Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা | অধ্যায়-৪র্থ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা | অধ্যায়-৪র্থ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা । যা ” গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা

 

 

গলদা চিংড়ির প্রজনন ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা

তাইওয়ানের বিজ্ঞানী ড. এস ডবিউ লিং ১৯৬১ সনে মালয়েশিয়ার মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটে কাজ করার সময় সর্বপ্রথম পর্যবেক্ষণ করেন যে, গলদা চিংড়ি স্বাদু পানির চিংড়ি হলেও ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে (Brackish Water) এরা লার্ভা পর্যায় সম্পন্ন করে। প্রাকৃতিক পরিবেশে এ চিংড়ি নদীর মাহনায় ডিম ছাড়ে, ডিম ফুটে লার্ভি বের হয়, লার্জি মোহনায় প্রায় এক মাসের মধ্যে পিএল হয় এবং পরবর্তীতে নদীর উজানে যাত্রা শুরু করে ও জুভেনাইল চিংড়িতে পরিণত হয়।

১৯৬২ সালে ড. লিং ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে লার্ভা পালন করে সাফল্য লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি পুকুরে চাষের জন্য গলদা চিংড়ির পোনা উৎপন্ন করেন। এর পরে ১৯৬৫ সালে টি ফুজিমুরা এর নেতৃত্বে হাওয়াইতে গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদন ও চাষের উপর গবেষণা পরিচালিত হয়।

যে কোনো চাষ ব্যবস্থার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ভাল বীজ বা পোনার প্রাপ্যতা। পঞ্চাশ দশকের শুরুতে থাইল্যান্ডের কিছু চাষি প্রাকৃতিক উৎস থেকে পোনা সংগ্রহ করে গলদা চাষ শুরু করে। আমাদের দেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী ও বরিশালের কিছু কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক উৎস হতে পোনা সংগ্রহ করে সনাতন পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করে।

মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় ১৯৮৮ সালে প্রথম এডিবি প্রকল্প থেকে কক্সবাজারে গলদা চিংড়ির হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চিংড়ি চাষ প্রকল্পের (আইডিএ) কর্মকর্তাগণ সাময়িক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

চিংড়ি চাষ প্রকল্প (আইডিএ) খুলনা অঞ্চলে ১৯৮৮ সনে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জে সাধারণভাবে নির্মিত হ্যাচারি দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পিএল উৎপাদনে সফলতা লাভ করে। ১৯৯৩ সনে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, নদী কেন্দ্র, চাঁদপুর ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর, চাঁদপুর-এর সহযািেগতায় গলদা চিংড়ির গৃহাঙ্গন হ্যাচারির সূচনা হয়।

১৯৮৮ সালে উত্তর-পশ্চিম মৎস্য সমপ্রসারণ প্রকল্প, পার্বতীপুর, দিনাজপুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন হয়। ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর দেশের ১০টি জেলায় ১০টি চিংড়ি হ্যাচারি স্থাপন করে মোটামুটিভাবে সফলতা লাভ করে। সরকারি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কতিপয় বেসরকারি সংস্থা বিশেষ করে ব্যাক, প্রশিকাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন বেশ কিছু হ্যাচারি গলদার পিএল উৎপাদন করছে।

গলদা হ্যাচারির প্রয়োজনীয়তা

গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণে প্রধান সমস্যা পিএল/জুভেনাইলের দুষ্প্রাপ্যতা। দেশে গলদা চিংড়ি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পিএল স্বল্পতার কারণে চাষ সম্প্রসারণ বিঘ্নিত হয়। চিংড়ি চাষিদের চাহিদা অনুসারে পিএল সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত হ্যাচারি নেই। বাংলাদেশের গলদা চিংড়ি চাষ প্রধানত প্রাকৃতিক উৎসের চিংড়ি পোনার উপর নির্ভরশীল।

চিংড়ি চাষিগণ প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগৃহীত পিএল মজুদ করে চিংড়ি চাষ করে থাকে। ফলে প্রাকৃতিক উৎসের পিএলও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। অধিকন্তু প্রাকৃতিক উৎস থেকে অপরিকল্পিতভাবে পোনা সংগ্রহকালে অন্যান্য প্রজাতির অসংখ্য পোনা/জীব বিনষ্ট হওয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।

 

 

এ ছাড়াও নিম্নলিখিত কারণে গলদা হ্যাচারি স্থাপনের গুরুত্ব অপরিসীম:

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version