আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে ভালো পোনার গুরুত্ব
অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে ভালো পোনার গুরুত্ব
মৎস্য চাষের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে মৎস্য বীজ অর্থাৎ পোনা প্রধানতম উপকরণ । বীজ ভালো না হলে যেমন- ফসলের ফলন ভালো হয় না, তেমনি পোনা ভালো গুণ-সম্পন্ন না হলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের ফলন ও আশানুরূপ পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, সে হারে জমি বাড়ছে না । এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার মাছের চাহিদা পূরণ করতে হলে অবশ্যই মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কাজেই অধিক উৎপাদনের জন্য পোনার গুরুত্ব অপরিসীম । মাছের ভালো পোনার যে সমস্ত গুণাবলি থাকা দরকার সেগুলো হলো :
i. পোনা চঞ্চল ও লাফালাফি করবে ।
ii. পোনার গায়ের রঙ চকচকে উজ্জ্বল হবে।
iii. পোনা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটবে ।
iv. পোনার পাখনা অক্ষত থাকবে ।
v. পোনার শরীরে কোনো দাগ থাকবে না ।
আর উপরোক্ত গুণ সম্পন্ন পোনা উৎপাদনের জন্য প্রধান কাজ হলো প্রত্যেকটি হ্যাচারিতে সঠিক গুণাগুণ সম্পন্ন প্রচুর পরিমাণে জেনেটিক গুণে বিশুদ্ধ ব্রুড মাছ মজুদ এবং পরিচর্যা করা । আর প্রাকৃতিক উৎস থেকে রেণুপোনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা । নদীতে প্রথম প্রজননে উৎপন্ন রেণু পরের দিকে উৎপন্ন রেণু অপেক্ষা অধিকতর ভালো মানের হয়ে থাকে।
প্রথম দিকের রেণুপোনায় অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত উৎসের পোনার সাহায্যে মৎস্য চাষ করতে পারলে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তবে এক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতার সাথে পোনা সংগ্রহ করতে হবে। ইদানীং একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নদীতে রেণু উৎপাদন শুরু হলে নদীর উৎসের পোনার সঙ্গে হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনা মিশিয়ে অথবা হ্যাচারির পোনাকে নদীর পোনা বলে রেণু ক্রেতাদের প্রতারিত করে থাকে ।
অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে নদী উৎসের রেণুপোনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে ।
আরও দেখুন: