখনও আমাদের মাছের পুষ্টিগুণ বিষয়ে অনেক কিছু জানার আছে। জাতিগতভাবে বংশ পরম্পরায় আমাদের পূর্বপুরুষরা যে সকল প্রজাতির মাছ খেতেন, শুধুমাত্র সেই প্রজাতির মাছই আমরা খেয়ে অভ্যস্ত বা খেতে পছন্দ করি। এ কারণে বাজারে ঐসকল প্রজাতির মাছের চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়ছে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

অথচ দ্রুত বর্ধনশীল, বাজারে সহজলভ্য, পুষ্টিগুণে ভরপুর সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প, বিগহেড, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া প্রভৃতির বাজার মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু পুষ্টিগত দিক বিবেচনা করলে দামী মাছ বলে খ্যাত ঐসব মাছের চেয়ে উল্লেখিত প্রজাতির মাছসমূহের পুষ্টিগুণ কোন অংশেই কম নয়, বরং সমতুল্য যা নিচের সারণি-২ এ দেখানো হলো-

সারণি-২ : কতিপয় দেশী ও বিদেশী প্রজাতির মাছের পুষ্টি উপাদান (আমিষ)

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

 

এ ছাড়াও দামী মাছ বলে খ্যাত রুই, কাতলা, মৃগেল, ইলিশ, ইত্যাদি মাছের চেয়ে বাজারে সচরাচর পাওয়া যায়, যেমন- পুঁটি, খলিসা, মলা, ঢেলা ইত্যাদি ছোট মাছের পুষ্টিগুণ কোনো অংশেই বড় মাছের চেয়ে কম নয়। বরং ছোট মাছ কাঁটাসহ খাওয়া যায় বলে পুষ্টিগত দিক থেকে বড় মাছের চেয়ে ভালো। নিচে সারণি-৩ এ বিভিন্ন প্রকার মাছের পুষ্টিগুণের একটি তালিকা দেয়া হলো-

সারণি-৩ : বিভিন্ন প্রকার মাছের পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রামে)

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment