আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ঘেরে চিংড়ি চাষ – যা চিংড়ি পরিচিতি, জীববিদ্যা ও চাষ ব্যবস্থাপনা এর অন্তর্ভুক্ত।
ঘেরে চিংড়ি চাষ
ঘের বলতে বুঝায় এমন এক খণ্ড জমি যার ভেতর খাল কেটে চারদিকে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ও ধান চাষ করা হয়।

জোয়ার-ভাটা অঞ্চলে আধা লবণাক্ত পানি যেখানে ওঠানামা করে এমন জমিতে জোয়ারের পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষ করা হয়। এভাবে লবণাক্ত পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষকে ঘেরে চিংড়ি চাষ বলে। জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি বাজে ধানক্ষেতে প্রবেশ করে ধান চাষের ক্ষতি না করতে পারে এ জন্য উপকূলীর নদীর পাড় দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক জারগার বাঁধ নির্মাণ করেছে। এসব বাঁধকে বেড়ি বাঁধ (Polder) বলে। বাঁধে স্থাপিত ফ্লুইস গেটের সাহায্যে চিংড়ি চাষের জমিতে জোয়ারের সময় লোনা পানি ঢুকিয়ে বাগদা চিংড়ির চাষ করা হয়।
ঘেরে চিংড়ি, মাছ ও ধান চাষ :
এ পদ্ধতিতে জোয়ারের পানি ঘেরে ঢুকিয়ে এবং একই সাথে চিংড়ি ও মাছের পোনা প্রবেশ করানো হয়। এ পদ্ধতিতে শীতকালে ঘেরের ভিতরে চিংড়ি চাষ করা হয় এবং বর্ষাকালের আগে চিংড়ি আহরণ করে একই ঘেরে ধান ও অন্যান্য মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে বর্ষার গুরুতেই সম্পূর্ণ মাছ ধরে নেয়া হয় এবং পাম্পের সাহায্যে ঘেরের পানি গভীর খালে জমা করা হয় । এভাবে লবণাক্ততা কমিয়ে আনা হয় এবং পানি কমিয়ে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে ঘেরে চিংড়ি, মাছ ও ধান পর্যায়ক্রমে চাষ করা হয়।
চিংড়ি ঘেরে খাদ্য ব্যবস্থাপনা :
চিংড়ি চাষের সময়কাল সাধারণত ১২০-২৪০ দিন। এ সময়ে গড়ে দৈনিক ৪০০-৫০০ গ্রাম/শতাংশ হারে শামুকের মাংস প্রয়োগ করা হয়। খোলস পরিবর্তনের ৫-৬ দিন পর এবং অমাবস্যা/পূর্ণিমার ৫-৬ দিন পর চিংড়ি বেশি খাদ্য খায়। তাই তখন চাষিরা বেশি মাত্রায় শামুকের মাংস ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে পানির গুণাগুণের ওপর মাঝে মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পানির তাপমাত্রা কমে গেলে শামুকের মাংস দেয়া হয় না এবং তখন দৈনিক ১৪০ গ্রাম/শতাংশ হারে ভাঙ্গা গম এবং ১৫০ গ্রাম/শতাংশ হারে চালের কুঁড়া দেয়া হয়।

পানি ব্যবস্থাপনা :
অতিরিক্ত খাদ্য ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ খালের তলায় জমা হওয়ার কারণে ৩০-৫০ দিনের মধ্যেই পানির রং কালচে বা তামাটে হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় ঘেরে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
চিংড়ি আহরণ :
চিংড়ি ছাড়ার ১০০-১১৫ দিনের মধ্যেই আংশিক চিংড়ি আহরণ করা হয় । সাধারণভাবে ৫-১০ গ্রেড মাপের চিংড়ি আহরণ করা হয় ( ১ গ্রেড = ১ পাউন্ড )। অনাহারিত ৩০ গ্রেডের চিংড়ি পরবর্তী বছরের জন্য ঘেরেই রেখে দেয়া হয় যা পরবর্তী বছর বাজারজাতকরণ করা হয়। তখন তাদের গড় ওজন পাওয়া যায় ১০০-১২০ গ্রাম।
চিংড়ির খাদ্য, খাদ্যাভ্যাস এবং খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি :
চিংড়ি সাধারণত পানির তলদেশে মাটির উপরে বসবাস করে। তাই সেখানে উদ্ভিদ ও প্রাণী জাতীয় জীবিত বা মৃত যেসব খাবার পাওয়া যায় চিংড়ি খাদ্য হিসেবে সেগুলো গ্রহণ করে থাকে । তবে এদের প্রধান খাদ্য হলো শৈবাল, মস, জলজ আগাছা, ছোট ছোট পোকামাকড় ইত্যাদি। এছাড়া চিংড়ি অনেক সময় পচা লতাপাতা, বালিকণা ইত্যাদিও উদরস্থ করে থাকে। এক কথায় এদেরকে সর্বভুক (Omnivorous) প্রাণী বলা যায়। যেহেতু এরা মূলত রাতেই খাদ্য গ্রহণ করে থাকে তাই চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে চিংড়িকে রাতে খাদ্য প্রদান করা হয় ।
খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি :
খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে এরা প্রথমে অ্যান্টিনা বা শুঁড়ের সাহায্যে খাদ্যের অবস্থান অনুভব করে। চিলেট বা সাঁড়াশিযুক্ত পা দ্বারা খাদ্য বস্তু সংগ্রহ করে এবং পরে তা মুখে প্রবেশ করায়। এখানে উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র চিমটাযুক্ত পা দ্বারা যেসব খাদ্যকণা চিংড়ি ধরতে পারে সেগুলোই সে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে । তাই খাদ্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে শ্বসন কার্যের সময় প্ল্যাংকটন জাতীয় প্রাকৃতিক খাদ্যকণা গ্রহণ করে থাকে । শ্বসন প্রক্রিয়ায় পানি থেকে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করার সময় চিংড়ি মুখ দিয়ে অনবরত প্রচুর পরিমাণে পানি গ্রহণ করে থাকে এবং ফুলকা দিয়ে বের করে দেয়।
এ সময় মুখের ভিতরের বিশেষ ধরনের কলা কৌশলের দ্বারা পানিতে বিদ্যমান অণুজীব খাদ্যকণা হিসেবে খাদ্যনালীতে অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং পরিশ্রুত পানি ফুলকার উপর দিয়ে প্রবাহকালে ফুলকার বিশেষ ধরনের কোষ দ্বারা পানি থেকে অক্সিজেন গৃহীত হয় । এ জন্য উর্বর পুকুরে অনেক সময় সম্পূরক খাবার প্রয়োগ না করেও নিয়মিত সার প্রয়োগ করলে চিংড়ির খাদ্যের অভাব হয় না।
চিংড়ি সাধারণত দিনের বেলায় আড়ালে বিশ্রাম করে এবং রাতে খাদ্যের অন্বেষণে চরে বেড়ায়। তাই দিনের চেয়ে রাতেই বেশি খাদ্য খায়। শুধু খাদ্য গ্রহণই নয় জীবনের অধিকাংশ কাজ, যেমন- খোলস ছাড়া, প্রজনন ও ডিমপাড়া এবং ডিমফোটা ইত্যাদি সব কাজই এরা রাতে সম্পন্ন করে থাকে । তাই এদেরকে নিশাচর (Nocturnal) প্রাণী বলা হয়ে থাকে ।
চিংড়ির আশ্রয়স্থল :
চিংড়ি যখন খোলস পাল্টায় তখন অত্যন্ত দুর্বল থাকে। এ সময়ে আশ্রয়স্থল না পেলে অনেক ক্ষেত্রে অন্য প্রাণী এমনকি সবল চিংড়ি দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। এ থেকে রক্ষাকল্পে যেসব জলাশয়ের তলদেশে কোনো উদ্ভিদ নেই সেখানে বিষাক্ত নয় এমন কিছু গাছের ডালপালা যেমন- খেজুর, তাল বা নারিকেল পাতা হেক্টর প্রতি ২০০-২২৫টি বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রাখা যেতে পারে । পুঁতে রাখা এসব ডালপালা শুধু আশ্রয়স্থল হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না। এসব ডালপালায় শেওলাজাতীয় যেসব খাদ্য জন্মায় চিংড়ি সেগুলো খুঁটে খুঁটে খেতে পছন্দ করে।
চিংড়ির আশ্রয়স্থলের জন্য এসব ডালপালা এবং উদ্ভিদসহ আরো অনেক কিছু যেমন- ফাঁপা ইট, প্লাস্টিকের হোসপাইপের টুকরো, ফ্রেমে বাধা নাইলন চটজালের খণ্ড ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় । অনেক সময় পানির নিচে ভূমি সমান্তরাল করে নাইলনের জাল ছোট ছোট মাচার মতো করে দিলে চিংড়ির আশ্রয়স্থল এবং বিচরণ এলাকা অনেক বেড়ে যায়। আবার অনেকে প্রতি ৫ বর্গ মিটারে এক গুচ্ছ বাঁশের কঞ্চি ও প্রতি ১০ বর্গ মিটারে একটি নারিকেল বা খেজুর গাছের ডাল চিংড়ির নিরাপদ এবং আরামদায়ক আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ।
চিংড়ি চাষের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট ও পরিবেশের ওপর প্রতিক্রিয়া :
চিংড়ি চাষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, অন্যদিকে তেমনি সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় আর্থ-সামাজিক বিরোধ সৃষ্টি করে চলেছে। চিংড়ি চাষ, ধান চাষ ও লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভূমির ব্যবহার নিয়ে প্রায়ই কলহ-বিবাদ দেখা দেয়। চিংড়ি চাষে জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ সন্তোষজনক হয় না। অনেক ক্ষেত্রে চিংড়ি খামারের মালিক বহিরাগত হয়ে থাকেন। তাই চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণের ফলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রকার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ইতিবাচক দিকসমূহ মূলত দুইটি।
প্রথমতঃ চিংড়ি চাষের মাধ্যমে দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় এবং এর জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় কোনোরূপ খরচ নেই বললেই চলে। অপরটি হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। চিংড়ি চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে বিদেশে রপ্তানি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর নেতিবাচক দিকসমূহ হলো-
১. চিংড়ি চাষ ক্ষেত্রসমূহ সম্প্রসারণের ফলে উপকূলীয় বনজ সম্পদ বিলীন হচ্ছে;
২. গো-চারণ ভূমি হ্রাস পাচ্ছে;
৩. বেড়ি বাঁধ নির্মাণের ফলে জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন কমে যাচ্ছে;
৪. হাঁস-মুরগি, গরু, ছাগল প্রভৃতি পালনে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে;
৫. গরিব জনসাধারণের জন্য ঘরের ছাউনির কাঁচামালের সমস্যা দেখা দিয়েছে;
৬. শাক-সবজির সংকট ও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে;
৭. সরকারি খাস খালে চিংড়ি চাষের ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীদের আয় কমে গেছে;
৮. ভূমিহীনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ও
৯. কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধিসহ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে।
এ অভিযোগসমূহ ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক হলেও সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। তাই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও সর্বোপরি দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার স্বার্থে এ শিল্পের যথাযথ প্রসারের জন্য সঠিক দিক নিদের্শনা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানকল্পে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে :
১. উপকূলবর্তী এলাকা জরিপ এবং চিংড়ি চাষযোগ্য এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং চিংড়ি চাষ এলাকাগুলো চিংড়ি এলাকা বলে ঘোষণা দেয়া। পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে উপকূলীয় ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারের নিমিত্ত একটি সুচিন্তিত নীতিমালা প্রণয়ন করা ।
২. সরকারি মালিকানাধীন উপকূলীয় জমি এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিতে হবে যারা নিজেরাই চিংড়ি চাষে নিয়োজিত হবে। ধনী ও শৌখিন চাষিদের বা প্রভাবশালী এবং রাজনীতিবিদদের চিংড়ি চাষ থেকে বিরত রাখা ।
৩. চিংড়ি হ্যাচারি স্থাপন ও প্রাকৃতিক উৎসের চিংড়ি পোনা সংরক্ষণ করা।
৪. চিংড়িসহ বহু সামুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা এবং পোনা নার্সারি ক্ষেত্র হিসেবে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ব্যবহার করে । তাই পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে ম্যানগ্রোভ অঞ্চল নষ্ট না করে আরো বৃদ্ধি করা দরকার ।
পরিশেষে বলা যায়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে চাষ এলাকার ব্যাপক সম্প্রসারণ না ঘটিয়ে চিংড়ি চাষে লাগসই প্রযুক্তি ও কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির কর্মপন্থা অনুসরণ করতে হবে । তাহলেই আমরা অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।
চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার :
জীবমাত্রই নানা প্রকার রোগ-ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। চিংড়ি এর ব্যতিক্রম নয় । চিংড়ির আবাসস্থল তথা পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী, অন্যান্য জীবাণু আর রাক্ষুসে মাছের দল। পরিবেশের যে কোনো পরিবর্তনের ফলে বা ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে কখনো কখনো জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে চিংড়ির দেহে পরিবেশগতভাবে নানা ধরনের চাপ পড়ে এবং রোগজীবাণু দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এর ফলে চিংড়িতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। পরিবেশগত যেসব কারণে চিংড়ি রোগাক্রান্ত হতে পারে নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
১. পুষ্টিহীনতার কারণে বা খাদ্যের অভাবে চিংড়ি দুর্বল হয়ে পড়লে;
২. প্রাকৃতিক পরিবেশে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এবং পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে (৩২°সে. এর উপরে);
৩. পানি দূষিত হয়ে গেলে কিংবা পানির রং এর দ্রুত পরিবর্তন ঘটলে;
৪. পানিতে হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ পাওয়া গেলে;
৫. মাটিতে এসিড সালফেটের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে;
৬. পুকুরের মাটি কালো হয়ে গেলে এবং মাটিতে পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ প্রতিয়মান হলে অর্থাৎ পচা অংশ থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস নির্গত হলে;
৭. অতি বৃষ্টিজনিত কারণে পানির লবণাক্ততা আকস্মিকভাবে কমে গেলে;
৮. পানির পিএইচ কমে গেলে চিংড়ি রোগাক্রান্ত হতে পারে।
আরও দেখুন: