দেশে প্রচলিত মাছের খাদ্য চেনা ও জানা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – দেশে প্রচলিত মাছের খাদ্য চেনা ও জানা

দেশে প্রচলিত মাছের খাদ্য চেনা ও জানা

 

দেশে প্রচলিত মাছের খাদ্য চেনা ও জানা

 

প্রাসঙ্গিক উপস্থাপনা

মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য চিনতে ও জানতে হলে এগুলোর ভৌত রাসায়নিক গুণাবলী প র্বাহ্নে জানা থাকা দরকার। এ লক্ষ্যে আমাদের দেশে মাছের সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এ রকম কয়েকটি দ্রব্যের পরিচিতি প্রদান করা হলো :

চালের কুঁড়া

চালের কুঁড়া পাউডারের অনুরূপ। বর্ণ বাদামী। এতে ১০- ১৪ শতাংশ আমিষ, ভিটামিন (বি১, বি২ ও বিড়) এবং কিছু পাচকরস (enzyme) থাকে। কুঁড়ায় পাচকরস থাকায় মাছের পরিপাক সহজতর হয়। কুঁড়া সহজপ্রাপ্য ও দামে সস্তা। এটি মাছের জন্য একটি ভাল খাদ্য।

সরিষার খৈল

এটি ক্ষুদে দানাযুক্ত ও ছোট টুকরা আকারে পাওয়া যায়। বর্ণ হালকা পীতাভ। সরিষার খৈল-এ ৩০-৩২ শতাংশ আমিষ থাকে। খৈল-এ অধিক হে পদার্থ থাকে। শুধু খৈল একটানা অধিককাল মাছকে খাওয়ালে যকৃতে চর্বি জমে মাছ মারা যেতে পারে। এজন্য থৈল অন্য খাদ্যদ্রবোর সাথে মিশিয়ে মাছকে খাওয়াতে হয়। কোন খাদ্যে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খৈল মেশানো যেতে পারে। তবে শুকনা খৈল
২০ শতাংশের অধিক ব্যবহার করা উচিত নয়।

গমের ভূষি

গমের ভূষি আঁশযুক্ত। বর্ণ বাদামী। এতে ১০-১৫ ভাগ আমিষ থাকে। চর্বির পরিমাণ কম থাকায় এটি খাদ্য হিসেবে চালের কুঁড়ার চেয়ে ভাল। গমের ভূষি মাছের অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

ভূট্টা

এতে আমিষ, শ্বেতসার, হে পদার্থ এবং ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ই’ রয়েছে। ভূট্টা উদ্ভিজ্জ খাদ্যের মধ্যে মাছের সর্বোত্তম সম্পূরক খাদ্য। প্রজননক্ষম মাছকে ভূট্টা খাওয়ালে আগাম পরিপক্কতা লাভ করে। ভূট্টা দানাদার, বর্ণ হলুদ।

ফিশ মিল

এতে ৫৫ – ৬০ শতাংশ আমিষ থাকে। ফিশ মিলের হজম হার বেশি এবং এজন্য পরিবর্তন হারও বেশি। প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে ফিশ মিল উত্তম। এটি গুঁড়া আকারে পাওয়া যায়। বর্ণ মেটে বা বাদামী। গন্ধ দ্বারা সহজেই চেনা যায়।

গবাদি পশুর রক্ত

বর্ণ পীতাভ। কসাইখানায় জমাটবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। আর্দ্র রঙে ৬৩ শতাংশ এবং শুকনা রক্তে ৮২ শতাংশ আমিষ থাকে। গবাদি পশুর রঙে ২টি আবশ্যকীয় এমাইনো এসিড (assential amino- acid) রয়েছে। রক্ত অন্য খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে মাছকে খাওয়াতে হয়। জিওল মাছের জন্য রক্ত উত্তম খাদ্য উপাদান।

হাড়চূর্ণ

বর্ণ ঘোলাটে সাদা। এতে ২:১ অনুপাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। হাড়চূর্ণ মাছের অস্থি গঠনে সহায়তা করে।

ক্ষুদে পানা ও কুটি পানা

বর্ণ সবুজ। পানিতে ভাসমান থাকে। ক্ষুদে পানা কুটি পানার চেয়ে ছোট। ক্ষুদে পানায় ১৪ শতাংশ এবং কুটিপানায় ১৯ শতাংশ আমিষ থাকে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ত লাবীজ

এটি মাছের খাদ্য তৈরির জন্য একটি উত্তম উপাদান। এতে ৫৪ শতাংশ আমিষ থাকে।

পশুর নাড়িভূড়ি

গবাদি পশুর নাড়িভূড়িতে প্রায় ৫২ শতাংশ আমিষ থাকে। এগুলো জিওল মাছের জন্য উত্তম খাদ্য।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • ট্রে ১০ টি
  • সংগৃহীত খাদ্যদ্রব্য ১০ ধরনের
  • আতশ কাঁচ।

 

দেশে প্রচলিত মাছের খাদ্য চেনা ও জানা

 

কার্য পদ্ধতি

  • টিউটরের সহায়তায় বাজার থেকে মাছের বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহ করুন
  • সংগৃহীত খাদ্যদ্রব্য আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন ট্রে তে রাখুন
  • আতশ কাঁচ দিয়ে খাদ্য দ্রব্যগুলোর গঠন প্রকৃতি এবং বর্ণ পর্যবেক্ষণ করুন
  • সহযোগী শিক্ষার্থীর সাথে খাদ্য দ্রব্যগুলোর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করুন এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শনাক্ত করার চেষ্টা করুন।
  • প্রয়োজনে টিউটরের সাহায্য নিয়ে খাদ্যদ্রব্যগুলো শনাক্ত করুন
  • রঙ্গীন পেন্সিল দিয়ে ব্যবহারিক খাতায় শনাক্ত করা খাদ্যদ্রব্যগুলোর চিত্র এঁকে চিহ্নিত করুন
  • শনাক্তকৃত দ্রব্যগুলোর গুণাগুণ ও প্রাপ্যতা পর্যালোচনা করে খাদ্যদ্রব্য নির্বাচিত করুন।

আরও দেখুন :

Leave a Comment