ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি | সারা সপ্তাহের খবর

মৎস্য গুরুকুল আপডেটে আপনাকে স্বাগত। আমরা  সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো সংকলন করে আপনাদের সামনে নিয়ে আসছি। যারা নিয়মিত সংবাদপত্র বা অন্য মাধ্যমের খবরগুলোতে চোখ রাখার সময় পান না। তাদেরকে এই আয়োজনটি হালনাগাদ থাকতে সাহায্য করবে।

আজকের আলোচনার বিযয় : ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি, মাসে একবারও মাছ কেনা কষ্টকর হয়ে পড়ছে, সেন্ট মার্টিনে ধরা পড়ছে বড় বড় বোল মাছ

 

ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি | সারা সপ্তাহের খবর

ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি | সারা সপ্তাহের খবর

 

ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি

বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার রাতে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলারে জলদস্যুদের হামলায় জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাকি পাঁচ জেলের জেলের খোঁজ মেলেনি।

কোস্টগার্ড জানায়, শুক্রবার রাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৯ জেলেকে উদ্ধারের জন্য গত শনিবার থেকে কোস্টগার্ড অভিযানে নামে। আজ ভোরে তারা খবর পায়, কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীরে এই জেলেরা ভাসতে থাকলে অপর একটি মাছ ধরা ট্রলার তাঁদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ওই চার জেলেকে উদ্ধার করে পাথরঘাটায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করে। উদ্ধার হওয়া অপর তিন জেলে হলেন ইয়াসিন জমাদ্দার (৩২), শফিকুল ইসলাম (৫০) ও জামাল খান (৫০)। তাঁদের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার চরপাড়া ও বরগুনা সদর উপজেলার নলী এলাকায়।

ট্রলারটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ২০০ কিলোমিটার সাগরের গভীরে পৌঁছালে রাত দেড়টার দিকে অন্য একটি ট্রলার নিয়ে জলদস্যুরা ওই ট্রলারে হামলা চালায়। এ সময় দস্যু দলের সদস্যরা ট্রলারের সব জেলেকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে দস্যুরা জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে আতঙ্কে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

ডাকাতেরা ট্রলারটিতে লুটপাটের পর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেলে ট্রলারটি সাগরে ভাসতে থাকে। পরে রোববার সকালে অন্য জেলেরা অপর একটি ট্রলারের সাহায্যে ট্রলারটিতে অবস্থানকারী আহত ৯ জেলেকে তীরে ফিরিয়ে আনেন। ডাকাতেরা ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

মাসে একবারও মাছ কেনা কষ্টকর হয়ে পড়ছে

সম্প্রতি বাজারে মাছ মাংস ও সব কিছুর দাম বাড়ার কারনে সাধারন জনগোষ্টী মাছ কিনতে পারছে না ।   মূলত দিনে এনে দিনে খেটে খাওয়া মানুষরা ভোগান্তি আছে সবচেয়ে বেশি, অনেকে জানায়, ‘মাছ বা মাংস মাসে একবার কেনা মুশকিল হয়ে যায়। মেয়ের বয়স ছয় বছর। সে তো আর সংসারের অভাব বোঝে না।

এইডা খাব, ওইডা খাব বায়না ধরে। এমন জিনিস চাইয়া বহে, যা কেনার সাধ্য আমার নাই। তহন শুধু কান্দে। কান্দন থামাতে কোলে কইরা দোকানে নিয়া যাই, পাঁচ টাকার একটা জিনিস কিনা দিয়া তখনকার মতো বুঝ দেই।’ অভাব ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মিলন বলেন, ‘এইডা কি কোনো মানুষের জীবন হইলো, এইভাবে কি বাঁইচা থাকা যায়?’

 

ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি | সারা সপ্তাহের খবর

 

মাছের মেলা

ইছামতি নদীর তীরে বসেছে দিনব্যাপী পোড়াদহ মাছের মেলা। প্রায় ৪০০ বছরের ঐতিহ্য বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মাছের মেলা। মেলায় আসছে নানা প্রজাতির মাছ। গ্রামীণ জীবনে টাটকা মাছের স্বাদ দিতেই মেলার এ আয়োজন। সেই মেলায় ৪০ কেজি ওজনের ব্লাক কার্প মাছ। এনেছেন গোলাবাড়ী এলাকার মাছ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান। তিনি মাছটির দাম হেঁকেছেন ৮০ হাজার টাকা।

সেন্ট মার্টিনে ধরা পড়ছে বড় বড় বোল মাছ

বঙ্গোপসাগরের হৃদয়ে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের আই-ল্যান্ড সেন্ট মার্টিন। সেখান হতে আরও সাত-আট কিলোমিটার সরে গেলে পৌঁছানো যায় বিচ্ছিন্ন আরেক আই-ল্যান্ড ছেঁড়াদিয়ায়। ভ্রমণনিষিদ্ধ এই ছেঁড়াদিয়ার চারদিকে বৃহৎ বিশাল পাথরের স্তূপ। 

রাতে ডুবে থাকা পাথরের স্তূপে বড়শি ফেলে ধরা হলো সুবিশাল বড় বোল মাছ। সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে আসা পর্যটকের কাছে বোল মাছের ডিমান্ড বেশ। অধুনা সেন্ট মার্টিনে প্রতি কেজি বোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। স্থানীয় হোটেল–রেস্তোরাঁগুলোয় ১ কেজি ওজনের বোল মাছ গ্রিল করে খেতে গেলে গুনতে হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ছেঁড়াদিয়াসহ সেন্ট মার্টিনের পাথরের স্তূপে মাসের মধ্যে ব্যাপক বোল মাছ ধরা পড়েছে। এর ভিতরে ৭৫ কেজি ওজনের বোল মাছও আছে। এমনকি পাঁচ মণ ওজনের বোল মাছ ধরা পড়ার নজিরও বিদ্যমান বলে দাবি করেন তিনি। বড় আকারের বোল মাছ ধরা পাঠ করলে এরিয়ায় মাইকিং করে মাছ কেটে কেজি দরে বেচাকেনা হয়।

সেন্ট মার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, দ্বীপের চারপাশে বঙ্গোপসাগরে তিন শতাধিক নৌকায় মাছ মনে করেন জেলেরা। এর ভিতরে অর্ধশতাধিক নৌকায় দিন ও রাতেরবেলা পাথরের স্তূপের উপর বড়শি দিয়ে বোল মাছ ধরেন। বর্তমানে ছেঁড়াদিয়ার চারদিকে মাছ ধরা অফ রেখেছে সরকার। তারপরও গোপনে রাতের আঁধারে অনেক মানুষ বোল মাছ, লাল কোরাল ও লবস্টার ধরতে যাচ্ছেন।

 

ট্রলার ডাকাতি ঘটনায় এখনো ৫ জেলের খোঁজ মেলেনি | সারা সপ্তাহের খবর

 

 

১৬০ কেজির শাপলাপাতা মাছ দেখতে ভিড়

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে প্রায় ১৬০ কেজি ওজনের একটি ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেলেরা মাছটি বিক্রির জন্য উপজেলার মতিরহাট মাছ ঘাটে নিয়ে আসেন। সেই সময় মাছটি দেখতে কৌতূহলি জনতা ঘাটে ভিড় জমান। বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয়ভাবে ‘হাউস মাছ’ জানানো হয়। কিন্তু এটা শাপলাপাতা মাছ নামেই অধিক পরিচিত বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের সময় সমুদ্র থেকে মাছটি নদীতে চলে আসে। তখন জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এটি মূলত সামুদ্রিক মাছ। এত বৃহৎ শাপলাপাতা মাছ এর আগে মেঘনার কমলনগরে ধরা পড়েছে বলে শোনেননি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment