Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

পাঙ্গাশ চাষে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

পাঙ্গাশ চাষে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

আমাদের আজকের আলোচনার পাঙ্গাশ চাষে বিবেচ্য বিষয়সমূহ – যা থাই পাঙ্গাশ ও কার্পজাতীয় মাছের মিশ্রচাষ প্রযুক্তি এর অন্তর্ভুক্ত।

পাঙ্গাশ চাষে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

 

 

পাঙ্গাশ চাষে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আজকাল প্রায়ই একটি কথা শুনা যায় সেটা হলো “পাংগাস মাছের বিশ্রী গন্ধ কথাটা যে আদৌ সঠিক নয় তা নয়। প্রত্যেক মাছেরই একটি আলাদা গন্ধ রয়েছে যা তার জেনিটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হয়ে থাকে। তবে যে বিশ্রী গন্ধের কারণে ঐতিহ্যবাহী দামী মাছ বলে খ্যাত পাংগাস আজ তার বাজার হারিয়েছে তা তার নিজের কারণে নয়-চাষ পদ্ধতিই এর কারণ।

অর্থাৎ এর মাংশপেশীর দুর্গন্ধের কারণ হলো অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পাংগাস চাষের সময় খাদ্য হিসেবে শামুক-ঝিনুক, হাঁস-মুরগীর নাড়ীভূড়ি, কসাই খানার বর্জ্য, ছোট ছোট মরা পচা মাছ প্রভৃতি প্রয়োগে পানি দূষণের ফলে দূষিত পানিতে বিশ্রী গন্ধযুক্ত প্ল্যাংকটন ( Mycrocystis, Nostoc) জন্ম নেয়। মাছ যখন দিনের পর দিন ঐ পরিবেশে বসবাস করে এবং ঐ ধরণের প্ল্যাংকটন ভক্ষন করে তখন প্ল্যাংকটনের বিশ্রী গন্ধ মাছের মাংসপেশীতে স্থানান্তরিত হয়- মাছ হয় বিশ্রী গন্ধ যুক্ত। কোন ক্রেতা যখন ঐ ধরণের পুকুরে পালিত পাংগাস ক্রয় করে একবার ঠকে থাকেন তখন তিনি আর কখনো পাংগাশ কিনতে চান না।

 

 

অথচ পুষ্ঠিগত দিক থেকে অন্যান্য মাছের চেয়ে পাংগাসের পুষ্টিমান ( প্রোটিন ১৪%, লিপিড ১১%, এবং ভিটামিন ও মিনারেলস্ ১.৫%) কোন অংশেই কম নয়। তাই ভাল পরিবেশে, ভাল খাদ্য প্রয়োগ করে পাংগাস চাষ করে পাংগাসের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version