বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ | অধ্যায়-২ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ । যা ” বাগদা চিংড়ির গুণগতমান সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

Table of Contents

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ

 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ | অধ্যায়-২ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ

বাংলাদেশের মূল্য সংযািেজত চিংড়ি পণ্যের প্রধান ক্রেতা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এ সকল দেশের মূল্য সংযািেজত চিংড়ি পণ্য আমদানির প্রধান শর্ত হচ্ছে পণ্য উৎপাদনের সর্বস্তরে হ্যাসাপ-এর বিধিবিধান বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপডীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে রপ্তানিকারক চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানাগুলোতে হ্যাসাপ বিধি-বিধান মানা হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট ১৩৩ টি চিংড়ি ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানার মধ্যে সরকারের অনুমোদন লাভ করেছে মাত্র ৬০টি কারখানা এবং ৫৩টি ইউরোপডীয় ইউনিয়ন কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়েছে।

শ্রিম্প সিল অব কোয়ালিটি (SSOQ)

এসএসওকিউ (SSOQ, Shrimp Seal Of Quality) যুক্তরাষ্ট্রের Aquaculture Certification Council কর্তৃক প্রবর্তিত হ্যাসাপ-এর অনুরূপ বিধি বিধান যা শুধুমাত্র চিংড়ির জন্য প্রযোজ্য। এই বিধিবিধান যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তেমন একটা প্রসার লাভ করেনি। বাংলাদেশে এটিডিপি (Agrobased:echnology Development Program) কর্মসূচির মাধ্যমে মূলত বিগত ২০০৪ সালে থেকে এসএসকিউ প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

হ্যাসাপ ও শ্রিম্প সিল অব কোয়ালিটি-এর প্রধান দিকসমূহ

হ্যালাপ ও শ্রিম্প দিল অব কোয়ালিটি-এর প্রধান দিকগুলো হল মানুষ বা অন্য কোনো জীব বা নামগ্রিকভাবে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কোনো ক্ষতিকারক উপাদান বা কার্যক্রম প্রতিহত করা বা সম্ভব না হলে যতদূর সম্ভব কমাননা। যে সকল উপাদান বা কার্যক্রম ক্ষতির কারণ হতে পারে তাদেরকে হ্যাজার্ড বলে। হ্যাজার্ডসমূহকে নিয়ন্ত্রণের জন্যই সকল বিধি-বিধান আরোপ করা হয়েছে। হ্যাজার্ডসমূহকে প্রধানত নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায়-

ক) জৈবিক হ্যাজার্ড: ক্ষতিকারক অনুজীবসমূহ, যেমন- রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।

খ) রাসায়নিক হ্যাজাড: ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থসমূহ, যেমন- এন্টিবায়ািেটক।

গ) ফিজিক্যাল হ্যাজাড: ক্ষতিকারক কোনো বস্তু, যেমন- আলপিন।

ঘ) পরিবেশগত হ্যাজার্ড: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্যক্রম, যেমন- ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ।

ক. জৈবিক হ্যাজার্ড

ক্ষতিকারক অণুজীব, বিশেষ করে মানুষের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীবের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই মূলত প্রাথমিকভাবেই হ্যাসাপের প্রবর্তন করা হয়েছিল। পরিবর্তীতে আরও অন্যান্য দিক সংযািেজত হয়ে হ্যাসাপের কলেবর উত্তরাত্তের বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে এখন পর্যত জৈবিক হ্যাজার্ড সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। জৈবিক হ্যাজার্ড আবার বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন হয়ে থাকে। হিমায়িত পণ্যের জন্য এক রকম, কৌটাজাত পণ্যের জন্য অন্য রকম বা রেডি-টু-ইট পণ্যের জন্য সেটা ভিন্ন রকম। চিংড়ি বা মাছের পরজীবী, যথা: নেমাটোডস (গোল কৃমি), সেসটোডস (ফিতা কৃমি), ট্রেমাটোডস (ফুকস), ইত্যাদির উপস্থিতও এক ধরনের জৈবিক হ্যাজার্ড।

খ. রাসায়নিক হ্যাজার্ড

ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশকই বাংলাদেশি মৎস্য পণ্যের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা। কিছু কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ উচ্চ তাপমাত্রায় মাছ বা চিংড়ির দেহ পচনের ফলে তৈরি হয়। ঐ সমস্ত রাসায়নিক পদার্থকে কমব্রো টক্সিন বা হিসটামিন ফরমেশন বলে, ফলে ঐ সমস্ত চিংড়ি বা মাছ খেলে এলার্জিজনিত কারণে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত প্রক্রিয়াজাত- কারীরা ব্যবহার করেন না। এন্টিবায়ািেটক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় হ্যাচারি ও চিংড়ি চাষের খামারে। মাছের ট্রলার থেকে চিংড়ি আহরণ করে পান্টে আনার সময় রাসায়নিক দ্রব্য কিংবা ডিজেলের মিশ্রণের ফলেও চিংড়ির মান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

গ. ফিজিক্যাল হ্যাজার্ড

ক্ষতিকারক কোনো বস্তু, যেমন আলপিন, পেরেক, কাচের ভাঙা টুকরা ইত্যাদি হ্যাজার্ডকে ফিজিক্যাল হ্যাজার্ড বলে। প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে এ সমস্ত ক্ষমিকারক বতুও সংমিশ্রণের সম্ভাবনা থাকে।

ঘ. পরিবেশগত হ্যাজার্ড

পরিবেশের জানা ক্ষতিকারক বস্তু বা কার্যক্রম, যেমন- ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ বা মাছ চাষ, কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পানির দূষণ ইত্যাদি হ্যাজার্ডকে পরিবেশগত হ্যাজার্ড বলে।

চিংড়ি দূষণের উৎস শনাক্তকরণ

নিম্নলিখিত উৎস থেকে চিংড়িতে দূষণ হতে পারে-

ক) সংক্রমণযুক্ত মা চিংড়ির ব্যবহার।

খ) সংক্রমণযুক্ত সার্ভিপিএল ব্যবহার।

গ) চাষের জলাশয় বা তার আশপাশের পরিবেশ থেকে সংক্রমণ।

ঘ) চিংড়ি চাষের সময় খাদ্য/ঔষধ ইত্যাদি থেকে সংক্রমণ।

৩) চিংড়ি আহরণের ও বাজারজাতকরণের যে কোনো পর্যায়ে সংক্রমণ।

চিংড়ির দূষণের উৎস থেকে মুক্ত হওয়ার উপায়

ক) কোনো প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত হলে সেই মা-চিংড়ি কোনো অবস্থাতেই চিংড়ির পোনা তৈরির জন্য হ্যাচারিতে ব্যবহার করা চলবে না।

খ) হ্যাচারিতে ব্যবহারের জন্য এমন মা-চিংড়ি ব্যবহার করতে হবে যাহা নিশ্চিতভাবে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত নয়।

গ) চিংড়ি চাষের জন্য ব্যবহৃত সার্ভিপিএল অবশ্যই সর্বপ্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অণুজীবদ্বারা কোনো পর্যায়ে সংক্রমিত নয় তা নিশ্চিতভাবে হতে হবে।

ঘ) চিংড়ি চাষের জন্য পিএল নির্বাচনের পূর্বে নিশ্চিতভাবে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে যে, চাষের জন্য নির্ধারিত পিএল সর্বপ্রকার ভাইরাসমুক্ত।

ঙ) চিংড়ি চাষ করতে গিয়ে তার আশেপাশের কোনো জলাশয়কে বা পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং আশেপাশের জলাশয় বা পরিবেশ থেকে কোনো ক্ষতিকর বস্তু চিংড়ি চাষের জলাশয়ে প্রবেশ রাধে করতে হবে।

চ) চিংড়ি চাষের জলাশয় থেকে বা তার আশপাশের পরিবেশ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরাক্ষেভাবে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ছ) চাষের সময়ে চিংড়িকে যে খাদ্য দেয়া হয় বা যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় তা থেকেও চিংড়িতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীব সংক্রমিত হতে পারে। সেজন্য চিংড়ি চাষের সময় খাদ্য/ঔষধ, ইত্যাদি থেকে প্রত্যক্ষ বা পরাক্ষেভাবে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

জ) চিংড়ি চাষের পর আহরণের ও বাজারজাতকরণের সময়েও বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সেজন্য চিংড়ি আহরণের ও বাজারজাতকরণের কোনো পর্যায়ে প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা অণুজীবদ্বারা সংক্রমিত নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

হ্যাচারি ও চিংড়ি চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থসমূহ

১. মিথিলিন ব্লু (Metheline blue)।

২. ট্রাফলান (Treflan)

৩. প্রোটোজোয়াসাইড (Protozoacide)

৪. ফরমালিন (Formalin)

৫. জুথামনিসাইড (Zoothamnicide)

৬. ব্লিচিং পাউডার (Bleaching powder)

৭. কপার সালফেট (Copper sulfate)

৮. ম্যালাকাইট গ্রিন (Malachite green), ইত্যাদি

হ্যাচারিতে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকসমূহ

১. সিপরােেফ্লাক্সাসিন (Ciprofloxacin)

২. স্ট্রেপটোমাইসিন (Streptomycin)

৩. কেনামাইসিন (Kenamycin)

৪. ইরাইথ্রোমাইসিন (Erythromycin)

৫. অক্সিটেট্রাসাইক্লিন (Oxytetracyclin)

৬. অক্সোলিনিক অ্যাসিড (Oxolinic acid)

৭. অ্যালবাজিন (Albazin)

নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিকসমূহ

১. ক্লোরামফেনিকল (Chloramphenicol)

২. নিওমাইসিন (Neomycin)

৩. নাইট্রোফুরান (Nitrofuran)

৪. ফিউরাজলিডন (Furazolidon)

কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকসমূহ

Erythromycin, Ciprofloxacin etc.

অকার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকসমূহ

Chloramphenicol, Nalidixic acid, Ampicillin, Amoxicillin, Kanamycin, Neomycin, etc.

নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও জনস্বাস্থ্যের উপর প্রভাবসমূহ

ক) মানবদেহে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমে গেছে, অনেক অ্যান্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খ) কেবলমাত্র প্রয়োজন হলেই চিংড়ি রোগ সৃষ্টিকারী নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত।

গ) প্রায়শই দেখা যায় যে, সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত না করেই এবং কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি (sensitivity) পরীক্ষা ছাড়াই এন্টিবায়ািেটক ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঘ) অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্ট্যান্স (resistance) সৃষ্টি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হ্যাচারি কর্মীদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিরও কারণ হচ্ছে, মানবদেহেও ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে।

 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হ্যাসাপ | অধ্যায়-২ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

জলজ জীবের উপর ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ

ক) হ্যাচারি ও চিংড়ি চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের বর্জ্য জলজ পরিবেশ ও সমুদ্রে যায়, যা পানি দূষণ সৃষ্টি করে থাকে।

খ) পানি দূষণের মাধ্যমে জলজ অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও প্রজনন মাত্মকভাবে ব্যাহত করে, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

চিংড়ি রপ্তানি ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ

ক) চিংড়ি উৎপাদনের কোন পর্যায়ে নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে এবং চিংড়ির মাংস পেশীতে অ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ (resedue) থাকলে সেই চিংড়ি পণ্য রপ্তানি করা যাবে না।

খ) আমদানিকারক বিভিন্ন দেশ থেকে এ অসাবধানতার কারণে প্রায়ই চিংড়ি কন্টেইনার দেশে ফেরত আসে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment