Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

ধানের সাথে মাছের চাষ

ধানের সাথে মাছের চাষ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ধানের সাথে মাছের চাষ – যা সমন্বিত মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনা এর অন্তর্ভুক্ত।

ধানের সাথে মাছের চাষ

এ পদ্ধতিতে একই জমিতে ধান ও মাছ একত্রে চাষ করা হয়। আমন মৌসুমে মাঝারি উঁচু জমিতে যেখানে ৪–৬ মাস বৃষ্টি দ্বারা প্লাবিত পানি জমে থাকে অথবা বোরো মৌসুমে যেসব জমি সেচ সুবিধার আওতাধীন সে সমস্ত জমিতে এ পদ্ধতি উপযোগী ।

ধানের পরে মাছের চাষ

এ পদ্ধতিতে একই জমিতে ধান ও মাছ একটির পর অপরটি চাষ করা যায় । বাংলাদেশের যেসব জমি বর্ষাকালে প্লাবিত হয় এবং যেখানে গভীর পানির আমন ধান ছাড়া অন্য কোনো জাতের ধান চাষ করা যায় না যেখানে বোরো মৌসুমে ধানের চাষ করে পরে বর্ষা মৌসুমে এ পদ্ধতিতে মাছচাষ করা হয়। যেমন- ভালুকা ও টাংগাইলের নিম্নাঞ্চল। এ ধরনের জমিতে শুষ্ক (বোরো) মৌসুমের ফসল হিসেবে একমাত্র বোরো ধান উৎপন্ন করা হয় এবং বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির জন্য ধান চাষ না করে মাছের চাষ করা হয়। নিচে আমন এবং বোরো ধানের সাথে মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

জমি নির্বাচন :

জমি নির্বাচনের ওপর মাছ চাষের সফলতা নির্ভর করে। সব ধান ক্ষেতই মাছ চাষের জন্য উপযোগী নয় । তাই জমি নির্বাচনের সময় নিচে বর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় আনতে হবে ।

জমি প্রস্তুতকরণ :

মাছ চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি অতি গুরুত্বপূর্ণ। জমির প্রস্তুতি যত ভালো হবে, তত বেশি ধান ও মাছ উৎপন্ন হবে। ধানক্ষেতে মাছ চাষের জন্য জমি প্রস্তুতির কাজগুলো নিম্নরূপ-

১. জমি সমতল করা

২. আইল উঁচু করা;

৩. গর্ত ও নালা তৈরি করা;

৪. জমিতে পানি ও হাল চাষ দিয়ে কাদা তৈরি করা; ৫. সার প্রয়োগ করা ।

জমি সমতল করা :

জমি উঁচু নিচু থাকলে তা সমতল করে নিতে হবে। এতে করে পানির গভীরতা জমির সব স্থানে একই রকম হবে এবং মাছ সমস্ত ধানক্ষেতে চরে বেড়াতে পারবে। ধানের সাথে মাছ চাষের সময় ক্ষেতের সব অংশে কমপক্ষে ৫-৬ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ ১২ ইঞ্চি পরিমাণ পানি ধরে রাখা আবশ্যক।

আইল উঁচু করা :

বন্যার পানি যে পর্যন্ত উঠে তার থেকে ১-২ ফুট উঁচু করে ক্ষেতের চারপাশে আইল বা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। তবে আইলের উচ্চতা নির্ভর করবে জমির অবস্থানের ওপর। ইঁদুর, কাঁকড়া অথবা অন্যান্য প্রাণী যাতে আইলে গর্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমে ক্ষেতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এরূপ অবস্থায় অপেক্ষাকৃত ঢালু অংশে আইলের কিছু জায়গা ভেঙে বাঁশের বানা বা ছাঁকনিযুক্ত পাইপ দিয়ে মাছ আটকিয়ে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে। তাহলে পানির চাপে আইল ভাঙার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

গর্ত ও নালা তৈরি করা :

জমির যে অংশ অপেক্ষাকৃত নিচু সে অংশে জমির শতকরা ৫ ভাগ এলাকাজুড়ে কমপক্ষে ৩ ফুট গভীর গর্ত খনন করতে হবে। গর্তের গভীরতা এর বেশি হলে মাছ গর্ত ছেড়ে ধান ক্ষেতে যাবে না ফলে মাছের বৃদ্ধি কম হবে। ধান ক্ষেতের চারপাশে, মাঝখানে এবং এক কোনায় এক বা একাধিক নালা তৈরি করতে হবে যা গর্তের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে।

এতে মাছ সমস্ত ধানক্ষেতে সহজে চলাচল করতে পারবে । নালাগুলো ১ থেকে দেড় ফুট চওড়া এবং ১ থেকে দেড় ফুট গভীর হতে হবে। ধান ক্ষেতের পানি গরম হয়ে গেলে মাছ এসব নালায় ও গর্তের ঠাণ্ডা পানিতে আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশি হলে এসব নালার মাধ্যমে পানি কমিয়ে মাছকে গর্ভে নিয়ে ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাছ ধরার সময় সব মাছকে সহজে একত্রিত করার ক্ষেত্রেও এসব নালা ও গর্তগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

চিত্র-৩৯ : ধান ক্ষেতে মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন ধরনের গর্ত ও নালার নকশা

 

জমিতে পানি ও হাল চাষ দিয়ে কাদা তৈরি করা :

জমিতে প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মাটির প্রকারভেদ অনুসারে ২-৩টি চাষ ও মই দিতে হবে যেন মাটি থকথকে কাদাময় হয়। চাষ সরাসরি ধানের ফলন না বাড়ালেও রোপন পরবর্তী পরিচর্যা করতে সহায়তা করে। প্রথম চাষের পর অন্তত ৭ দিন পর্যন্ত জমিতে পানি আটকিয়ে রাখা প্রয়োজন। এর ফলে জমির আগাছা, খড় ইত্যাদি পচে যাবে এবং যা পরবর্তীতে সার হিসেবে কাজ করবে। শেষ চাষের সময় অনুমোদিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে জমি যেন যথেষ্ট সমতল হয়।

সার প্রয়োগ :

ধানক্ষেতে মাছ চাষের সময় নিম্নবর্ণিত মাত্রায় একর প্রতি সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

 

 

অনুমোদিত মাত্রার ইউরিয়া সার ৩ কিস্তিতে ধান রোপণের ৩০তম দিন, ৪৫তম দিন এবং ৬০তম দিন উপরি প্রয়োগ করতে হবে। অন্যান্য সার জমিতে শেষ চাষ দিয়ে মাটি কাদা করার সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে
হবে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

সার প্রয়োগের নিয়মাবলি :

ধান গাছের বাড়-বাড়তির বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন মাত্রায় নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। প্রথম দিকের কুশি গজানোর সময় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে তা থেকে কাইচ থোর আসা পর্যন্ত অর্থাৎ ধানের ছড়ার বাড়-বাড়তির সময় গাছ প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পেলে প্রতি ছড়ায় পুষ্ট ধানের সংখ্যা বাড়ে। সবশেষে ফুল আসার পর ধান গাছ যে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে তা ধানের দানা পুষ্ট করতে সহায়তা করে । ফলে ধানের ওজন বৃদ্ধি পায় ।

ইউরিয়া সার ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রথম দিকেই চারার কুশির সংখ্যা বাড়ানো, কারণ সাধারণত প্রথম দিকের কুশিতেই ছড়া ভালো হয়। তাই প্রথম দিকে কুশি বাড়ানো এবং সে সব কুশিকে সবল রাখার জন্য জমির উর্বরতার ওপর নির্ভর করে কিছু ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় সার জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে বা চারা মাটিতে শক্ত করে দাঁড়ানোর পর পরই ব্যবহার করতে হবে। সার দেয়ার সময় অবশ্যই মাটিতে প্রচুর রস থাকা দরকার । শুকনো মাটিতে কিংবা জমিতে খুব বেশি পানি থাকলে অথবা ধান গাছের পাতায় পানি জমে থাকলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা ঠিক নয় ।

 

 

ধানের জাত নির্বাচন :

ধানের সাথে মাছ চাষের জন্য আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নির্বাচন করা উচিত। দেশী বা স্থানীয় জাতের ধান না লাগানোই ভালো। কারণ এ জাতের ধান গাছগুলো লম্বা হয় ফলে পানিতে নুয়ে পড়ে।  এতে পানিতে রোদ পড়তে বাধার সৃষ্টি করে ফলে পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্ল্যাংকটন  জন্মে না। তাছাড়া মাছের চলাচলেও অসুবিধার সৃষ্টি করে । নিচে ধান ক্ষেতে চাষ উপযোগী কিছু উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত, ধানের জীবনকাল এবং হেঃ প্রতি ফলন দেয়া হলো ।

বীজ তলায় বীজ বপন :

কমপক্ষে শতকরা ৮০টি বীজ গজায় এ রকম পুষ্ট ও পরিষ্কার বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে পরে পানি থেকে উঠিয়ে এনে ঘরের এক কোনায় বস্তাবন্দি অথবা কোন বড় মাটির পাত্রে বা ড্রামে জাগ দিয়ে রাখলে ধানের মুখ ফেটে অঙ্কুর বের হয়ে আসবে। এ অঙ্কুর বের হওয়ার পর বোনার উপযুক্ত সময় আমন মৌসুমে ২ দিন এবং বোরো মৌসুমে ৩ দিন।

সার প্রয়োগ :

উর্বর ও মাঝারি উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরি করলে কোন সারের প্রয়োজন হয় না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে প্রতি বর্গমিটারে ২ কেজি গোবর বা পচা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। এছাড়াও যদি চারা গাছ হলদে হয়ে যায় সেক্ষেত্রে চারা গজানোর দুই সপ্তাহ পর প্রতি বর্গমিটারে মাত্র ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করলেই চলে।

ইউরিয়া প্রয়োগের পর চারা সবুজ না হলে গন্ধকের অভাব রয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে বীজতলায় প্রতি বর্গমিটারে ১০ গ্রাম জিপসাম সার উপরি প্রয়োগ করা দরকার। ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগের পর বীজতলার পানি নিষ্কাশন করা উচিত নয়। বোরো মৌসুমে অনেক সময় শীতে চারা লালচে বা হলদে হয়ে যায় যাকে টুংরো রোগ বলে অনেকেই ভুল করেন।

চারা উঠানো চারা উঠানোর আগে বীজ তলায় বেশি করে পানি দিতে হবে যাতে বীজতলার মাটি ভিজে একেবারে নরম হয়ে যায়। বেশ যত্নসহকারে বীজতলা থেকে চারা উঠাতে হবে যাতে চারা গাছের কাণ্ড ভেঙে না যায় । টানা হেঁচড়া করে তোলার পর আছাড় দিয়ে মাটি পরিষ্কার করলে চারার খুবই ক্ষতি হয় এবং রোপনের পর চারার বৃদ্ধি বিলম্বিত হয়। গবেষণার দেখা গেছে, চারাগাছের শিকড় ছিড়ে পেলে রোপনের পর চারার বৃদ্ধির কোনোরূপ অসুবিধা হয় না।

চারা পরিবহন :

অনেক সময় বন্যা বা অন্য কোনো কারণে এক এলাকায় চারার অভাব হলে অন্য এলাকা থেকে চারা এনে এ ঘাটতি পূরণ করা হয়। এ লক্ষ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় ধানের চারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা হয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, বস্তাবন্দি অবস্থায় চারা যেন ৫-৬ দিনের বেশি না থাকে।

যানের চারা রোপন পদ্ধতি :

খানের সাথে মাছের চাষ করার সমর খানের চারা অবশ্যই সারিবদ্ধভাবে এবং সমান দূরত্বে রোপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিতে এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব ৮ ইঞ্চি এবং ধানের গোছা (চারা) থেকে গোছার দূরত্ব ৮ ইঞ্চি রাখতে হবে। তবে মাছের জন্য পর্যাপ্ত আলোবাতাস এবং চলাচলের সুবিধার জন্য জোড়া সারি পদ্ধতিতে ধান রোপন করা যেতে পারে।

এ পদ্ধতিতে পাশাপাশি দুটি সারির দূরত্ব ৮ ইঞ্চি থেকে কমিয়ে ৬ ইঞ্চিতে আনা যেতে পারে। এতে জোড়া সারি হতে অন্য জোড়া সারির দূরত্ব ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। তবে উল্লেখ্য যে, এ পদ্ধতিতে যেহেতু ধানের গুছির সংখ্যা পূর্বের তুলনায় একই থাকে, তাই ধানের ফলনের ক্ষেত্রে কোনো হেরফের হবে না অথচ মাছের চলাচলের জন্য কিছু ফাঁকা জায়গা বের হবে, ফলে মাছ স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলাচল করতে পারবে। প্রতিটি গোছায় ধানের চারার সংখ্যা হবে ৬-৮টি।

 

চিত্র-৪০ : ধানক্ষেতে চারা রোপনের বিভিন্ন পদ্ধতি

 

চারার বয়স :

বিপ্লব, চান্দিনা, আশা এবং সুফলা প্রভৃতি ধানের চারার বয়স আউশ মৌসুমে ২০-৩০ দিন এবং বোরো মৌসুমে ৪০-৪৫ দিন হওয়া উচিত ।

ধান ক্ষেতের যত্ন :

ধানের রোগ এবং ব্যবস্থাপনা :

এত সব সাবধানতা বা সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও ধান গাছ রোগাক্রান্ত হতে পারে। নিচে ধানের কতিপয় রোগের নাম, রোগের লক্ষণ এবং তার ব্যবস্থাপনা কৌশল আলোচনা করা হলো।

 

সেচ ব্যবস্থাপনা :

সাধারণত ধানের কুশি হওয়ার শেষ পর্যায়ে কাইচ থোর আসে এবং প্রায় ২৫ দিন পরে ফুল ফোটে । এ ফুল ফোটা থেকে শুরু করে ধানের দুধ হওয়া সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পানি দরকার হয় । সুতরাং এ সময়ে যদি জমিতে পানির অভাব হয় তাহলে ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ফসলের ফলন কমে যেতে পারে। কাজেই ধানের ভালো ফলন পেতে হলে বাড়তি সেচের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। চারা লাগানোর পর থেকে ধান গাছের কোন অবস্থার জন্য কতটুকু পানির দরকার তা পরবর্তী পৃষ্ঠায় দেয়া হলো-

 

 

প্রজাতি নির্বাচন :

ধান ক্ষেতে খুব বেশি পানি থাকে না এবং মাছ চাষের জন্য খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায় না । এ সব কারণে ধান ক্ষেতে সব জাতের মাছের ভালো ফলন পাওয়া যায় না। তাই কম পানিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, উচ্চ তাপমাত্রা সহ্যক্ষম, ধানক্ষেতে বিদ্যমান খাদ্য খায়, ধানের কোনো ক্ষতি করে না, স্বল্প অক্সিজেনে বাঁচতে পারে-এরূপ দ্রুত বর্ধনশীল প্রজাতির মাছ নির্বাচন করতে হবে ।

মিরর কার্প, কার্পিও, গিফট তেলাপিয়া, সরপুঁটি প্রভৃতি ধান ক্ষেতে চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী প্রজাতি। তবে দেশী জাতের মাছের পোনাও মজুদ করা যেতে পারে। রুই, কাতলা, মৃগেল বিশেষ করে সিলভার কার্প প্রভৃতি মাছ ধান ক্ষেতের কম গভীরতায় এবং খোলা পানিতে তেমন বাড়ে না। আবার গ্রাসকার্প দ্রুত বাড়লেও ধান গাছ খেয়ে ফেলে এজন্য গ্রাসকার্প ধানক্ষেতে চাষ করা যায় না ।

পোনা মজুদ :

জুলাই মাসে যখন বৃষ্টির পানি ধান ক্ষেতে জমতে শুরু করে এবং জমিতে খননকৃত নালা বা পুকুরে পর্যাপ্ত পানি থাকে তখনই মাছের পোনা মজুদের উপযুক্ত সময়। তবে ধানের জাত, পোনা প্রাপ্তি ও পানি
সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে যে কোন সময়ই ধানের সাথে মাছের চাষ করা যেতে পারে।

তবে পোনা ছাড়ার আগে দেখতে হবে ধানের চারা মাটিতে ভালোভাবে লেগেছে কিনা। সাধারণত চারা রোপণের ১৫-২০ দিনের মধ্যে যখন চারা মাটিতে ভালোভাবে লেগে যাবে এবং দুই একটি কুশি ছাড়বে তখন জমিতে ৭-৮ ইঞ্চি পানি ঢুকিয়ে মাছের পোনা ছাড়া যাবে। তা না হলে মাছের চলাফেরার ফলে ধানের চারা উঠে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে । পোনা ছাড়ার দুই একদিন আগে জমিতে পানি ঢুকানো ভাল, এ সময়ে মাছের জন্য কিছু খাবার তৈরি হতে পারে । ধানের সাথে মাছচাষ বা যুগপৎ পদ্ধতিতে পোনা মজুদের হার : এ ক্ষেত্রে একক চাষে শতাংশ প্রতি পোনা মজুদের হার নিচে দেয়া হলো-

 

 

মিশ্রচাষে শতাংশ প্রতি পোনা মজুদের হার নিচে দেয়া হলো-

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version