Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য – যা মুক্ত জলাশয় ব্যবস্থাপনা এর অন্তর্ভুক্ত।

মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

 

 

মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

প্রজননক্ষম মাছকে রক্ষার মাধ্যমে মাছের বংশবৃদ্ধি ও মজুদ বৃদ্ধিকরণ;

মাছকে তার সংকটময় মুহূর্তে রক্ষা করা; বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতিকে রক্ষা করা, ও

জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মৎস্য অভয়াশ্রমের স্থান নির্বাচন

জলাশয়ের যেখানে ডিমওয়ালা মাছ থাকে বা মাছ ডিম ছাড়ে (সাধারণত গভীরতম অংশ) বা যে অংশ ছোট পোনার নার্সারি হিসাবে ব্যবহৃত হয় সে অংশ সারা বছরের জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট মৌসুমে সংরক্ষণের জন্য  চিহ্নিত ও নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয় | মাছের স্বাভাবিক বিচরণ স্থল, প্রজনন স্থান ইত্যাদি চিহ্নিত করে অভয়াশ্রমের স্থান নির্বাচন করতে হবে। স্থান নির্বাচনের সময় জলমহালের ভৌত অবস্থা, গতি-প্রকৃতি, গভীরতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হবে |

যেসব জলাশয়ের পানির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল এবং পানি নিয়ন্ত্রণে মানুষের করণীয় খুব বেশি কিছু থাকে না সেগুলোকে মুক্ত জলাশয় বলে। বন্যার পানি, নদী, খাল, বিল, হাওর, বাঁওড়, হ্রদ, মোহনা ইত্যাদি মুক্ত জলাশয়ের শ্রেণিভুক্ত। মুক্ত জলাশয়ের পরিসীমা কোন পাড় বা বাঁধ দ্বারা সীমিত নয় বিধায় এসব জলাশয়কে মুক্ত জলাশয় বলে।

আমাদের দেশে ৪৩.৪৭ লক্ষ হেক্টর অভ্যন্তরীণ জলাভূমি রয়েছে। এর মধ্যে মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ প্রায় ৪০.৪৭ লক্ষ হেক্টর। নানাবিধ প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট কারণে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাভূমি অর্থাৎ নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, প্লাবনভূমি ইত্যাদি অবক্ষয়ের ফলে ক্রমান্বয়ে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। একই সঙ্গে অনেক মূল্যবান মৎস্য প্রজাতির অবলুপ্তিসহ সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র্যের দ্রুত অবক্ষয় ঘটছে ।

 

 

নদীর গভীর অংশ কিন্তু স্রোত তুলনামূলকভাবে কম এমন স্থান নির্বাচন করা উচিত; মাছের জৈবিক আচরণ বিশেষ করে মাছের মাইগ্রেশানের অবস্থা, পোনা মাছের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে নার্সারির অবস্থান, নৌ চলাচল বা কোনোরূপ ফেরী ঘাটের অবস্থান ও সংশ্লিষ্ট পারিপার্শ্বিক অবস্থা স্থান নির্বাচনের সময় বিবেচনায় আনতে হবে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version