রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়- রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় যা  ইউনিট ২ মাছের স্বাস্থ্য অংশ।

এ পাঠ শেষে আপনি-

  • মাছের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও রোগ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বলতে রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় বর্ণনা করতে পারবেন।
  • মাছের রোগ প্রতিরোধে করণীয় পদক্ষেপগুলোর উল্লেখ করতে পারবেন।

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয় এই ভিত্তিতেই মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণের মূলনীতি রোগ প্রতিরোধ। মাছে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগ নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত। পানিতে বসবাস করে বিধায় মাছের বিভিন্ন কার্যাবলী ও আচরণ পর্যবেক্ষণ কষ্টসাধ্য।

এ কারণে নির্ভুলভাবে মাছের রোগ নিরূপণ করা এবং রোগ সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অধিকতর কষ্টসাধ্য। আবার অনেক রোগই মাছকে খাদা প্রদানের পদ্ধতির সাথে সংশ্লিষ্ট। একারণে মুখে ওষুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরী হয় না।

অন্যদিকে রোগাক্রান্ত মাছকে জীবাণুযুক্ত (disinfect) করার জন্য কোন দ্রবণে ডুবানো বা গোসল করানোর পদ্ধতি বড় খামার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাস্তবিকপক্ষে সম্ভব হয় না। এসব বিবেচনায় সুষ্ঠুভাবে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই উত্তম।

রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়

মাছের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং সফলভাবে রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণঃ

১. জলজ পরিবেশের গুণাবলী যথাযথ মাত্রার সংরক্ষণ

২. দূষণ নিয়ন্ত্রণ

৩. জলাশয়ের স্থান নির্বাচন

৪. সুষ্ঠু মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা

৫. নিয়মিত মনিটরিং এবং

৬. জলজ পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

 

রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়

 

নিচে মাছের রোগ প্রতিরোধের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ (controlling water quality )

জলজ পরিবেশের বিভিন্ন গুণাবলী, যেমন পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা, পি.এইচ তাপমাত্র অ্যামোনিয়া, মুক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড, মোট ক্ষারত্ব ইত্যাদি মাছের জীবনযাত্রায় নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভূমিকা রাখে। এসব গুণাবলী কাঙ্ক্ষিত মাত্রার না হলে মাছ পরিবেশগত পীড়নের শিকার হয় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়।

পানির বিভিন্ন ভৌত-রাসায়নিক গুণাবলীর মাত্রা অনুকূল সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করে মাছকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। পানির বিভিন্ন গুণাবলীর অনুকূল মাত্রায় মাছ সুদ হারে বৃদ্ধিযাপ্ত হয় এবং মাছের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মজুত ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য প্রয়োগ (rearing managemet & feeding ) মাছের রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে পুকুরে ভাল পরিবেশ বজায় রাখতে হয়। সঠিক সংখ্যায় পোনামাছ মজুতকরণ, নমুনায়নের সময় যত্নের সাথে মাছ নাড়া-চাড়া করা এবং সতর্কতার সাথে পরিবহ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অধিক উৎপাদনের জন্য পোনা মজুতের পর পুকুরে পর্যান্ত প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণে মাছের পূর্ণ পুষ্টিসাধ হয় না। পরিপূর্ণ পুষ্টিসাধনের লক্ষ্যে পুকুরে সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। সুষম খাদ্য গ্রহণে মাছ সুস্থ-সবল থাকে এবং এতে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এন্টিবায়োটিকযুক্ত সম্পূরক খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

তার প্রয়োগে পুকুরের পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে মাছে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং সঠিক সংখ্যায় পোনা মজুত, পরিমিত সার প্রয়োগ ও সুষম খাদ্য সরবরাহ করে মাছের বিভিন্ন রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

পুকুর জীবাণুমুক্তকরণ (pond disinfection)

পুকুর শুকনো এবং পুকুরে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে পুকুর জীবাণুযুক্ত করে সফলভাবে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। পুকুর জীবাণুমুক্তকরণের লক্ষ্যে মাঘ-ফাল্গুন মাসে পুকুর শুকিয়ে ফেলে তলায় অতিরিক্ত কাদা থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর তলায় চাষ দিয়ে রোদে কয়েকদিন শুকাতে হবে।

সূর্যালোক সর্বাপেক্ষা উত্তম জীবাণুমুক্তকারক শুকনা পুকুরে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করলে তলার মাটি জীবাণুমুক্ত হয়। অতঃপর উক্ত পুকুরে যথানিয়মে মাছ চাষ করা হলে সাধারণত কোন রোগ-বালাই দেখা দেয় না। চুন প্রয়োগের মাত্রা মাটির পি.এইচ-এর ওপর ভিত্তি করে কম-বেশি হতে পারে।

মজুদ পুকুরে পোনামাছ ছাড়ায় ৪-৫ দিন পূর্বে নার্সারি বা চারা পোনার পুকুরে ০.২৫ পিপিএম হারে ম্যালথিয়ন প্রয়োগ করে চাষকৃত মাছের পরজীবীঘটিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও পোনা মজুদের সময় পুকুর প্রস্তুতকালে একবার এবং কার্তিক মানে একবার প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করে মাছের জীবাণুটি (pathogenic) প্রায় সব রোগই প্রতিরোধ করা যায়। আরগুলাসজাতীয় পরজীবীর সংক্রমণ দেখা দিলে পুকুরে ০.৫ পিপিএম হারে ডিপটারেক্স সপ্তাহান্তে ২বার প্রয়োগ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায় ।

উপকরণ জীবাণুমুক্তকরণ (disinfection of appliances)

মাছ চাষে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ, যেমন- পোনা পরিবহন পাত্র, ছাপা, খাদ্য প্রদানের পাত্র, জাল বা মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম রোগজীবাণু ও পরজীবীর বাহক হিসেবে কাজ করে। এসব উপকরণ এক জলাশয় হতে অন্য জলাশয়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সেগুলো ভালভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। সাধারণভাবে ৪০-৫০ পিপিএম মাত্রার ব্রিচিং পাউডার দ্রবণে এসব উপকরণ ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে জীবাণুযুক্ত হয়। অতঃপর শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা যায়।

বিভিন্ন বয়সের মাছ পৃথকভাবে লালন পালন (separation of year-class fish populations )

অনেক সময় প্রজননক্ষম এবং বয়স্ক মাছ অনেক রোগজীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে। কিছু এসব মাছ রোগাক্রান্ত হয় না। পূর্বে মাছ ঐসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেহে উক্ত রোগের স্বাভাবিক প্রতিরোধক ব্যবস্থা (immune system) গড়ে ওঠে। ফলে মাছ উক্ত রোগজীবাণুর উত্তরজীবী (survivor)-তে পরিণত হয়।

কিন্তু ঐসব রোগ জীবাণু অপেক্ষাকৃত কম বয়সের মাছ বা ভিন্ন বয়সগ্রুপের মাছে রোগের সংক্রমণ ঘটায়। সুতরাং ভিন্ন ভিন্ন বয়স গ্রুপের যাছকে আলাদা ভাবে পালন করে মাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

 

রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায়

 

মরা বা রোগাক্রান্ত মুমূর্ষ মাছ অপসারণ (removal of dead / moribund fish)

এক পোষক হতে অন্য পোষকে গমন বা স্থানান্তরের মাধ্যমে রোগজীবাণুর সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। রোগাক্রান্ত মরা মাছে বা মুমূর্ষু মাছে রোগজীবাণু দ্রুত বংশ বিস্তার করে। তাই মরা ও মুমূর্ষু মাছ পুকুর থেকে যথাশীঘ্র সম্ভব অপসারণ করে রোগ সংক্রমণের তীব্রতা হ্রাস করা যায়।

রাসায়নিক প্রতিরোধ (chemoprophylaxis)

মাছকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে, রাসায়নিক দ্রবণে মাছকে ডুবিয়ে রেখে বা পুকুরে প্রয়োগ করে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। নির্দিষ্ট রাসায়নিক দ্রব্য নির্দিষ্ট রোগজীবাণু মেরে ফেলে বা পানির গুণাবলীর উন্নয়ন করে রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন রোগ এবং রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মাছের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োগ করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ২-0% রে সাধারণ শৰণ প্ৰবণ ব্যবহার করে অল্প বারে এবং বিভিন্ন ধরনের পরজীবী অধীন কে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। মাঝে মাঝে ২-০ পিপিএম হারে পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট প্রয়োগ করে পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো যায় এবং এতে মাছের রোগ প্রতিরোধ হয়।

নমুনায়ন বা অন্য কোন কারণে হয় মাছ ৫০০-১০০০ পিপিএম পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দ্রবণে কয়েক সেকেন্ড ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়া হলে মাছের  রোগ-বালাই প্রতিরোধ হয়।

শারীরবৃত্তীয় প্রতিরোধ সৃষ্টি (Immunization)

কৃত্রিমভাবে শারীরিক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে মাছের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে সব রোগে ব্যাপকহারে মাছের মড়ক দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে রোগ প্রতিরোধ করা হয়। শারীরবৃত্তীয় প্রতিরোধক কয়েকটি পদ্ধতিতে সৃষ্টি করা যায়। যথা-

১. নিমজ্জনের (immersion) মাধ্যমে

২. প্রবণের ধারা দিয়ে (spary shower )

৩. ভ্যাকসিন দিয়ে (vaccination)

সাধারণত ছোট পোনা মাছ (১-৪ গ্রাম) এবং রেণু নির্দিষ্ট রাসায়নিক দ্রবণে নিমজ্জনের মাধ্যমে অনেক সংজ্ঞাকে রোগা প্রতিরোধ করা যায়। আঙ্গুলে পোনা (fingerling) বণের ধারা নিয়ে ইমুনাইজেশন করা হয়। ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে কার্পজাতীয় মাছের ব্যাকটেরিয়াজনিত কলামনাধি রোগ, রক্তক্ষরণ সেপটিসেমিয়া (haemorrhagic Septicaemia) এবং ভাইরাসজনিত রোগ স্প্রিং ভাইরেসিয়া অব কার্প (SVC) সহজেই সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়।

প্রজননে ব্যবহৃত পরিপক্ষ মাছে অ্যাকসিন দিয়ে অনেক সংক্রামক রোগ খুবই সহজে প্রতিরোধ করা যায়। এতে পোনার শরীরে নির্দিষ্ট রোগের প্রতিরোধক সৃষ্টি হয় ও রোগ প্রতিরোধ হয়।

সংগনিরোধ (quarantine )

করে ভিন্ন কোন দেশ মোদীর ক্ষেত্রে সতিত্ব ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত ভিন্নতার কারণে কোন স্থানের সাধারণ রোগ অন্যস্থানে মহামারী হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই দুরবর্তী ভিন্ন কোন জলাশয় বা ভিন্ন কোন দেশ হতে কোন মৎস্য প্রজাতি চাষের জন্য আনা হলে তা সরাসরি কোন পুকুর বা জলাশয়ে অন্য কোন মাছের সাথে ছাড়া উচিত  আদানীকৃত কোন সংক্রামক রোগের বাহক হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে মাছে ব্যাপক মড়ক দেখা দিতে পারে।

তাই দূরবর্তী বোন স্থান হতে বিশেষ করে ভিন্ন কোন দেশ হতে নতুন প্রজাতির কোন মাছ আমদানীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মাছকে একটি নি সংগনিরোধ ব্যবস্থায় রাখতে হবে। এতে উক্ত মাছে কোন রোগের লক্ষন দেখা দিলে তা চাষের পুকুরে ছাড়া উচিত হবে না সংগনিরোধ ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট মাছ কোন রোগে আক্রান্ত কিনা বা কোন রোগ জীবাণুর বাহক কিনা তা জানা যায়।  এ প্রেক্ষিতে সংগনিরোধ ব্যবস্থা মাছের রোগ প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মাছের রোগ প্রতিরোধে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • রবর্তী স্থানের বা ভিন্ন দেশের কোন মাছ মতুন করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধ করার সংখ্য উক্ত মাছকে সংগা রাখতে হবে।
  • হ্যাচারিতে পানি সরবরাহের সময় পানির সাথে যাতে কোন মাছ বা অপজ প্রাণী না  সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগজীবাণু প্রথমা, রেনু বা পোনা মাছে সংক্রামিত হতে পারে; যা পরবর্তীতে কোন অঞ্চলের মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
  • মাছ চাষের বিভিন্ন উপকরণ দুটি ভিন্ন খামারে ব্যবহারের মধ্যবর্তী সময়ে ২০০ ব্লিচিং পাউডার দ্রবণে জীবাণুযুক্ত করে নিতে হবে।
  • পুরাতন পুকুর প্রতি ৩ বছরে ন্যূনতম ১ বার শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং তলায় অতিরিক্ত কাদা থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • পুকুরের মাছ, বিশেষ করে পোনা মাছ ও কৈশোর অবস্থায় মাছের স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ
    করতে হবে; লক্ষ্য করতে হবে মাছে কোন রোগ দেখা দিয়েছে কিনা, কোন পরজীবী দেখা
    যায় কিনা?
  •  মাছের মজুদ ঘনত্ব সঠিক সংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ ও মিশ্রচাষে আনুপাতিক হার বজায় রাখতে হবে।
  •  পানির গুণাগুণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • মাছকে পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
  • পরিবেশগত পীড়ন দূর করতে হবে। নমুনায়ন বা অন্যকোন কারণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সর্তকতা ও যত্নের সাথে মাছ
  • নাড়া-চাড়া করতে হবে।
  • রোগ জীবাণু ও পরজীবীযুক্ত মাছ প্রজননের জন্য নির্বাচন করতে হবে। জীবনচক্রের কোন অবস্থায় সংক্রামক
  • রোগে আক্রান্ত মাছ পরবর্তীতে পরোপুরি সুস্থ হলেও তা প্রজননের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

 

অনুশীলন ( Activity): সংগনিরোধ কী এবং কেন করা হয়?

সারমর্ম :

মাছ পানিতে বসবাস করে। এজন্য তার বিভিন্ন কার্যাবলী, শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং আচার- আচরণ পর্যবেক্ষণ কাষ্টসাধ্য। এ প্রেক্ষিতে মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করাই উত্তম। মাছের রোগ প্রতিরোধের চাবিকাঠি হলো সুষ্ঠুভাবে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

পানির ভৌত-রাসায়নিক গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক সংখ্যায় মজুত ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ, পরিমিত খাদ্য সরবরাহ, পুকুর জীবাণুমুক্তকরণ, উৎপাদন উপকরণ জীবাণুযুক্তকরণ, বিভিন্ন বয়স গ্রুপের মাছ আলাদাভাবে পালন এবং রোগাক্রান্ত মুমূর্ষু বা মরা মাচ দ্রুত অপসারণ প্রভৃতি।

কার্যক্রম সম্পন্ন করে কার্যকরভাবে মাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া ও রাসায়নিক উপাদান প্রয়োগ বা খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং ইমুনাইজেশন প্রক্রিয়ায় শারীরবৃত্তীয় প্রতিরোধ সৃষ্টি করে মাছের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। দূরবর্তী ভিন্ন কোন স্থান বা অন্য কোন দেশ হতে মাছের নতুন প্রজাতি আমদানীর ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় সংগনিরোধ ব্যবস্থা।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment