সম্পূরক খাদ্যের উপাদান | অধ্যায়-৯ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – সম্পূরক খাদ্যের উপাদান । যা “বাগদা চিংড়ির খাদ্য ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

সম্পূরক খাদ্যের উপাদান

 

সম্পূরক খাদ্যের উপাদান | অধ্যায়-৯ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

সম্পূরক খাদ্যের উপাদান

আমাদের দেশে প্রাপ্য চিংড়ির সম্পূরক খাদ্য তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরণের উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সমত উপাদান সঠিক মাত্রায় মিশ্রণের মাধ্যমে সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা যায়। চিংড়ি স্বাস্থ্য ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ বা রাসায়নিক দ্রব্য কোনো অবস্থাতেই সম্পূরক খাদ্য তৈরির সময় ব্যবহার করা উচিত নয়।

সম্পূরক খাদ্য তৈরির উপাদানসমূহ, যেমন- ফিসমিল, শ্রিম্পমিল, সয়াবিন মিল, পোকা-মাকড়, মথ, কেঁচো, শামুক ঝিনুকের মাংসালো অংশ, খৈল, চালের কুঁড়া, গমের ভুষি, শুকনো শেওলার গুঁড়া, চালের খুদ, রেশম কীটের গুঁড়া, স্কুইড নামক প্রাণীর গুঁড়া প্রভৃতির মাধ্যমে অতি সহজেই চিংড়ির সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা যায়।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বাগদা চিংড়ির উপযোগী কৃত্রিম খাদ্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো:

ক) খাদ্য সহজেই গ্রহণযোগ্য হওয়া প্রয়োজন।

খ) সহজেই পরিপাক উপযোগী।

গ) চিংড়ির খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ আমিষ, শর্করা, চর্বি, খাদ্যপ্রাণ, ভিটামিন, খনিজ পদার্থমিনারেল থাকা আবশ্যক।

ঘ) খাদ্য পুষ্টির অপচয় রাধেকল্পে প্রস্তুতকৃত পিলেট খাবার যতটা সম্ভব শক্ত হওয়াই শ্রেয়। পিলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত বাইন্ডার চিংড়ির জন্য যেন ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখা।

 

সম্পূরক খাদ্যের উপাদান | অধ্যায়-৯ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

শ্রিম্প পিলেট তৈরির ক্ষেত্রে পিলেটের আকার ও পুষ্টিগত বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচের সারণিতে উল্লেখ করা হলোঃ

সারণি: পিলেটের আকার এবং সাধারণ পুষ্টিগত বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্যনার্সারিস্টার্টারগ্রোয়ারফিনিসার
চিংড়ির ওজন (গ্রাম)০-০.৩৫০.৩৫-৪৪-১৮১৮-২৩
পিলেটের আকারমিহি, মধ্যম মানের, দানাদারছোট পিলেটমাঝারী পিলেটলম্বা পিলেট
পিলেটের ব্যাস০.৫, ১.০, ২.০ মিমি৩/৩২ ইঞ্চি৩/৩২ ইঞ্চি৩/৩২ ইঞ্চি বা ১/৮ ইঞ্চি
প্রোটিন (%)৩৫৩০-৩৫২৫-৩০২৫-২০
লিপিড (%)
অ্যাস (%)
আর্দ্রতা (%)১০১০১০১০
প্রয়োজনীয় শক্তি (কিলোক্যালরি/কেজি)৩৫০০৩৫০০৩৫০০৩৫০০

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment