মাইকিং করে ২৬ কেজির কোরাল বিক্রি -খবর দিয়ে শুরু করছি মৎস্য গুরুকুল এর নিউজ আপডেট । আমরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো সংকলন করে আপনাদের সামনে নিয়ে আসছি। যারা নিয়মিত সংবাদপত্র বা অন্য মাধ্যমের খবরগুলোতে চোখ রাখার সময় পান না। তাদেরকে এই আয়োজনটি হালনাগাদ থাকতে সাহায্য করবে।
সারা সপ্তাহের খবর
৯৩ কেজির বাগাড় এর দাম ৮৬ হাজার টাকা!
সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে মুক্তি মিয়া ও ফখরুল ইসলাম নামের দুই জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৩ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। তাঁরা মাছটি কেজি দরে ৮৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ২৪ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জ উপজেলার বিরশ্রী ইউনিয়নের সুপরাকান্দি এলাকায় ওই দুই জেলের বেড় জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাইকিং করে ২৬ কেজির কোরাল বিক্রি
বরগুনায় বিষখালী নদীতে কয়েকজন জেলের জালে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। রোববার দুপুরে বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ভোরা এলাকার ওই জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি বরগুনা পৌর শহরের মাছবাজারে নেওয়া হলে সালাম নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী সেটি ২৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। এরপর তিনি এলাকায় মাইকিং করে ১৩টি ভাগ দিয়ে ২৬ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।
গাজীপুরের ধরা পড়ল ‘অচেনা মাছ’
গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট এলাকায় মো. আবু তালেব নামের এক মাছচাষির ঘেরে একটি ‘অচেনা মাছ’ ধরা পড়েছে। এলাকার জেলে থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও এ মাছ দেখে চিনতে পারেননি। ১৬ এপ্রিল রোববার সকালে মাছটি ধরার পর খবর পেয়ে আবু তালেবের মাছের ঘেরে ভিড় করছেন স্থানীয় মানুষজন। গোলাঘাট এলাকার বিলের একপাশে ঘের তৈরি করে দুই যুগ ধরে মাছ চাষ করছেন আবু তালেব। তিনি বলেন, ঘের খনন করার জন্য পানি সেচে ফেলা হচ্ছে। অল্প পানিতে সব মাছ ধরতে জাল ফেলা হয়। জাল টেনে পাড়ে তুলতেই অন্য মাছের সঙ্গে উঠে আসে অদ্ভুত এই মাছ।

থামছে না জাটকা নিধন
ঘন ঘন অভিযান পরিচালনার পরও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জাটকা শিকার বন্ধ হচ্ছে না। অভিযান পরিচালনাকারী দলে থাকা সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের অভিযান চালানোর খবর আগেভাগে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ সময় জড়িত ব্যক্তিদের ধরা যাচ্ছে না। অন্যদিকে জেলেরা বলছেন, মাছ না ধরলে তাঁদের আয়রোজগার বন্ধ থাকে। সরকারি সহায়তা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা নদীতে নেমেছেন।
মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য
দেখতে অনেকটা বাটা মাছের মতো। নাম জারুয়া মাছ। মাছটির জাত সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্র। এখানকার বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সাল থেকে গবেষণা চালিয়ে জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছেন। এর আগে এ কেন্দ্রে ট্যাংরা ও গুতুম মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে।
আরও পড়ূনঃ