মাছ চাষকালে উদ্ভূত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মাছ চাষকালে উদ্ভূত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান।

মাছ চাষকালে উদ্ভূত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান

 

মাছ চাষকালে উদ্ভূত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান

 

মাছ চাষকালে ব্যবস্থাপনাগত বা প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত কিছু কিছু সমস্যা দেখা যায়। এসব সমস্যার কারণ মধিকাংশই চাষি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন না। মাঠ পর্যায়ে প্রায়শ উদ্ভব হয় এমন প্রধান প্রধান সমস্যা |

অক্সিজেনের অভাবে মাছের খাবি খাওয়া :

মাছ পানি থেকে ফুলকার সাহায্যে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে । কানো কারণে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে বেশি অক্সিজেন পাওয়ার জন্য মাছ পানির পরিতলে চলে আসে এবং জীবন বাঁচানোর তাগিদে উপরিতলের পানি-বায়ুর সংযোগস্থলে বার বার মুখ হা এবং বন্ধ করে অক্সিজেন গ্রহণের চেষ্টা করে। একে মাছের খাবি খাওয়া বলে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বিভিন্ন কারণে পানিতে দ্রবীভূত মক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। যেমন- পুকুরে বেশি সার প্রয়োগ, পুকুরের তলায় প্রচুর জৈব তলানি, বশি পরিমাণে পোনা মজুদ, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে বা দীর্ঘ সময় পুকুরের পানিতে রোদ না পড়লে পানিতে বীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ সময় পুকুরের মাছ ভেসে উঠে খাবি খায় এবং পুকুরের াাামুক ঝিনুক কিনারায় এসে জমা হয়। সাধারণত ভোর রাতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দেয়। মক্সিজেনের তীব্র সংকট এবং এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে মাছ ব্যাপক হারে মরতে শুরু করে।

অক্সিজেনের অভাবে াছ মারা গেলে মৃত মাছের মুখ হা করে থাকে এবং ফুলকা ফেটে যায় । অবশ্য অক্সিজেনের অভাব বেশি তীব্র হলে সকালে সূর্য ওঠার পর ক্রমে মাছ খাবি খাওয়া বন্ধ করে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। পানিতে বীভূত অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৫ মিলিগ্রাম/লিটার ।

 

মাছ চাষকালে উদ্ভূত সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান

 

মক্সিজেনের অভাব দূর করার উপায়

  • অক্সিজেনের অভাবে মাছ খাবি খেতে থাকলে বাঁশ পিটিয়ে অথবা সাঁতার কেটে পানির উপরের স্তর আন্দোলিত করে দিতে পারলে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় ।
  • এয়ারেটর স্থাপন, পুকুরে শ্যালো পাম্প বসিয়ে পাম্প করে পানি পুকুরে ছড়িয়ে দিয়ে বা পাতিল দিয়ে –
  • পুকুরে ঢেউ সৃষ্টি করে পুকুরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
  • পুকুরে নতুন পানি সরবরাহ করে খাবি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
  • দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে শতাংশ প্রতি ১ কেজি চুন প্রয়োগ করে হড়রা টেনে দিলে তলার বিষাক্ত গ্যাস দূরীভূত হবে। এতে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার আশংকা অনেক কমে যাবে। তবে চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য নিয়ম মাফিক সার প্রয়োগ করতে হবে ।
  • যেসব পুকুরে মাছ ঘন ঘন খাবি খায় সেগুলোতে শতাংশ প্রতি ২০০ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ সার পানিতে গুলে পুকুরে ছিটিয়ে দিলে মাছ খাবি খাওয়ার হার কমে যায়। এ পদ্ধতিটি স্থানীয়ভাবে বহুল ব্যবহৃত।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment