আমাদের আজকের আলোচনার – বিষয় গলদা চিংড়ির বাহ্যিক গঠন । যা ” গলদা চিংড়ির জীববিদ্যা ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।
শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
গলদা চিংড়ির বাহ্যিক গঠন
গলদা চিংড়ি অমেরুদন্ডী প্রাণী। এদের দেহ শক্ত কাইটিনের আবরণে ঢাকা, যাকে বহিঃকঙ্কাল বলে । গলদা চিংড়ির দেহ মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ শিরোবক্ষ (Cephalothorax) শির বা মাথা এবং বক্ষাঞ্চল বা Thorax এর সমন্বয়ে গঠিত । দ্বিতীয় অংশ উদরাঞ্চল বা Abdomen । শিরোবক্ষ অঞ্চলটি একটি শক্ত আবরণ বা ক্যারাপেস দ্বারা ঢাকা থাকে ।
গলদা চিংড়ির দেহে মোট ১৯টি খন্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি অংশ মস্তক অঞ্চলে, ৮টি বক্ষাঞ্চলে ও ৬টি উদরাঞ্চলে অবস্থিত । ভ্রুণ অবস্থায় এর দেহে ২০টি খন্ড থাকে। এর মধ্যে ১ম খন্ডটি পরবর্তীতে দুদিকে চক্ষুবৃত্ত গঠন করে বিধায় ভূণ-পরবর্তী অবস্থায় ১৯টি খন্ড দৃশ্যমান থাকে।
গলদা চিংড়ির মাথা ও বুককে এক সঙ্গে শিরোবক্ষ বা সেফালোথোরাক্স বলা হয় । শিরোবক্ষের পশ্চাতে উদর অবস্থিত । উদর ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে টেলসন বা লেজে শেষ হয়েছে। টেলসনের উভয় পার্শ্বে পুচ্ছ পাখনা বা ইউরোপড (Uropod) অবস্থিত। চিংড়ির বহিরাবরণ কাইটিন নামক খোলস দিয়ে আবৃত যা ক্যালসিয়াম উপাদান দিয়ে গঠিত।
এই খোলসগুলো চিংড়ির দেহের প্রতি অংশকে ঢেকে রাখে এবং একটি খোলস অপর খোলসের সঙ্গে একটি সন্ধিল পর্দা (Arthrodial membrane) দিয়ে সংযোগ রক্ষা করে । ফলে খোলসগুলো সহজেই প্রয়োজনে সম্প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে । চিংড়ির খোলসের অনেকগুলো স্তর আছে ।
একবারে উপরের স্তরটি শক্ত ও কোষবিহীন । শক্ত স্তরের নিচে একপ্রস্থ কোষ অবস্থিত । কোষের স্তরে রসগ্রন্থি বিদ্যমান। স্ক্লেরাইট (Sclerite) দ্বারা চিংড়ির প্রতিটি দেহখন্ড আবৃত থাকে । উদরে প্রধানত দু’টি স্ক্লেরাইট অবস্থিত; পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত ছোট অংশকে পিউরন (Pleuron) বলা হয় ।
চিংটিনা শিরোক্ষ পৃষ্ঠদেশাবরণ (Dornal shield) বা শিরোবর্ম দ্বারা ঢাকা থাকে যা ক্যারাদেস (Canagach নামে পরিচিত। পৃষ্ঠদেশের বাকরণ উত্তর পার্শ্ব হতে নিচের দিকে সম্প্রসারিত হয়ে ফুলকার উত্তর দিকে একটি আাকাণ্যের সৃষ্টি করে । এই আবরণকে ব্রাজিলেন্টপাই (Branchiostogite) ফলা হয়।
এই চিি গালখন বা ফুলকাকে রক্ষা করে । পৃষ্ঠদেশের জাকরণ হতে মধ্যরেখা বরাবর একটি অংশ সামনের দিকে ক্ষম লম্বা হয়ে দুই পার্শ্ব চাপা ও ঊর্ধ্বমুখী সরু করাক্ষের মতো সম্প্রসারিত বা রোস্ট্রাম (Rostrum) মানে পরিচিত। এই প্রোট্রাম ফ্যারাপেলের সম্মুখভাগে অবস্থিত।
রোট্রালের উপরের ও নিচের কিনারার খাজ কাটা থাকে। চিংড়ি এই রোট্রা থেকে রক্ষা করে থাকে। রোজাদের গোড়ার উত্তর পার্শ্বে ছোট দুটি কণ্টক থাকে। সামনের কণ্টকটকে ল কণ্টক (Antennal spins) ও পিছনের কণ্টকটিকে স্বকৃৎ কণ্টক (Hepatic spine) বলা হয়। রোজায়ের গোড়ার উভয় পার্শ্বে একটি করে সবৃত্তক পুঞ্জাক্ষি (Stalked compoind eye) অবস্থিত। বৃক্ষের সারাগো চিংটি গুঞ্জাক্ষিকে চারদিকে জুৱাতে সক্ষম হয় ।

নিয়োনাক্ষের অভীরতাদের অগ্রভাগে ছোট মুখ অবস্থিত। মুখের সামনের উপরের অংশকে লেৱাস (Labrum) বা উর্ব্বোচ ও নিচের অংশকে লেবিয়াম (Labium) বা নিষ্ঠ ফলে । চিং লেজের ক্ষীরদেশে পায়ু অবস্থিত। পিপলের পোড়ার ভেতরের দিকে পুরুষ চি জন জন্ম এবং তৃতীয় উপাদের ঠিক একই উন্মুক্ত হয়।
আরও দেখুনঃ