Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

পুষ্টি ও পুষ্টিজনিত রোগ বালাই

পুষ্টি ও পুষ্টিজনিত রোগ বালাই

পুষ্টি ও পুষ্টিজনিত রোগ বালাই – “মাছের স্বাস্থ্য পরিচর্যা” কোর্স বইটি বিশেষভাবে স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট-এর বিএজিএড প্রোগ্রামের ছাত্রদের জন্য লেখা হয়েছে। আপনি জানেন, দূর শিক্ষণে শিক্ষকের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নেই। তাই পাঠের কোনো কঠিন বিষয় যেন আপনার বুঝতে অসুবিধা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কোর্স বইটি লেখা হয়েছে। কোর্স বইটির আঙ্গিক ও উপস্থাপনা তাই প্রচলিত পাঠ্যবই থেকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। যেহেতু সরাসরি শিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই কোর্স বইটি আপনাকে নিজে পড়ে বুঝতে হবে, তাই এটি কীভাবে পড়বেন প্রথমেই তা জেনে নিন। এতে কোর্স বইটি পড়তে ও বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।

 

 

পুষ্টি ও পুষ্টিজনিত রোগ বালাই

দেহের ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের জন্য প্রাণী সাধারণতঃ যে সকল বস্তু গ্রহণ করে তাদেরকে খাদ্য বলে। পুষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া যেখানে প্রাণীর গৃহীত খাদ্য পরিপাক ও শোষণ শেষে দেহের ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। মাছের গৃহীত খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাবে মাছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিজনিত রোগ দেখা দেয় যা বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আবার মাছের গৃহীত খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের আধিক্যের কারণেও মাছে বিভিন্ন পুষ্টিজনিত রোগ দেখা দেয়।

সাধারণতঃ মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত বিভিন্ন উদ্ভিদ উপাদানে কতগুলো পুষ্টিবিরোধী উপাদান থাকে। এ সকল পুষ্টিবিরোধী উপাদানের প্রভাবেও মাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধী দেখা দেয়। মাছের পুষ্টিজনিত রোগগুলো সাধারণতঃ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

পুষ্টির অভাব জনিত রোগগুলো খাদ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি উপাদান যোগ করে প্রতিকার করা যেতে পারে। পুষ্টি আধিক্যজনিত রোগ, খাদ্যে রোগের জন্য দায়ী উপাদানের সরবরাহ কমিয়ে প্রতিকার করা যেতে পারে। অন্যদিকে উদ্ভিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত উপাদানসমূহ সিদ্ধ করে মাছকে সরবরাহ করলে পুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

এ পাঠ শেষে আপনি-

পুষ্টি

দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ও প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের জন্য প্রাণী সাধারণতঃ যে সকল বস্তু গ্রহন করে তাদেরকে খাদ্য বলে। পুষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় প্রাণী কর্তৃক গৃহীত খাদ্য পরিপাক পদ্ধতিতে ভেঙ্গে সরল উপাদানে পরিনত হয় যা অস্ত্রে শোষিত হয় এবং এই শোষিত খাদ্য উপাদান সমূহ দেহের সকল অঙ্গের ক্ষয় প্রাপ্ত কোষের পূণর্গঠন, দেহের বৃদ্ধির জন্য নতুন কোষ তৈরি ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

 

দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ও প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের জন্য প্রাণী যে সকল বস্তু গ্রহন করে তাদেরকে খাদ্য বলে।

 

প্রাণীর গৃহীত খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান (nutritional substances) বিদ্যমান যা প্রাণী দেহে পুষ্টি (nutrition) সরবরাহ করে। এই পুষ্টি উপাদানসমূহকে প্রধানতঃ ৬ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, যথা- (ক) প্রোটিন (খ) কার্বহাইড্রেট (গ) লিপিড (ঘ) ভিটামিন (ঙ) খনিজ লবণ এবং (চ) পানি। নিম্নে এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো-

প্রোটিন

প্রোটিন প্রাণী দেহের মূল গঠন উপাদান। এটি দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে থাকে। ফিশমিল, উচ্ছিষ্ট মাছ, সয়াবীন, ডাল, ডালের খোসা, মুরগীর ভূড়ি, চিংড়ি মাছের খোলস ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন বিদ্যমান।

কার্বহাইড্রেট

কার্বহাইড্রেট বা শর্করা প্রাণীদেহের প্রধান শক্তি উৎপাদনকারী উপাদান। চালের কুড়া, গমের ভূষি, ময়দা, আটা, চিটাগুড় ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা বিদ্যমান।

লিপিড

লিপিড বা চর্বি প্রাণী দেহে শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং এর শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা শর্করার প্রায় দ্বিগুন। সয়াবীন, সরিষার খৈল, তিলের খৈল, বাদাম, তেলের খৈল, সূর্যমুখী ফুলের বীজ ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ লিপিড বিদ্যমান।
ভিটামিন ভিটামিন বিশেষ ধরনের কতগুলো জৈব যৌগ। ইহা দেহ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্রাব্যতার ভিত্তিতে ভিটামিনকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। চর্বিতে দ্রবীভূত ভিটামিন এবং পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিন। ভিটামিন A, D, E, K হচ্ছে চর্বিতে দ্রবীভূত আর ভিটামিন B1, B2, B3, B5, B6, B12 ও C হচ্ছে পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিন।

খনিজ লবণ

খনিজ লবণ জীব দেহের ক্ষয় পূরণে ও দেহ গঠনে অংশ নেয়। খাদ্য লবণ, চুণ, অজৈব ও জৈব সার ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরণের খনিজ উপাদান বিদ্যমান।

পানি

পানি দেহের গঠনে ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় সাধন করে। স্থলজ জীবের ক্ষেত্রে খাদ্য উপাদান হিসেবে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও মাছের ক্ষেত্রে খাদ্য উপাদান হিসেবে এর তেমন গুরুত্ব নেই।

 

মাছের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের স্বল্পতা, আধিক্য অথবা এদের যথাযথ ভারসাম্যের অভাবে মাছে সৃষ্ট রোগকে পুষ্টিজনিত রোগ বলে।

 

 

পুষ্টিজনিত রোগ বালাই

মাছের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের স্বল্পতা, আধিক্য অথবা পুষ্টি উপাদান সমূহের যথাযথ ভারসাম্যের অভাবে মাছে যে সকল রোগ সৃষ্টি হয় তাদের পুষ্টিজনিত রোগ বলা হয়। মাছ সাধারণতঃ পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে থাকে কিন্তু এতে অধিকাংশ সময় মাছের পুষ্টি চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হয় না। তাই মাছ চাষে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পূরক অথবা কৃত্রিম ভাবে তৈরি খাদ্য সরবরাহ করা হয়।

মাছের খাদ্যে পুষ্টি উপাদান সমূহের যে কোন এক বা একাধিক উপাদানের স্বল্পতা বা আধিক্যের কারণে মাছের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় ফলে মাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়া খাদ্যে বিদ্যমান কতিপয় পুষ্টিবিরোধী উপাদান (Antinutritional substances) দ্বারাও মাছে রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণতঃ পুষ্টিজনিত রোগ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, তবে তা দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে এমন কি এতে মাছের মৃত্যুও ঘটতে পারে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পুষ্টিজনিত রোগ বালাইকে প্রধান ৪ ভাগে ভাগ কার যেতে পারে-

১. পুষ্টির অভাবজনিত রোগ

২. পুষ্টির আধিক্যজনিত রোগ

৩. খাদ্যস্থিত পুষ্টিবিরোধী উপাদানের কারণে সৃষ্ট রোগ এবং

৪. অন্যান্য কারণে সৃষ্ট পুষ্টিজনিত রোগ।

 

মাছের খাদ্যে পুষ্টি উপা- দানের স্বল্পতায় বা অভাবে মাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

 

১. পুষ্টির অভাবজনিত রোগ

মাছের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের স্বল্পতায় বা অভাবে মাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নে এ রোগগুলো সংক্ষেপে আলোচিত হলো-

প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ

প্রোটিনের অভাবে মাছের বর্ধন হ্রাস পায় এবং রেনাল ক্যালশিনোসিস রোগ হয়। এ রোগে মাছের বৃক্কে অস্বাভাবিক মাত্রায় ক্যালশিয়াম জমা হয়। ট্রিপটোফেন ও মিথিওনিন নামক অত্যাবশ্যক অ্যামাইনো এসিডের স্বল্পতায় মাছের চোখে ছানি পড়তে (Cataract) পারে।

লিপিডের অভাবজনিত রোগ

খাদ্যে লিপিডের অভাবে মাছে রক্তশূন্যতা (Anemia) দেখা দেয়। অত্যাবশ্যক ফ্যাটি এসিডের স্বল্পতায় চর্বির ইনফিন্ট্রেশনের কারণে মাছের বৃক্ক ফ্যাকাশে হয় ও ফুলে যায়। এতে মাছের মৃত্যুও ঘটতে পারে।

ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ

চর্বিতে দ্রবীভূত ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ

ভিটামিন-A এর অভাবে মাছের চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন-D এর অভাবে মাছের বৃক্ক ক্ষয় প্রাপ্ত ও ধ্বংস হয় (necrosis)। ভিটামিন-E এর অভাবে মাছে রক্ত শূণ্যতা দেখা দেয়।

 

ভিটামিন-A এর অভাবে মাছ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

 

পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ

খাদ্যে পেন্টোথেনিক এসিড (ভিটামিন B5) এর অভাবে মাছে পুষ্টিজনিত ফুলকা রোগ দেখা দেয়। এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে মাছের ফুলকা ফুলে উঠে ও ফুলকা থেকে অতিরিক্ত শ্লেষা নিঃসৃত হয়। পরিশেষে ফুলকা ফলক সমূহ একত্রে লেগে যায় ও মাছ মারা যায়। থায়ামিন (ভিটামিন B1) এয় অভাবে মাছের ঐচ্ছিক পেশী অবস হয়ে যায় (Paralysis)। ফলে মাছ মৃত্যু বরণ করে। ভিটামিন B3 এর অভাবে মাছের পেটে পানি জমে যায়। ভিটামিন C এর অভাবে মাছের ক্ষতস্থান শুকাতে দেরী হয় এবং মাছের অস্থি ও কাটায় অস্বাভাবিক গঠন দেখা যায়।

 

খাদ্যে পেন্টোথেনিক এসিডের অভাবে মাছে পুষ্টিজনিত ফুলকা রোগ দেখা দেয়।

 

খনিজ লবণের অভাব জনিত রোগ

খনিজ লবণের অভাবে মাছের অস্থির গঠন বিঘ্নিত হয়। খাদ্যে জিংকের অভাবে মাছের চোখে ছানি (Cataract) পড়তে পারে। খাদ্যে আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থীর কার্যকারীতা হ্রাস পায় ফলে গলগন্ড বা থাইরয়েড হাইপারপ্লাসিয়া দেখা দেয়।

 

আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থীর কার্যকারীতা হ্রাস পায় ফলে গলগন্ড রোগ দেখা দেয়।

 

২. পুষ্টি আধিক্যজনিত রোগ

খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের আধিক্যের কারণে মাছে নানাবিধ রোগ হতে পারে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত সব উপাদানের আধিক্যজনিত সমস্যা সমূহ সঠিক ভাবে জানা যায়নি। মাছের খাদ্যে কার্বহাইড্রেটের আধিক্যের কারণে দেহে অতিরিক্ত গ্লাইকোজেন জমা হয় এবং যকৃত কোষে ভাঙ্গন দেখা দেয়। লিপিডের আধিক্যের কারণে মাছের খাদ্য পরিবর্তনের হার (Food conversion ratio) কমে যায়। ভিটামিন A এর আধিক্যের ফলে এপিথেলিয়াল কোষে মেটাপ্লাসিয়া দেখা দেয় এবং কর্ণিয়ায় প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

 

মাছের খাদ্যে কার্বহাই- ড্রেটের আধিক্যের ফলে গ্লাইকো-জেন জমা হয় ও যকৃৎ কোষে ভাঙ্গন দেখা দেয়।

 

৩. খাদ্যস্থিত পুষ্টিবিরোধী উপাদানের কারণে সৃষ্ট রোগ

মাছের খাদ্যে ব্যবহৃত উদ্ভিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত উপাদান সমূহে কতগুলো পুষ্টিবিরোধী উপাদান রয়েছে। এরা মাছের দেহে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করে। সয়াবীনে প্রোটিয়েজ ইনহেবিটর (Protease inhibitor) বিদ্যমান যা প্রোটিন বিপাকে বিঘ্নের সৃষ্টি করে। সরিষা, তিসি ইত্যাদির বীজে গ্লুকোইনোলেটস (Glucoinolates) বিদ্যমান। এর প্রভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়। সরিষা, তিসি ইত্যাদির বীজে টেনিন (Tannin) বিদ্যমান। এর প্রভাবে মাছের প্রোটিন বিপাক ক্ষমতা হ্রাস পায়। তিলের বীজে সায়ানোজেন (Cyanogen) বিদ্যমান যা মাছের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত।

 

মাছের খাদ্যে ব্যবহৃত উদ্ভিদ উপাদান সমূহে কতগুলো পুষ্টিবিরোধী উপাদান রয়েছে।

 

 

৪. অন্যান্য কারণে সৃষ্ট পুষ্টিজনিত রোগ

উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও মাছে নিম্নলিখিত কারণে পুষ্টিজনিত রোগ দেখা দিতে পারে। মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত মুরগীর বিষ্ঠায় আর্সেনিক ও কপার বিদ্যমান। এই উন্মদানগুলো বিষাক্ত। এতে মাছের মৃত্যুও ঘটতে পারে। এছাড়া ফিশমিলে সীসা, সেলিনিয়াম, পারদ প্রভৃতি বিষাক্ত উপাদান বিদ্যমান যা মাছে বিষাক্ততা সৃষ্টি করতে পারে।

চর্বি জাতীয় খাদ্য উপাদান বায়ুর উপস্থিতিতে জারিত হয়ে যায়। এ ধরনের জারিত চর্বি যুক্ত খাদ্যের প্রভাবে মাছে ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, যকৃত ফুলে যায় এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন অণুজীবের বিষ বা টক্সিন মজুদকৃত খাদ্যের সাথে মিশে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া মাছের খাদ্যে ব্যবহৃত বাইন্ডার এবং এন্টিবায়োটিক কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ, পেট্রোলিয়াম, ভারী ধাতব পদার্থ ইত্যাদি মাছের খাদ্যের সাথে যুক্ত হলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।

 

মাছের খাদ্যে ব্যবহৃত মুরগীর বিষ্ঠায় আর্সেনিক ও কপার বিদ্যমান। এই উপাদানগুলো বিষাক্ত।

 

অনুশীলন (Activity): মাছে বিভিন্ন পুষ্টিজনিত রোগসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করুন।

সারমর্ম: দেহের ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ও প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের জন্য প্রাণী সাধারণতঃ যে সকল বস্তু গ্রহণ করে তাদেরকে খাদ্য বলে। মাছের গৃহীত খাদ্যে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, লিপিড, ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকা আবশ্যক। এ সকল পুষ্টি উপাদানের দীর্ঘস্থায়ী অভাব বা স্বল্পতার কারণে মাছে নানাবিধ রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন- ভিটামিন (B5) এর অভাবে মাছে পুষ্টিজনিত ফুলকা রোগ এবং আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ হয়ে থাকে।

আবার খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের আধিক্যের কারণেও নানা রোগ দেখা দিতে পারে যেমন- ভিটামিন-A এর আধিক্যের ফলে এপিথেলিয়াল কোষে মেটাপ্লাসিয়া দেখা দেয়। তাছাড়া খাদ্যস্থিত পুষ্টিবিরোধী উপাদানের কারণেও মাছে পুষ্টিজনিত রোগ বালাই দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ূনঃ

Exit mobile version