Site icon Fisheries Gurukul [ মৎস্য গুরুকুল ] GOLN

প্রাকৃতিক খাদ্যের গুরুত্ব

প্রাকৃতিক খাদ্যের গুরুত্ব

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় প্রাকৃতিক খাদ্যের গুরুত্ব – যা চাষযোগ্য মাছের খাদ্য ও পুষ্টি এর অন্তর্ভুক্ত।

প্রাকৃতিক খাদ্যের গুরুত্ব

 

 

প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে মাছ তাদের আমিষ চাহিদার ৪০-৭০% পূরণ করতে পারে। এছাড়াও প্রাকৃতিক খাদ্য বিশেষ করে উদ্ভিদ প্ল্যাংকটন সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সহায়তায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে এবং এর সাথে উপজাত হিসেবে অক্সিজেন তৈরি করে। তাই প্রাকৃতিক খাদ্য বিশেষ করে উদ্ভিদ প্ল্যাংকটন শুধু খাদ্য হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না অক্সিজেন তৈরির উৎস হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

প্রাকৃতিক খাদ্য বেশি হলে কী ঘটে?

পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তথা প্ল্যাংকটনের উপস্থিতি বিশেষ করে উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পানিতে যদি এদের আধিক্য খুব বেশি হয় তাহলে দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে থাকে এবং এর সাথে উপজাত হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনও তৈরি করে। ফলে দিনের বেলায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

আবার ঠিক এর উল্টোটি ঘটে রাত্রি বেলায়। তখন পানিতে বসবাসকারী প্রাণী প্ল্যাংকটন থেকে শুরু করে মাছসহ সব ধরনের জলজ জীব তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য পানি থেকে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে। শুধু তাই না, যে উদ্ভিদ প্ল্যাংকটন দিনের বেলায় প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি করল সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে সেই আবার গ্রাহক হয়ে তার নিজেরই প্রয়োজনে শ্বসনে অক্সিজেন গ্রহণ করে। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে কমে যায়।

 

 

বিশেষ করে ভোর রাতে এ সমস্যা সবচেয়ে তীব্র আকার ধারণ করে। তাই পানিতে প্ল্যাংকটনের পরিমাণ বিশেষ করে উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ প্রয়োজনীয় সীমার মধ্যে রাখা উচিত। এর জন্য পরিমাণ মত সার প্রয়োগ করা দরকার। কোন ক্রমেই মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করা উচিত নয় ।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version