আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় থাই পাঙ্গাশ ও কার্পজাতীয় মাছের মিশ্রচাষ প্রযুক্তি।
থাই পাঙ্গাশ ও কার্পজাতীয় মাছের মিশ্রচাষ প্রযুক্তি
আমাদের দেশে বন্ধ জলাশয়ে যুগ যুগ ধরে কার্পজাতীয় মাছের চাষ হয়ে আসছে। দেশীয় কার্গের বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই থাইল্যান্ড থেকে এ পাঙ্গাশ আমাদের দেশে আনা হয়। থাই পাঙ্গাশ বেশ জনপ্রিয় মাছ। যদিও পাঙ্গাশ চাষে অন্যান্য প্রজাতির মাছ চাষের চেয়ে অনেক বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয়। তবুও সব দিক বিবেচনা করে (দ্রুত বৃদ্ধি সম্পন্ন, অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়, মাংসাশী নয়, প্রতিকূল পরিবেশ সহ্যক্ষম ইত্যাদি) সবচেয়ে লাভজনক এবং জনপ্রিয় প্রজাতি হিসেবে থাই পাঙ্গাশ আজ সর্বজন স্বীকৃত।
তবে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে পাঙ্গাশ চাষের ব্যাপারে অনেকের স্বচ্ছ ধারণা নেই। স্বচ্ছ ধারনা না থাকার কারণে অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে পাঙ্গাশ চাষ শুরু করে মাঝ পথে যেয়ে ব্যবস্থাপনার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পেরে ভালো ফল লাভে বঞ্চিত হয়। এ অধ্যায়ে থাই পাঙ্গাশের মিশ্রচাষ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হলো । এ থেকে কোনো ব্যক্তি তার সুযোগ, সামর্থ্য এবং সর্বোপরি ইচ্ছানুযায়ী কোন প্রজাতির মাছচাষ করবে এবং সে প্রজাতির মাছচাষ করলে কত টাকা আয় বা ব্যয় হতে পারে সে ব্যাপারে একটি ধারণা পেতে পারেন।

প্রজাতি হিসেবে পাঙ্গাশ নির্বাচনের গুরুত্ব
যেসব বৈশিষ্ট্যাবলির কারণে কার্পজাতীয় মাছের সাথে খাই পালাশ নির্বাচন করা হয়ে থাকে তা নিম্নরূপ-
- মৎস্যভূক স্বভাবের নয় বিধায় কার্পজাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ করা যায়: তলদেশে বসাবাসকারী প্রজাতি হলেও মৃগেল বা কার্পিও -এর চেয়ে অতি সহজেই বেড়জাল দ্বারা পুকুর হতে সব মাছ আহরণ সম্ভব; –
- দ্রুত বর্ধনশীল, অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায় বিধায় অল্প পরিমাণ জলাশয় হতে অনেক বেশি উৎপাদন পাওয়া যায়;
- কম অক্সিজেনযুক্ত পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে; রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি; –
- সর্বভুক বলে যেকোন সম্পূরক খাদ্য দিয়ে চাষ করা যায় ও
- জীবন্ত অবস্থায় বাজারজাত করা যার বিধার ভালো বাজার মূল্য পাওয়া যায়।
আরও দেখুনঃ