আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হিমায়নে প্রভাব সৃষ্টিকারী নিয়ামকসমূহ – যা মাছ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এর অন্তর্ভুক্ত।
হিমায়নে প্রভাব সৃষ্টিকারী নিয়ামকসমূহ
হিমায়নে প্রভাব সৃষ্টিকারী নিয়ামকসমূহ | নিচে বর্ণিত প্রভাবকারী নিয়াকসমূহ মাছের হিমায়নকে প্রভাবিত করে থাকে-
১. মাছের রাসায়নিক গঠন :
চর্বিযুক্ত মাছের চেয়ে কম চর্বিযুক্ত মাছ হিমায়নের জন্য ভালো। কারণ চর্বিযুক্ত মাছ জারণের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
২. হিমায়ন পূর্ব পরিচর্যা :
হিমায়িত মাছের গুণগতমান নির্ভর করে কাঁচা মাছের গুণগতমানের ওপর। আংশিক পচা হিমায়িত মাছের সংরক্ষণ সময় টাটকা হিমায়িত মাছের সংরক্ষণ সময়ের চেয়ে অনেক কম । হিমায়নের পূর্বে মাছের সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণ হিমায়িত মাছের গুণগতমানকে নিশ্চিত করে।
৩. হিমায়ন পদ্ধতি :
হিমায়িত মাছের গুণাগুণ নির্ভর করে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে মাছকে হিমায়ন করা হয়েছে তার উপর। যেমন- দ্রুত হিমায়নের মাধ্যমে হিমায়িত মাছের গুণাগুণ ধীর হিমায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে হিমায়িত মাছের চেয়ে ভাল হয়ে থাকে।

৪. তাপমাত্রা :
তাপমাত্রা এবং সংরক্ষণ সময় হিমায়িত মাছকে প্রভাবকারী দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক । হিমায়িত মাছকে যদি উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয় তাহলে তার গুণগতমান হ্রাস পাওয়ার গতি ত্বরান্বিত হয়।
৫. প্যাকেজিং এবং গ্লেজিং :
হিমায়িত মাছ যদি সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে আসে তাহলে তার গুণগতমানের ক্ষতিকর পরিবর্তন হয়। জলীয় অংশ হ্রাস পাওয়ার ফলে মাছের দেহ শুকিয়ে যেতে পারে, এতে মাছ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং খারাপ গন্ধের সৃষ্টি হয় । ফলে মাছকে প্যাকেজিং বা মোড়কীকরণ প্রয়োজন । গ্লেজিং -এর ফলে মাছের গায়ে পাতলা আবরণ সৃষ্টি হয় যা মাছের জলীয় অংশ হ্রাস পাওয়া রোধ করে এবং পচন বাধাগ্রস্ত করে।
৬. আপেক্ষিক আর্দ্রতা :
হিমায়িত মাছের দেহের আপেক্ষিক আর্দ্রতা পারিপার্শ্বিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার চেয়ে বেশি থাকে বলে মাছের দেহ থেকে পানি বের হয়ে যেতে পারে। তাই হিমায়িত মাছকে সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০% এর বেশি হওয়া উচিত ৷
আরও দেখুনঃ