Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

ছত্রাকজনিত রোগ

ছত্রাকজনিত রোগ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ছত্রাকজনিত রোগ যা  ইউনিট ৩ রোগ ও রোগের কারণ এর অংশ।

এ পাঠ শেষে আপনি-

মিঠাপানির প্রায় সব মাছই ছত্রাকজাতীয় রোগের প্রতি সংবেদনশীল। মোকজাতীয় ছত্রাক এ ধরনের রোগের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। ছত্রাক মাছের রোগ সৃষ্টিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর আক্রমণে মাছের দেহে ক্ষত সৃষ্টি হয়। উক্ত ক্ষতস্থানে ছত্রাকের সংক্রমণে রোগ সৃষ্টি হয়। ছত্রাকজনিত কারণে সৃষ্ট উল্লেখযোগ্য রোগ হলো-

• ব্রাসিওমাইকোসিস (Branchiomycosis) এব

• স্যাপরোলেগনিয়াসিস (Saprolegniasis)।

ছত্রাকজনিত রোগ

ব্রাসিওমাইকোসিস

এই রোগ মাছের ফুলকা পচা রোগ নামেও পরিচিত।

রোগজীবাণু :

ব্রাজিওমাইকোসিস গণের দুইটি প্রজাতির ছত্রাকের সংক্রমণে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যথা- ব্রাগিওমাইসেস সেমোইনিস (Branchiontyces sanguinis) এবং ব্রাজি ওমাইস ডিমিয়াগ (Branchiomyces demigrans)

 

 

রোগের বিস্তার:

কার্পজাতীয় মাছের সব প্রজাতিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কোন কোন প্রজাতির ক্যাট ফিসেও (cat fish) এরোগের বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত ১ বছরের বেশি বয়সের কার্পজাতীয় মাছে এ রোগের সংক্রমণের মাত্রা বেশি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। পুকুরের তলদেশে অতিরিক্ত জৈব পদার্থ থাকলে এবং পুকুরে মাত্রাতিরিক উদ্ভিদ প্লাঙ্কটন উৎপাদিত হলে এ রোগের সংক্রমণ বেশি ঘটে থাকে।

মাছের অতিরিক্ত মজুদ ঘনত্ব এরোগের একটি অন্যতম সহায়ক কারণ। এ রোগে ছত্রাক মাছের ফুলকাকে আক্রান্ত করে। তন্তুজাতীয় ছত্রাক ফুলকার মধ্যে ঢুকে রক্তসংবহন নালিকায় প্রতিরোধক সৃষ্টি করে। ফলে ফুলকার বহিরাংশে খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

রোগের লক্ষণ

• ফুলকা স্বাভাবিক রং ও উজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে।
• সংক্রামণের শুরুতে ফুলকা বিবর্ণ হয়ে যায় এবং পরে ফুলকায় গাঢ় লাল বর্ণের দাগ দেখা যায়।
• আক্রান্ত ফুলকা ধীরে ধীরে হলদে-বাদামী বর্ণ ধারণ করে।
•৬ ফুলকায় পচন ধরে এবং ফুলকা রশি ধসে পড়ে যায়।
• মাছ শ্বাসরু হয়ে মারা যায়।

স্যাপরোলে নিয়াসসিস

এই রোগ সাধারণভাবে অন্ত্ররোগ নামে পরিচিত ।

রোগ জীবাণু

এই রোগ প্রধানত স্যাপরোলেগনিম্ন গণের তিনটি প্রজাতির সংক্রমণে ঘটে থাকে। প্রজাতিগুলো হলো-সেপরোলেগনিয়া ফেরাজ (Saprolegnia ferax) সেপরোলেগনিয়া

প্যারাসাইটিকা (Saprolegnia parasitica) এবং সেপরোলেগনিয়া চিকলিনা (Seprolegia diclina) একাই (Achyria) গণের কয়েকটি প্রজাতির সংক্রমণের এ রোগ ঘটে থাকে।

 

 

রোগের বিস্তার

কার্পজাতীয় মাছের সব প্রজাতির ক্ষেত্রেই এ ভোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ব্রুড মাছ প্রজননের পর সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হয়। মাছের ডিম এবং রেপুর এটি একটি প্রধান রোগ। আঁশ বা জাতীয় মোলায়েম বস্তুর উদ্ভব হয়। এসব ত ৩. সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এরোগ সারা বছরব্যাপী, সব প্রজাতির এবং সব বয়সের মাছেই দেখা । গ্রীষ্মক এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

পরিবেশগত পীড়নে অথবা ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংক্রমণে মাছের দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে উক্ত ক্ষতে ছত্রাকের সংক্রমণে এ রোগের সৃষ্টির হয়।পোনামাছ ছাড়া, মাছ ধরা বা নমুনায়নের সময় যথেচ্ছভাবে মাছ নাড়াচাড়া করা, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে মাছ দুর্বল হওয়া এবং অধিক ঘনত্বে মাছ মজুত করা এ রোগের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

মাছের ডিম বা মৃত মাছের ক্ষেত্রে মেখে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরো দেহ ঢেকে ফেলে। এ রোগে মাছের পিঠের অংশ ও গেজ, পাংশা, চোখ, ফুলকা আক্রান্ত হয়ে থাকে। সংক্রমণের শুরুতে মাছ তেমন কোন অস্বাভাবিক আচরণ করে না। সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে যাচ্ছে মড়ক দেখা দেয়। এটি একটি সংক্রামক রোগ।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

রোগের লক্ষণ

অনুশীলন ( Activity) ল্যাপরোলেগনিয়াসিস রোগের বিস্তার সম্পর্কে আপনার মতামত উপস্থাপন করুন।

সারমর্ম:

মিঠাপানির প্রায় সবপ্রজাতির মাছেই ছত্রাকজনিত রোগের সংক্রমণ ঘটে থাকে। প্রধানত মোভজাতীয় ছত্রাক মাছকে সংক্রমিত করে রোগ সৃষ্টি করে। ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংক্রমণে মাছে কোন ক্ষত সৃষ্টি হলে উক্ত ক্ষতস্থানে মাধ্যমিক সংক্রামক হিসেবে ছরাকের সংক্রমণ এবং মাছ রোগা হয়। মাছের ছত্রাকজনিত প্রধান যোগ হলো গিওমাইকোসিস এবং ।

একবছরের বেশি বহনের কার্পজাতীয় মাছের ক্ষেত্রে ব্রাগিওমাইকোসিসের প্রকোপ অধিক পরিলক্ষিত হয়। ব্রাজিএমাইকোসিন সাধারণভাবে ফুলকা পচা রোগ নামে পরিচিত। এ রোগে আরান্ত মাছের ফুলতা প্রথমে বিবর্ণ হয় এবং পরে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে ও ফুলকা পচন ধরে। সাধারণত প্রজননের পর ব্রুড মাছ এবং ডিমত বেণু সেপরোলেগনিয়ানিস রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত মাছের দেহে উজ্জ্বল সাদা মোলারের তন্ত্রজাতীয় পদার্থের সৃষ্টি হয়।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version