পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ । ৭ম অধ্যায় । শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ । যা ” পোনা মজুদ ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

শিক্ষাক্রম উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিবর্তনশীল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগী হওয়াসহ উচ্চশিক্ষার পথ সুগম হবে। ফলে রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রশিক্ষিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা উজ্জীবিত।

পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ

 

পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ । ৭ম অধ্যায় । শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ

একাধিক কারণে পরিবহনকালে মাছ ও চিংড়ির পোনা মারা যেতে পারে। সাধারণত যে সব কারণে শোনার মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে উল্লেখেেযাগ্য কয়েকটি কারণ নিচে বর্ণনা করা হলো:

ক) অক্সিজেন ঘাটতিঃ যদি অধিক ঘনত্বে পোনা পরিবহন করা হয় তবে খুব দ্রুত পাত্রে অক্সিজেন ঘাটতি। সৃষ্টি হওয়ার ফলে পোনা ও পিএল মারা যেতে পারে।

খ) শারীরিক ক্ষতঃ জাল টানা, ওজন ও গণনা করার সময় অথবা এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে স্থানান্তরের। সময় চিংড়ির পিএল-এর শরীরে আঘাত লাগতে পারে, এন্টেনা ও উপাঙ্গসমূহ ভেঙে যেতে পারে। দুর্বল ও শারীরিকভাবে ক্ষত এই সমস্ত পোনা পরিবহনকালে এবং পুকুরে মজুদের পরপরই মারা থেতে পারে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

গ) অ্যামোনিয়া সৃষ্টি: পরিবহনকালে চিংড়ির পিএল বা জুভেনাইলের নিঃসৃত মলমূত্র পচনের ফলে পাত্রে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। যার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে পোনা মারা যেতে পারে।

ঘ) তাপমাত্রা: পানির তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে শোনার অক্সিজেন চাহিদা বাড়ে। কিন্তু পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। পরিবহনকালে পাত্রের পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পানে মারা যেতে পারে।

ঙ) পরিবহন দূরত্বঃ পরিবহন দূরত্ব যত বেশি হবে পোনা বা পিএল-এর উপর তত বেশি চাপ পড়ে। এভাবে পোনা বা পিএল যদি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়, তবে পরিবহনকালে মৃত্যুহার স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি হয়।

 

পরিবহনকালে পোনা মৃত্যুর কারণ । ৭ম অধ্যায় । শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং ১

 

চ) টেকসই না করে কাঁচা পোনা পরিবহনঃ ধানী বা চারা পোনা টেকসই না করে পরিবহন করলে এরা নাজুক বা কাচা থাকে। কাঁচা পোনা পরিবহনকালীন ধকল সহ্য করতে পারে না বিধায় অনেক পোনা মারা যায়।

ছ) রোগাক্রান্ত ও দুর্বল পোনা পরিবহন: রোগাক্রান্ত ও দুর্বল শোনা পরিবহন করলে মৃত্যুহার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment