আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় থাই কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি।
থাই কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি
দেশীয় ছোট মাছের মধ্যে কৈ মাছ অন্যতম। এক সময়ে ধানক্ষেত, বিল ও হাওরে প্রচুর পরিমাণে সুস্বাদু কৈ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে ধানক্ষেতে কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিল সেচে শুকিয়ে মাছ ধরাসহ নানাবিধ কারণে এই মাছের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় এ মাছের প্রাপ্যতা দারুণভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ফলে বাজারে এ মাছের মূল্য অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক বেশি। তাই অতি সম্প্রতি দেশীয় কৈ মাছের অভাব পূরণের লক্ষ্যে থাইল্যান্ড থেকে দ্রুত বর্ধনশীল কৈ মাছ আমাদের দেশে আমদানি করা হয়, যা থাই কৈ নামে পরিচিত। এ কৈ মাছটি দেখতে অবিকল দেশীয় কৈ মাছের মতো এবং স্বাদও একই রকম। তবে দেশীয় কৈ মাছ এবং থাই কৈ মাছের মধ্যে যে সামান্য পার্থক্য বিদ্যমান নিচে তা দেখানো হলো-
দেশীয় কৈ মাছ
- দেহের আকার তুলনামূলকভাবে ছোট, কম মাংসল ও লম্বাটে ধরনের ।
- ছোট অবস্থায় কালচে ধরনের। পরিপক্ক অবস্থায় পিঠের দিকে বাদামী সবুজ এবং পেটের দিকে হালকা হলুদ রঙের হয়।
- কানকোর পিছনে কালো দাগ থাকে। কিন্তু পুচ্ছ পাখনার গোড়ায় কালো দাগ থাকে না ।
- কানকোর কাঁটা খুব শক্ত, অনিয়মিত এবং ধারালো।
- মুখ বড়, প্রশস্ত ও U আকৃতির।
- অঙ্কীয় দিকে আইশের সজ্জা v আকৃতির।
থাই কৈ মাছ
- তুলনামূলকভাবে মাংসল ও চওড়া ধরনের ।
- দেহের বর্ণ দেশী কৈ মাছের তুলনায় হালকা ফ্যাকাশে ধরনের। দেহের উপরিভাগে ছোট ছোট কালো দাগ থাকে এবং পাখনাগুলো হালকা হলুদ রঙের হয়।
- কানকোর পিছনে ও পুচ্ছ পাখনার গোড়ায় কালো দাগ থাকে ।
- মুখ প্রান্তিক ও u আকৃতির।
- কানকোর কাঁটা তুলনামূলক নরম, নিয়মিত এবং খাঁজকাটা।
- অঙ্কীয় দিকে আঁইশের সজ্জা “v” আকৃতির।
আরও দেখুনঃ