Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

খাদ্য ব্যবস্থাপনা | অধ্যায়-৬ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

খাদ্য ব্যবস্থাপনা | অধ্যায়-৬ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – খাদ্য ব্যবস্থাপনা । যা ” পুকুরে গলদা চিংড়ি পোনা মজুদোত্তর ব্যবস্থাপনা ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা

 

 

খাদ্য ব্যবস্থাপনা

চিংড়ির জীবনধারণ, দৈহিক বৃদ্ধি ও সুস্থতার জন্য খাদ্যের বিশেষ প্রয়োজন। এছাড়া চিংড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্যও চিংড়ি চাষে খাদ্য প্রয়োগ করতে হয়। উন্নত ব্যাপক পদ্ধতির চাষাবাদে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু সম্পূরক খাদ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আধানিবিড় ও নিবিড় পদ্ধতির চাষাবাদ মূলত সরক খাদ্য বা শিলেটের উপর নির্ভরশীল। চিংড়ি খামারে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্য প্রয়োগ করলে অব্যবহৃত খাদ্য পড়ে পানি দূষিত করে ফেলে। একে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং হাইড্রোজেন সালফাইড প্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে চিংড়ির ব্যাপক মড়ক দেখা দিতে পারে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

চিংড়ির গড় ওজন ও তাপমাত্রার উপর চিংড়ির খাদ্যের পরিমাণ নির্ভর করে। চিংড়ির ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের হার কমানো উচিত। নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে চিংড়ির সংখ্যা ও গড় ওজন হিসাব করে খাদ্যের মাত্রা স্থির করা উচিত। চিংড়ির গড় ওজনের ভিত্তিতে খাদ্য প্রয়োগের হার নিচে দেয়া হলো:

চিংড়ির গড় ওজন (গ্রাম) দৈনিক খাদ্যের হার (মোট দৈনিক ওজনের%)
নার্সারি পুকুর/ লালন পুকুর ০.২-১.০ ১৫-১৩
১.০-২.০ ১৩-১১
২.০-৩.০ ১১-৯
৩.০-৫.০ ৯-৭
৫.০-১৩.০ ৭-৫
১৩.০-২০.০ ৫-৩
২০.০-৩০.০ ৩-২.৫

খাদ্যদানীর মাধ্যমে পুকুরে খাদ্য প্রয়োগ করলে খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং সঠিকভাবে খাদ্যের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। বাগদা চিংড়ি দিন-রাত সব সময় খাদ্য খেয়ে থাকে তবে সন্ধ্যা ও রাতে চিংড়ি সবচেরে বেশি খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। সূর্যালোকের প্রখরতা বাড়ার সাথে সাথে চিংড়ির খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা আপেক্ষিকভাবে কমে যায়। খাদ্য প্রয়োগের একটি সম্ভাব্য সময়সূচি নিচে দেয়া হলো:

সময় (ঘন্টা) সম্পূর্ণ খাদ্যের%
সকাল ৭টা ২০
বিকাল ৪টা ১০
সন্ধ্যা ৬টা ২৫
রাজি ৮টা ২৫
রাত্রি ১০টা ২০

এভাবে প্রতিবার খাদ্য সরবরাহের সময় পুত্রায়ন অবশিষ্ট সকল খাদ্য ফেলে দিয়ে ট্রে পরিষ্কার করতে হবে।

 

 

চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা

চিংড়ির স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি, খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য নিয়মিতভাবে নমুনা সংগ্রহ করা দরকার। সাধারণত খেশলা জালের (Cast net) সাহায্যে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর চিংড়ির স্বাস্থ্য ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখার দরকার যে চিংড়ি রোগাক্রান্ত হয়েছে কি-না।

যদি রোগাক্রান্ত হয় তবে জরুরি ভিত্তিতে নিরাময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নমুনা সংগ্রহের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে চিংড়ির সংখ্যা ও গড় ওজন হিসাব করে যেয় করা। কারণ চিংড়ির গড় ওজনের ভিত্তিতেই খামায়ে খাদ্য প্রয়োগ করা হয়।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version