আগাছা দমন | অধ্যায়-৪ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – আগাছা দমন । যা ” গলদা খামার প্রস্তুতকরণ ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত ।

শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

আগাছা দমন

 

আগাছা দমন

গলদা চিংড়ির পুকুরে নানা ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। পুকুরে অল্প পরিমাণ উদ্ভিদ চিংড়ি চাষের সহায়ক হলেও এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলে তা চিংড়ি চাদের জন্য অনেক সময় মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। পুকুরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের সহাবস্থান প্রয়োজন।

তবে এই সহাবস্থান উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। তাই চিংড়ি চাষের জন্য আগাছা সীমিত পর্যায়ে রাখতে এর নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো উদ্ভিদ রৌদ্রের প্রখর তাপ থেকে চিংড়িকে রক্ষা করে। তবে মাত্রাতিরিক্ত উদ্ভিদ চিংড়ি চাষের জন্য ক্ষতিকর। গলদা চিংড়ির পুকুরে জলজ উদ্ভিদের ক্ষতিকর দিকসমূহ নিম্নরূপ:

  • চিংড়ির আশ্রয়স্থল দখল করে ফেলে
  • রাক্ষুসে মাছের আবাসস্থল সৃষ্টি করে
  • পুকুরে পানি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে পানির উল্লা শক্তি কমিয়ে ফেলে
  • অবাঞ্ছিত প্রাণী যেমন, সাপ, ব্যাঙ প্রকৃতির আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়
  • জলজ উদ্ভিদ পুকুর থেকে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে।
  • পানিতে সূর্যালোক পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি করে ফলে সালোকসংশ্লেষণ ক্রিয়া ব্যাহত হয়
  • জলজ উদ্ভিদ পচে পুকুরের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে।
  • চিংড়ির চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। • চিংড়ি আহরণে বাধার সৃষ্টি করে।

জলজ উদ্ভিদ বলতে অতি ক্ষুদ্র শেওলা যা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় সে রকম উদ্ভিদ থেকে কচুরিপানা, কলমিলতা পর্যন্ত সব উদ্ভিদকে বুঝায়। বৃদ্ধি, সভাব ও বাসস্থলের প্রকৃতি অনুসারে জলজ উদ্ভিদকে নিচের কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। পুকুরে সাধারণত পাঁচ ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। যথা

(১) শেওলা জাতীয় উদ্ভিদ

(২) নিমজ্জনশীল উদ্ভিদ

(৩) ভাসমান উদ্ভিদ

(৪) নির্গমনশীল উদ্ভিদ

(৫) লতানো উদ্ভিদ

(১) শেওলা জাতীয় উদ্ভিদ

শেওলা বলতে শুধু অণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকেই বুঝায় না। তন্তুজাতীয় উদ্ভিদ এবং দলবদ্ধ শেওলা জাতীয় উদ্ভিদের অন্তর্গত। শেওলার পাতা ও ফুল থাকে না তবে এদের বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ অপেক্ষা দ্রুত ঘটে থাকে। শেওলা সাধারণত পানির উপরিভাগে অবস্থান করে। পুকুরে সাধারণত তিন ধরনের শেওলা দেখা যায়। যথা-

(ক) শাখাযুক্ত শেওলাঃ

এই জাতীয় শেওলা শাখাযুক্ত এবং পুষ্পবাহী উদ্ভিদের মতো। এই শেওলার কোনো অংশ পানির উপরিভাগের উপর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় না। যথা-চারা, নিটেলা ইত্যাদি।

(খ) তত্ত্ব জাতীয় শেওলাঃ

এই জাতীয় শেওলা খালি চোখে দেখা যায়। পুকুরের পাড় ও তলদেশে এরা জন্মায় এবং পরে পানির উপরিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। এই শেওলা পচে পানির উপরিভাগে গাদ সৃষ্টি করে ফলে পানি দূষিত হয় এবং এতে মাছ মারা যেতে পারে। যেমন-ইউলোগ্রিক্স, পাইরোগাইরা, ক্লাডোফোরা ইত্যাদি।

(গ) এককোষী বা দলবদ্ধ শেওলাঃ

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এই জাতীয় শেওলা ভালোভাবে দেখা যায়। পুকুরে সার প্রয়োগের ফলে এই জাতীয় শেওলা জন্মায় যা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে অধিক পরিমাণে জন্মালে পানিতে অক্সিজেনের অভাব ঘটে ফলে মাছের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। এই শেওলার আধিক্য পানিতে সূর্যালোক পৌছাতে বাধা দেয়। যেমন-ইউগেনা, ডায়াটম, ভলভক্স ইত্যাদি।

(২) নিমজ্জনশীল উদ্ভিদ

এই জাতীয় উদ্ভিদ পুকুরের তলদেশে জন্মায়। এদের বৃদ্ধি পানির তলদেশেই ঘটে থাকে। নিমজ্জনশীল উদ্ভিদের কা- ও পাতা পানির তলদেশে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। তাই এ জাতীয় উদ্ভিদকে ডুবন্ত উদ্ভিদ বলা হয়। চিংড়ি বা মাছের স্বাভাবিক চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। এরা পুকুরের তলদেশে সূর্যালোক পৌছাতে। বিঘ্ন ঘটায়। যেমন- পাতা ঝাঝি, কাঁটা ঝাঝি ইত্যাদি।

৩) ভাসমান উদ্ভিদ

এ জাতীয় উদ্ভিদের শিকড় ও পাকা আছে। পাড়া পানির উপয়ে ভাসকে খাকে। কিনতু উদ্ভিদের শিকড় পানির যথ্যে স্কুলে থাকে। আবার কিছু উদ্ভিদের শিক্ষক পুকুদ্রের তলদেশে খাটিতে থাকে। এগুলো প্রকৃতপক্ষে জলজ আগাছা হিসেবে পরিচিত। কারণ এরা পুকুরে সূর্যালোক পৌঁছতে বাধা দেয় এবং পানির পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণ কত্রে। যথা- কচুরিপানা, কুদিপানা ইজ্যাদি।

(৪) নির্গমনশীল উদ্ভিদ

এই উদ্ভিদের শিকড় গুভুজের কলদেশে মাটির সাথে সংযুক্ত থাকে। এই উথিদের অংশ বিশেষ পানির উপরিমাণ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পুদুক্তেয় তলদেশে সূর্যালোক পৌষতে এল্লা বাবা সৃষ্টি করে। যেদল বিষকাটালি, আকৃইিল ইভ্যানি।

৫) লতানো উদ্ভিদ

এই আতীয় উদ্ভিদের শিকড় পুকুত্রেয় পাড়ে থাকে বিনতু এয়ে কান্ড ও পাথা পাদির উপরিভাগে থাকে এবং গাবিন্ন উপরিভাগকে প্রায় আবৃক্ত করে ফেলে। যেমন- কলমিলতা, হেলেন, কেচসান ইজ্যাসি।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আগাছা দমন ও নিম্নণ পদ্ধতি

চিংড়ি ভাবে বারে কোনো প্রকার অসুবিধায় সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগাছা দমন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। চিংড়ি সখের পুকুরে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকা দরকার কিনতু জলজ উদ্ভিন পানিতে সূর্যালোক প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে ফলে পানিকে অক্সিলেদের অভাব হয়। তাই সিংড়ি চাষের পুরুত্বে আগাজা বৃদ্ধি দিংস্রণে না রাখলে খুব অল্প সময়েই এফটি পুকুর বধাবাদী দন্ধ জলাভূমিতে পরিণত হতে গায়ে। পুকুরেয় আগাছা দমন ও নিয়ন্ত্রণ নয়টি উপায়ে করা যায়। স্বথা-

(১) সার প্রয়োগ পদ্ধতি

(২) বাত্রিক পদ্ধতি

(৩) জৈবিক পদ্ধতি

(৪) রাসায়নিক পদ্ধতি

(১) সার প্রয়োগ পদ্ধতি

সাধারণত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য পুকুরে সার প্রয়োগ করা হয়। তবে নিমজ্জনশীল উদ্ভিন নিয়ন্ত্রণের জন্যও অনেক সময় শুকুরে সার প্রয়োগ করা হয়। বিশেষ করে সার প্রয়োগে উৎপাদিত অলতু শেওলা, নিমজ্জনশীল আগাছা সমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় পানির উপরিভাগে একটি স্কর পড়ে যায় ফলে সূর্যরশ্মি পুকুরের তলদেশে প্রবেশ করতে পারে না এবং এ কারণে জাগাছার বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও পরবর্তীতে মারা যায়। এভাবে সার প্রয়োপের মাঞ্চযে নিম্নজ্জনশীল উদ্ভিদ দমন করা সহজ।

(২) যান্ত্রিক পদ্ধতি

এই পদ্ধতিতে জলজ আগাছা নিয়ন্ত্রণ বেশ ব্যয়বহুল ও শ্রমসাধ্য। স্টিল ক্যাবল ও উইড স’ ব্যবহায় করে এই পদ্ধতিতে আপাছা দমন করা যায়। স্টিল ক্যাবল দিয়ে শেওলা ছাড়া সব ধরনের জলজ আগাছা পরিষ্কার করা যায়। পক্ষান্তরে উইড স’ দিয়ে কেবল নরম জাতীয় নিমজ্জনশীল উদ্ভিদ দমন করা যায়। তবে বাংলাদেশে মজুরি সত্তা বিধায় শ্রমিক দিয়ে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ এবং একে খরচও কম। কচুরিপানা, কলমিলতা, হেলেঞ্চা ইত্যাদি আগাছা কায়িক শ্রম দ্বারা অপসারণ করা সহজ।

(৩) জৈবিক পদ্ধতি

জলজ আগাছা দমনের জন্য জৈবিক পদ্ধতি অধিক নিরাপদ ও কার্যকর। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে খরচও অনেক কম। এই পদ্ধতিতে আগাছা দমনের জন্য কোনো রাসায়নিক দ্রব্য বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় না। জৈবিক পদ্ধতিতে আগাছা দমনের ফলে পুকুরের মাটি ও পানির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এই পদ্ধতিতে আসাহা দমনের জন্য রাজহাঁস ও পাতিহাঁস এবং গ্রাসকার্প, তেলাপিয়া প্রভৃতি মাছ ব্যবহার করা যেতে পারে।

(৪) রাসায়নিক পদ্ধতি

জলজ আগাছা দমনের অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে রাসায়নিক পদ্ধত্তি অধিক কার্যকর। অল্প সময়ে ও অল্প খরচে এই পদ্ধতিতে সব ধরনের আগাছা দমন করা যায়। তবে এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্ট এই পদ্ধতিতে আগাছা দমনের পূর্বে ফোনো মৎস্যবিজ্ঞানী বা নিকটবর্তী মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

তাছাড়া হাসায়নিক পদার্থ পুকুরে প্রয়োগের সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করা উচিত। পুকুরে চিংড়ি থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ পুকুরে প্রয়োগ করা উচিত নয়। কপার সালফেট, সোডিয়াম আরসেনাইট, ২-৪ ডি, এ্যাকুরাখল পাস প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ বিভিন্ন প্রকার জলজ আগাছা দমনে ব্যবহার করা হয়।

পুকুর শুকানো

প্রতিবার চিংড়ি চাষ করার পূর্বে পুকুরের পানি সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশন করে পুকুরের তলদেশের মাটি শুকিয়ে ফেটে না যাওয়া পর্যন্ত রৌদ্রে শুকাতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত ফালগুন-চৈত্র মাসে পুকুর শুকানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়। কারণ এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও খুব কম থাকে। এছাড়াও পুকুর মালিকগণ সুবিধাজনক যে কোন সময়ে পুকুর শুকাতে পারে।

সম্পূর্ণভাবে পানি নিষ্কাশন করার পর পুকুর ভালোমত শুকাতে ২-৫ সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন হয়। পুকুরের তলদেশ সূর্যালোকে এমনভাবে শুকাতে হবে যাতে মাটিতে ৪-৫ সেমি ফাটল সৃষ্টি হয়। তবে মাটিতে অ্যাসিড বা কম থাকলে ফাটল সৃষ্টি না করাই উত্তম।

তাছাড়া পুকুরের তলদেশ দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে গেলে যদি ৩-৫ সেমি এর বেশি গর্ত না হয় তবে এতেও শুকানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। এ সময় পুকুরের তলদেশে কাদার পরিমাণ বেশি থাকলে প্রয়োজনবোধে এক স্তর কাদা উঠিয়ে ফেলা যেতে পারে। এ সময় পুকুরের তলদেশের উপরিভাগ যাতে সমতল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর ফলে পুকুরের চিংড়ি আহরণ এবং পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন করা সহজ হয়।

যে সব পুকুরের পানি সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশন করা সম্ভব নয় সে সব পুকুরের পানি এমন পরিমাণে নিষ্কাশন করতে হবে যেন পুকুরের তলদেশ পর্যন্ত প্রচুর সূর্যরশ্মি পৌঁছতে পারে। এসব পুকুরে পরে বিষ প্রয়োগ করে রাক্ষুসে মাছ ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত প্রাণী দমন করা হয়।

যে সব পুকুরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অবিরামভাবে চিংড়ি চাষ করা হয়েছে অথবা পুকুরের তলদেশে যদি কালো রঙের জৈব তলানি সৃষ্টি হতে দেখা যায় তবে পুকুরের তলদেশ কিছুদিন শুকানোর পর ৫-১৫ সেমি গভীর করে ভালোভাবে চাষ দিতে হবে এবং রোদে আবারও ভালোভাবে শুকাতে হবে।

পুকুর শুকানোর উপকারিতা

  • পুকুরের তলদেশ ভালোভাবে শুকানোর ফলে সব ধরনের রাক্ষুসে মাছ, অবাঞ্ছিত প্রাণী ইত্যাদি দূরীভূত হয়।
  • পুকুরের তলদেশে বিদ্যমান জৈবিক পদার্থসমূহ আলো বাতাসের প্রভাবে মাটিতে মিশে যায়। ফলে মাটিতে পুষ্টিকারক উপাদানের পর্যাপ্ততা ঘটে এবং এতে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • মাটিতে বিদ্যমান হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসসমূহ দূরীভূত হয়।
  • পুকুরের তলদেশ শুকানোর ফলে মাটিতে বিদ্যমান অনেক ক্ষতিকর পোকামাকড় ও রোগজীবাণু ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।
  • পুকুরের তলদেশ শুকানোর ফলে মাটির গাঠনিক কাঠামো মজবুত হয়। ফলে মাটির পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • মাটি শুকানোর ফলে তলদেশের মাটি পচনের হাত থেকে রক্ষা পায়।

আধুনিক চিংড়ি চাষ পদ্ধতিতে রাক্ষুসে মাছ ও অবাঞ্ছিত প্রাণী মুক্ত খামারই উন্নত খামার ব্যবস্থাপনার পূর্বশর্ত। তাই চিংড়ি খামারে পোনা মজুদ করার পূর্বেই পুকুর থেকে রাক্ষুসে মাছ ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত প্রাণী দমন করা দরকার। পুকুর শুকিয়ে অথবা নানা ধরনের জৈব ও অজৈব পেস্টিসাইড ব্যবহার করে রাক্ষুসে মাছ ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত প্রাণী দমন করা যায়।

গলদা চিংড়ির খামারে যে সব রাক্ষুসে মাছ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে বেলে, ভেটকি, টেংরা, দাতিনা, তেড়ে বোয়াল, শোল, ফলি প্রভৃতি মাহ উল্লেখযোগ্য। গলদা খামারে অবাঞ্ছিত প্রাণীর মধ্যে চান্দা, পোর্স, তেলাপিয়া, তপসী, পায়রা, ককলে, সাপ, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 

আগাছা দমন | অধ্যায়-৪ | শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২

 

রাক্ষুসে মাছ এবং অবাস্থিত মাহ ও প্রাণীর ক্ষতিকর দিকসমূহ

  • এরা গলদা চিংড়ি খেয়ে ফেলে।
  • গলদা চিংড়ির জন্য সরবারহকৃষ্ণ খাবারে ভাগ বল…
  • এরা চিংড়ির আবাসস্থল দখল করে।
  • পুকুরের পাদিয় তৌত ও রাসায়নিক অবস্থার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে।
  • এরা রোপ জীবাণু ছড়ায়।
  • পুকুরের পাড়ে গর্ত করে পাড় নষ্ট করে ফেলে ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment