আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ভাইরাসজনিত রোগ যা ইউনিট ৩ রোগ ও রোগের কারণ এর অংশ।
এ পাঠ শেষে আপনি-
- ভাইরাস সংক্রমণে মাছ যেসব রোগে আক্রান্ত হয়, সেগুলোর নাম বলতে পারবেন।
- মাছের রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন
- ভাইরাসের নাম বলতে পারবেন।
- ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তারে প্রকৃতি বর্ণনা করতে পারবেন।
- ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগের লক্ষণ বলতে পারবেন।
গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে চার্জযোগ্য মাছে ভাইরাসজনিত রোগ সচরাচর দেখা যায় না। শীত প্রধান দেশের জলাশয়ে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ বেশি পরিলক্ষিত হয়। দেশী কার্পজাতীয় মাছে সাধারণও ভাইরাসজনিত রোগ কম হয়। ভাইরাসজনিত রোগে মাছে ব্যাপক হারে মড়ক দেখা দেয়। চীনা কাপ, যা কমন কার্প এবং গ্রাস কার্ণে প্রধানত দুটি ভাইরাসজনিত রোগ দেখা যায়।
ক. স্প্রিং ভাইরেমিয়া
খ. র্যাবডোডাইরাস রোগ
ভাইরাসজনিত রোগ
স্প্রিং ভাইরেমিয়া (spring viraemia)
এটি ড্রপসি নামে বহুল পরিচিত। সংক্ষেপে এ রোগ এসডিসি Spring viraemia of carp (SVC) নামেও পরিচিত।
রোগ জীবাণু : র্যাবডোভাইরাস কার্পিও (Rhabdovirus carpio) নামক ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগ সৃষ্টি হয়।
রোগের বিস্তার ও এই রোগ কমন কার্পের জীবনচক্রের সব দশাতেই সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
কার্পের অন্যান্য প্রজাতিতের এই রোগের প্রাদুর্ভাব কখনো কখনো দেখা যায়। এই রোগ প্রাথমিকভাবে ভাইরাস সংক্রমণে সংঘটিত হয়। অনেক সময় অ্যারোমোনাস প্রজা]ি (Aeromonas sp. J ব্যাকটেরিয়া মাধ্যমিক সংক্রমণ ঘটায়। এতে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
এটি একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগের ভাইরাস মাছের মন এবং মূত্রের সাথে পানিতে অবমুক্ত হয়। রক্তশোষণকারী বহুকোষী পরজীবী লোক (Piscicola geomatra) এবং আরা (Argulus Joliaccus) র্যাবডোভাইরাসের শোষক হিসেবে কাজ করে।
এই ভাইরাস পানির সাথে হুড়ায় এবং মাছের ফুলকার বংশবিস্তার করে। এই রোগে আক্রান্ত মাছ প্রজননে ব্যবহার করা হলে উৎপাদিত পোনা মাছেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত মাছ নিরাময় হলে দ্বিতীয় বার আর এই রোগে আক্রান্ত হয় না। কিন্তু দেহে সারাজীবন এই ভাইরাস বহন করে চলে।
এক্ষেত্রে ভাইরাস উক্ত মাছের দেহে সুপ্তাবস্থা থাকে এবং মাছ বাহক হিসেবে কাজ করে। অনুকূল পরিবেশে র্যাবডোভাইরাস পোষক মাছের দেহ থেকে বো হয়ে অন্যান্য মাছে রোগের সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণত বসন্তকালে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে এই রোগের প্রকোপ বেশি পরিলক্ষিত হয়।
রোগের লক্ষণ
- মাছ পানি নির্গমনের (outlet) স্থানে জড়ো হয়।
- মাছের দেহ গাঢ় বর্ণ ধারন করে ।
- মাছের দেহ গহ্বরে লালচে ঘন তরল পদার্থ জথা হয় ও পেট ফুলে যায়।
- মাছের ত্বক ও ফুলকার রক্তক্ষরণ হয়। মাছ দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
- মাছের পায়ুপথে প্রদাহ হয়।
- চোখ ফুলে যায় ও বাইরের দিকে বের হয়ে আসে।
- মাছের এবং রক্তক্ষরণ হয়।
র্যাবডোডাইরাস রোগ (Rhabdovirus disease)
রোগজীবাণু ও ব্যানডোভ (Radiovirus ap)
রোগের বিস্তার
এই রোগ প্রধানত মাস কার্পে সংক্রমিত হতে দেখা যায়। রোগের বিস্তারের ধরন ও অর্থভারণ প্রিং ভাইরেমিয়ার অনুরূপ। জলজ পরিবেশের বিভিন্ন ভৌত-রাসায়নিক পাবনার ব্যাপক গরমিল বা ওঠা-নামায় এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

রোগের লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণ ড্রপসির অনুরূপ।
প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো হলো-
পায়ুপথে প্রদাহ ও র মহিশের গোড়ায় রয়।
পছিয়ে যায় পচন ধরে। পরিপাক নালীতে প্রা
অনুশীলন ( Activity) : মায়ের দেহে ভাটের ভাইরাসজনিত রোগের রোগজীবাণুর বৈজ্ঞানিক নামের তালিকা তৈরি
সারমর্ম :
দেশে তাই রোগ তেমন একটা দেখ তা ভাইরাসজনিত- রোগে অধিক আক্রান্ত সাধারণত ভাইরাসজনিত -রোগে স্প্রিং ভাইরেনিয়া কার্পিও এবং ধারাভাইরাস রোগ মাস কার্পের প্রধান ইরাকি মারে দে রে রা হয়ে মাছের পেট খুে এবং চোখ বাইরের দিকে বের হয়ে আসা ভাইজনিত রোগের এবং র্যাবডোভাইরাস রোগ সংক্রামক রোগ। রোগে মাছে ব্যাপক হারে মত দেখা দেয় ।
আরও দেখুনঃ